বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তিতে পালিত হয় চড়ক উৎসব । জনশ্রতি অনুসারে ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুর নামের এক রাজা এই পূজা প্রথম শুরু করেন।
রীতিনীতি :-
পূজোর আগের দিন চড়ক গাছটিকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। এতে জলভরা একটি পাত্রে শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ বা সিঁদুরমথিত শিবের পাটা বা বুড়ো শিব কে রাখা হয়।
গাজন উৎসবের তিনটি অংশ— সন্ন্যাস, নীলব্রত এবং চড়ক। চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন বা তিন দিন আগে থেকে কঠোর নিয়ম পালন করা হয় যাকে সন্ন্যাস পালন করা হয় বলে। গেরুয়া বা সাদা বস্ত্র ধারণ করে হবিষ্যি গ্রহণ করা আবশ্যিক।
সন্ন্যাস নেওয়া / চড়ক ঘোরা:-
পূজোর উৎসবে বহু প্রকারের দৈহিক যন্ত্রণা ধর্মের অঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। চড়কগাছে ভক্ত্যা বা সন্ন্যাসীকে লোহার হুড়কা দিয়ে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘোরানো হয়। যারা শরীরে বড়শি বিঁধিয়ে শূন্যে ঘোরেন তাদের ‘হাজরা’ বলা হয়। তার পিঠে, হাতে, পায়ে, জিহ্বায় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বাণ শলাকা বিদ্ধ করা হয়। কখনো কখনো জ্বলন্ত লোহার শলাকা তার গায়ে ফুঁড়ে দেয়া হয়। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার আইন করে এ নিয়ম বন্ধ করলেও কিছু কিছু স্থানে এখনো দেখা যায়।
ফুল-খেলা :— লম্বা গর্ত। এক ফুট গভীর, সাত-আট লম্বা গর্তে জ্বলন্ত কাঠকয়লার আংরা বিছিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ওপর দিয়ে ভক্ত সন্ন্যাসীরা হেঁটে যান। বীরভূম জেলার মল্লারপুরের মল্লেশ্বর শিব মন্দিরের ফুল খেলা বিখ্যাত।
হাকুণ্ড: — জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, কুমিরের পূজা, বাণফোঁড়া , কাঁটা আর ছুঁড়ির ওপর লাফানো, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য, চড়কগাছে দোলা এবং দানো-বারনো বা হাজরা পূজা করা ইত্যাদি হল চড়ক পুজোর বিশেষ রীতিনীতি। লম্বা সার দিয়ে সন্ন্যাসীরা বসে। তাদের জিভে ফোঁড়া লম্বা শলাকা। রক্ত-লালা ঝরছে। প্রত্যেক জনের সামনে গর্তে জ্বলন্ত কাঠকয়লার আগুন। তার সামনে হাঁড়ির মধ্যে জাগ-পিদিম, সামনে পিছনে এয়োস্ত্রী। সন্ন্যাসীর কোলে ওই অবস্থায় শিশুপুত্র বসে।
রীতিনীতি :-
‘‘চৈত্র মাস্যথ মাঘেবা যোহর্চ্চয়েৎ শঙ্করব্রতী।
করোতি নর্ত্তনং ভক্ত্যা বেত্রবানি দিবাশিনম্।।
মাসং বাপ্যর্দ্ধমাসং বা দশ সপ্তদিনানি বা।
দিনমানং যুগং সোহপি শিবলোক মহীয়তে।।’’ ( ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতি খণ্ড )
অর্থাৎ, চৈত্রমাসে বা মাঘ মাসে একমাস বা পনেরো দিন বা দশ দিন বা সাত দিন অথবা এক দিন হাতে বেতের লাঠি নিয়ে শিবব্রতী হয়ে নৃত্যাদি করলে সেই ব্যক্তি শিবলোক প্রাপ্ত হয়।পূজোর আগের দিন চড়ক গাছটিকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়। এতে জলভরা একটি পাত্রে শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ বা সিঁদুরমথিত শিবের পাটা বা বুড়ো শিব কে রাখা হয়।
গাজন উৎসবের তিনটি অংশ— সন্ন্যাস, নীলব্রত এবং চড়ক। চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন বা তিন দিন আগে থেকে কঠোর নিয়ম পালন করা হয় যাকে সন্ন্যাস পালন করা হয় বলে। গেরুয়া বা সাদা বস্ত্র ধারণ করে হবিষ্যি গ্রহণ করা আবশ্যিক।
সন্ন্যাস নেওয়া / চড়ক ঘোরা:-
পূজোর উৎসবে বহু প্রকারের দৈহিক যন্ত্রণা ধর্মের অঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। চড়কগাছে ভক্ত্যা বা সন্ন্যাসীকে লোহার হুড়কা দিয়ে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘোরানো হয়। যারা শরীরে বড়শি বিঁধিয়ে শূন্যে ঘোরেন তাদের ‘হাজরা’ বলা হয়। তার পিঠে, হাতে, পায়ে, জিহ্বায় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বাণ শলাকা বিদ্ধ করা হয়। কখনো কখনো জ্বলন্ত লোহার শলাকা তার গায়ে ফুঁড়ে দেয়া হয়। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার আইন করে এ নিয়ম বন্ধ করলেও কিছু কিছু স্থানে এখনো দেখা যায়।
ফুল-খেলা :— লম্বা গর্ত। এক ফুট গভীর, সাত-আট লম্বা গর্তে জ্বলন্ত কাঠকয়লার আংরা বিছিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ওপর দিয়ে ভক্ত সন্ন্যাসীরা হেঁটে যান। বীরভূম জেলার মল্লারপুরের মল্লেশ্বর শিব মন্দিরের ফুল খেলা বিখ্যাত।
হাকুণ্ড: — জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর হাঁটা, কুমিরের পূজা, বাণফোঁড়া , কাঁটা আর ছুঁড়ির ওপর লাফানো, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য, চড়কগাছে দোলা এবং দানো-বারনো বা হাজরা পূজা করা ইত্যাদি হল চড়ক পুজোর বিশেষ রীতিনীতি। লম্বা সার দিয়ে সন্ন্যাসীরা বসে। তাদের জিভে ফোঁড়া লম্বা শলাকা। রক্ত-লালা ঝরছে। প্রত্যেক জনের সামনে গর্তে জ্বলন্ত কাঠকয়লার আগুন। তার সামনে হাঁড়ির মধ্যে জাগ-পিদিম, সামনে পিছনে এয়োস্ত্রী। সন্ন্যাসীর কোলে ওই অবস্থায় শিশুপুত্র বসে।