কথাতেই আছে, 'ব্রতের মধ্যে একাদশী আর তীর্থের মধ্যে বারাণসী'। একাদশী পালন করলেই সব ব্রতের ফললাভ হয়। এখন আমরা জানব এই একাদশী ব্রত কি ও কেন।
চান্দ্রমাসের শুক্ল ও কৃষ্ণ পকর এ এগারোতম তিথি হল একাদশী। উপবাস থেকে নিজের সৎপ্রবৃত্তিগুলোকে জাগিয়ে নিরন্তর ঈশ্বরের নাম মনন শ্রবণ ও কীর্তনের মাধ্যমে এই তিথি অতিবাহিত করতে হয়।
একাদশীর আরেক নাম হরি বাসর, হরিকথা শ্রবণ মনন কীর্তনের দিন। কারণ এ তিথিতে ভগবান বিষ্ণু ভক্তের নিকটে থাকেন। একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের সদগতি হবে তা নয়। একাদশীপালন কারি ব্যক্তির প্রয়াত পিতা-মাতা যদি নিজ কর্ম দোষে নরকবাসী হন, তবে সেই পুত্র ই একাদশী ব্রত পালন করে স্বীয় পিতা- মাতাকে নরক থেকে উদ্ধার করতে পারেন ।
এই তিথিতে সকল প্রকার ক্ষৌরকর্ম নিষিদ্ধ কারন একাদশীতে রক্তক্ষরণ বর্জনীয়। একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করত- ফল মূলাদি অনুকল্প গ্রহণের বিধান রয়েছে। দশমী বিদ্ধা একাদশীর দিন বাদ দিয়ে দ্বাদশী যুক্তা একাদশী ব্রত পালন করতে হয়।
পদ্মপুরাণে রয়েছে মহর্ষি জৈমিনী আর বেদব্যাসের কথোপকথনে একাদশীর প্রসঙ্গ। মহর্ষি জৈমিনি মহর্ষি বেদব্যাসকে জিজ্ঞাসা করলেন, "হে মহর্ষি এই একাদশী তিথি কি? আর কেনই বা একাদশী ব্রত করতে হবে ? আর একাদশী ব্রত না করলেই কি ক্ষতি?"
ব্যাসদেব বললেন, "হে জৈমিনী, সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর ভগবান এই জগৎ সৃষ্টি করেন তখন মর্ত্যলোকবাসী মানুষদের অপকর্ম শাসনের জন্য একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করলেন, সেই পাপপুরুষের অঙ্গণ্ডলি বিভিন্ন পাপ দিয়ে নির্মিত হয়, পাপপুরুষের মাথাটি ব্রহ্মহত্যা পাপ দিয়ে, চক্ষুদুটি মদ্যপান, মুখ স্বর্ণ অপহরণ, দুই কর্ণ গুরুপত্নী গমন, দুই নাসিকা স্ত্রীহত্যা, দুই বাহু গোহত্যা পাপ, গ্রীবা ধন অপহরণ, গলদেশ ভ্রুণহত্যা, বক্ষ পরস্ত্রী গমন, উদর আত্মীয়স্বজন বধ, নাভি শরণাগত বধ, কোমর আত্মশ্লাঘা, দুই ঊরু ণ্ডরুনিন্দা, শিশুকন্যা বিক্রি, মলদ্বার গুপ্তপ্রকাশের পাপ, দুই পা পিতৃহত্যা, শরীরের রোম সমস্ত উপপাতক পাপ দ্বারা ভয়ঙ্কর পাপপুরুষ নির্মিত করেন। তার শাসনে পাপী মানব জাতি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যায়।
পাপপুরুষের ভয়ঙ্কর রূপ দর্শন করে ভগবান শ্রীবিষ্ণু মর্ত্যের মানব জাতির দুঃখ মোচন করবার কথা চিন্তা করতে লাগলেন।
তখন যমরাজের অনুগ্রহে ভগবান শ্রীহরি সেই পাপাচারীদের সামনে একাদশী তিথি রূপে এক দেবীমুর্তিতে প্রকাশিত হয়ে সেই পাপীদেরকে একাদশী ব্রত আচরণ করান সেই একাদশী ব্রতের ফলে তারা সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বৈকূণ্ঠ ধামে গমন করে।
তখন ভগবানের সৃষ্ট পাপ পুরুষ এসে শ্রীহরির কাছে প্রার্থণা করে বলে, "হে ভগবান ! আমি আপনার প্রজা, আমাকে যারা আশ্রয় করে থাকে, তাদের কর্ম অনূযায়ী তাদের দুঃখ দান করাই আমার কাজ তার জন্য আপনি আমার সৃস্টি করেন, কিন্তু একাদশীর প্রভাবে আমি পাপীদের শাসন করতে পারছি না, বরং নিজে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি। হে ভগবান, যদি আপনার এই সৃষ্ট বিশ্বে ক্রীড়া করবার ইচ্ছা থাকে তবে, আমার দুঃখ দূর করুন, আমি আপনার শরণাপন্ন।"
পাপপুরুষের প্রার্থনা শুনে ভগবান শ্রীহরি বললেন, "হে -পাপপুরুষ! তুমি দুঃখ কোরনা, যে দিবসে একাদশী তিথি পাপীদের উদ্ধার হেতু আবির্ভুত হবে, সে দিবসে তুমি রবিশস্য মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করবে তা হলে আমার মুর্তি একাদশী তোমাকে বধ করতে পারবে না।"
একাদশী বিষয়ে কতগুলো অনুপপত্তি-
এক। সধবা নারী একাদশী পালন করতে পারে না
পত্যৌ জীবতি যা যোষিদুপবাসব্রতং চরেৎ।
আয়ুঃ সা হরতে ভর্ত্তুর্নরকঞ্চৈব গচ্ছতি।।
( বিষ্ণু সংহিতা ২৫-১৬)
অর্থাৎঃ- যে স্ত্রী স্বামী জীবিত থাকতে উপবাস ব্রতের আচরন করে, সে স্বামীর আয়ু হরণ ও নরক গমন করে। তাই স্বামী জীবিত থাকতে উপবাস বাঞ্ছনীয় নয়।
দুই । সকলের জন্য এই একাদশী ব্রত পালনের কোন বাধ্য বাধকতার শাস্ত্রীয় তথ্য প্রমান নেই।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ত্রিসন্ধ্যাহ্নিক কৃত ব্রাহ্মণ, সন্ন্যাসী, ব্রক্ষ্মচারী, বিধবা, দীক্ষিতশিষ্য (শিষ্যা নয় ) এরা হিন্দুধর্মের ঐতিহ্য অনুযায়ী একাদশী তিথিতে ব্রতী হতে পারে।।
তবে,
উপবাসস্তথায়াসো বিত্তোৎসর্গস্তথা কলৌ।
ধর্ম্মো যথাভিরুচিতৈরনুষ্ঠানৈরনুষ্ঠিতঃ""।।
(ব্রহ্মপুরাণ ২৩০ অধ্যায়ে শ্লোক ১৫)
কলি যুগে -উপবাস,আয়াস,ধন-দানাদি ধর্ম্মকর্ম্ম নিশ্চয় যথেচ্ছা রুপে অনুষ্ঠিত হতে থাকবে।
তিন। সধবা স্ত্রীলোকের উপবাসাদি ব্রত নাই।
এ প্রসঙ্গে ভগবান ব্যাসদেব বলেছেন-
সধবানাং হি নারীণাংনেপবাসাদিকংব্রতম।
(বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ, উত্তরখণ্ডম ৮ম অধ্যায় ৭নং শ্লোকে)
অর্থাৎঃ- সধবা স্ত্রীলোকের উপবাসাদি ব্রত নাই।
চার। তাহলে সধবা স্ত্রীলোক একাদশী উপবাস ব্রত পালন করেন তবে কি হবে?
এর উত্তরে অত্রিমুনি বলেছেন-
জীবদ্ভর্ত্তরি যা নারী উপোষ্য ব্রতচারিণী।
আয়ুষ্যং হরতে ভর্ত্তুঃ সা নারী নরকং ব্রজেৎ।।
(অত্রিসংহিতা ১৩৬নং শ্লোক।)
অর্থাৎঃ- যে নারী স্বামী জীবিত থাকিতে উপবাস করিয়া ব্রত করে,সে নারী স্বামীর আয়ু হরণ করে ও নরকে গমন করেন।
এই বচন অনুসারে কোন হিন্দু সধবা নারী, একাদশী উপবাস ব্রত পালন করে স্বর্গে যাওয়া ত দুরের কথা, সাথে স্বামীর আয়ু হরণ কারিনী হন।
একাদশীতে নিষিদ্ধ পাঁচ প্রকার রবিশস্য :—
১। ধান জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – চাল,চিড়া, মুড়ি, সুজি, পায়েশ, খিচুড়ি, চালের পিঠে, খৈ ইত্যাদি
২। গম জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন – আটা,ময়দা, সুজি , রুটি , বিস্কুট ,হরলিক্স ইত্যাদি ।
৩। যব বা ভূট্টা জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন — ছাতু , খই , রুটি ইত্যাদি ।
৪। ডাল জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন —
মুগ, মাসকলাই , খেসারী , মসুরী, ছোলা অড়হর ,মটরশুটি, বরবঢী ও সিম ইত্যাদি ।
৫। সরিষার তেল , সয়াবিন তেল, তিল তেল ইত্যাদি ।
উপরোক্ত পঞ্চ রবিশস্য যেকোন একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হয় ।
এছাড়াও চা , কফি, ধুমপান, মদ্যপান, আমিষ আহার, পরনিন্দা,হিংসা, দেব-দ্বিজের প্রতি খারাপ ব্যবহার ও নিন্দা, স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি একাদশীর উপবাস নষ্ট করে।
বিভিন্ন একাদশী :-
এক সৌর বছরে মোট ছাব্বিশটি একাদশীতিথি আসে।
সাধারণত বারোমাসে চব্বিশটি একাদশী।
এইগুলি হচ্ছে-
১. উৎপন্না একাদশী
২. মোক্ষদা একাদশী
৩. সফলা একাদশী
৪. পুত্রদা একাদশী
৫. ষটতিলা একাদশী
৬. জয় একাদশী
৭. বিজয়া একাদশী
৮. আমলকী একাদশী
৯. পাপমোচনী একাদশী
১০. কামদা একাদশী
১১. বরুথিনী একাদশী
১২. মোহিনী একাদশী
১৩. অপরা একাদশী
১৪. নির্জলা একাদশী
১৫. যোগিনী একাদশী
১৬. শয়ন একাদশী
১৭. কামিকা একাদশী
১৮. পবিত্রা একাদশী
১৯. অন্নদা একাদশী
২০. পরিবর্তিনী বা পার্শ্ব একাদশী
২১. ইন্দিরা একাদশী
২২. পাশাঙ্কুশা একাদশী
২৩. রমা একাদশী
২৪. উত্থান একাদশী
এছি যে বৎসরে অধিকমাস বা পুরুষোত্তমমাস বা মলমাস থাকে, সেই বৎসর পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়। তাই একাদশী মোট ।
শয়ন একাদশী ব্রতকথা :
যুধিষ্ঠির বললেন — ‘ হে কেশব ! আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি ? এর মহিমাই বা কি ? তা আমাকে কৃপাপূর্ব্বক বলুন ।’
শ্রীকৃষ্ণ বললেন , "হে মহারাজ, ব্রহ্মা এই একাদশী সম্পর্কে দেবর্ষি নারদকে যা বললেন আমি সেই আশ্চর্যজনক কথা আপনাকে বলছি শ্রবণ করুন।
সৃষ্টিকর্তা কমলযোনি ব্রহ্মা বললেন ," হে নারদ ! এ সংসারে একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই । সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক । যে ব্যক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না জেনে করে তাকে নরকগামী হতে হয় । আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘ শয়নী ‘ নামে বিখ্যাত । শ্রীভগবান হৃষিকেশের জন্য এই ব্রত পালন করতে হয় । এই ব্রতের সমন্ধে এক মঙ্গলময় পৌরণিক কাহিনী আছে । আমি এখন তা বলছি ।
বহু বহু বছর পূর্বে সূর্যবংশে মান্ধাতা নামে একজন রাজর্ষি ছিলেন । তিনি ছিলেন সত্যপ্রতিজ্ঞ এবং প্রতাপশালী চক্রবর্তী রাজা। প্রজাদের তিনি নিজের সন্তানের মতো পালন করতেন । সেই রাজে্য কোন রকম দুঃখ , রোগ- ব্যাধি , দুর্ভিক্ষ , আতঙ্ক , খাদ্যভাব অথবা কোন অন্যায় আচরণ ছিল না । এইভাবে বহুদিন অতিবাহিত হলো । কিন্তু একসময় হঠাৎ দৈবদুর্বিপাকে ক্রমাগত তিনবছর সে রাজ্যে কোন বৃষ্টি হয় নি । দুর্ভিক্ষের ফলে সেখানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে দান মন্ত্রের ‘ 'স্বাহা' 'স্বধা'র মতো শব্দও বন্ধ হয়ে গেল । এমনকি বেদপাঠও ক্রমশ বন্ধ হল । তখন প্রজারা রাজার কাছে এসে বলতে লাগল — মহারাজ দয়া করে আমাদের কথা শুনুন । শাস্ত্রে জলকে নাল বলা হয় আর সেই জলে ভগবানের অয়ন অর্থাৎ নিবাস । তাই ভগবানের এক নাম নারায়ণ । মেঘরূপে ভগবান বিষ্ণু সর্বত্র বারিবর্ষণ করেন । সেই বৃষ্টি থেকে অন্ন এবং অন্ন খেয়ে প্রজাগণ জীবন ধারণ করেন । এখন সেই অন্নের অভাবে প্রজারা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে । অতএব হে মহারাজ , আপনি এমন কোন উপায় অবলম্বন করুন যাতে আপনার রাজ্যের শান্তি এবং কল্যাণ সাধন হয় । রাজা মান্ধাতা বললেন – তোমরা ঠিকই বলেছ । অন্ন থেকে প্রজার উদ্ভব । অন্ন থেকেই প্রজার পালন । তাই অন্নের অভাবে প্রজারা বিনষ্ট হয় । আবার রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয় । আমি নিজের বুদ্ধিতে আমার নিজের কোন দোষ খুঁজে পাচ্ছি না । তবুও প্রজাদের কল্যাণের জন্য আমি অাপ্রাণ চেষ্টা করব ।
তারপর রাজা ব্রহ্মাকে প্রণাম করে সৈন্যসহ বনে গমন করলেন । সেখানে প্রধান প্রধান ঋষিদের আশ্রমে ভ্রমন করলেন । এভাবে তিনি ব্রহ্মার পুত্র মহাতেজস্বী অঙ্গিরা ঋষির সাক্ষাৎ লাভ করলেন । তাঁকে দর্শনমাত্রই রাজা মহানন্দে ঋষির চরণ বন্দনা করলেন । মুনিবর তাকে আশীর্বাদ ও কুশল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন । রাজা তখন তার বনে আগমনের কারণ সবিস্তারে ঋষির কাছে জানালেন । ঋষি অঙ্গিরা কিছু সময় ধ্যানস্থ থাকার পর বলতে লাগলেন – ‘ হে রাজন ! এটি সত্যযুগ । এই যুগে সকললোক বেদ পরায়ণ এবং ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য তপস্যা করে না । এই নিয়ম থাকা সত্ত্বেও এব শুত্র রাজ্যে তপস্যা করছে । তার এই অকার্যের জন্যই রাজ্যের এই দুর্দশা । তাকে হত্যা করলেই সকল দোষ দূর হবে । রাজা বললেন – হে মুনিবর ! তপস্যাকারী নিরপরাধ ব্যক্তিকে আমি কিভাবে বধ করব ? আমার পক্ষে সহজসাধ্য অন্য কোন উপায় থাকলে আপনি দয়া করে আমাকে বলুন ।
তদুত্তরে মহর্ষি অঙ্গিরা বললেন – আপনি আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের শয়নী নামে প্রসিদ্ধা একাদশী ব্রত পালন করুন । এই ব্রতের প্রভাবে নিশ্চয়ই রাজ্যে বৃষ্টি হবে । এই একাদশী সর্বসিদ্ধি দাত্রী এবং সর্ব উপদ্রব নাশকারিনী । হে রাজন – প্রজা ও পরিবারবর্গ সহ আপনি এই ব্রত পালন করুন। মুনিবরের কথা শুনে রাজা নিজের প্রাসাদে ফিরে গেলেন । আষাঢ় মাস উপস্থিত হলে রাজ্যের সকল প্রজা রাজার সাথে এই একাদশী ব্রতের অনুষ্ঠান করলেন। ব্রত প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলো কিছুকালের মধ্যেই অন্নভাব দূর হল । ভগবান হৃষিকেশের কৃপায় প্রজাগণ সুখী হল । এ কারণে সুখ ও মুক্তি প্রদানকারী এই উত্তম ব্রত পালন করা সকলেই অবশ্য কর্তব্য । ভবিষোত্তরপুরানে যুধিষ্ঠির -শ্রীকৃষ্ণ তথা নারদ – ব্রহ্মা সংবাদ রূপে এই মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে ।
একাদশীর পারণ মন্ত্র -
একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।