কৈলাস পর্বত হিন্দু, শিখ বৌদ্ধ, বন ও জৈনদের কাছে অতি পবিত্র একটা স্থান। হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এটি ভগবান শিব ও দেবী পার্টিবতীর লীলাভূমি। জৈন্যদের মতে তাদের প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভদেব এই কৈলাসেই শান্তির খোঁজ পেয়েছিলেন। একে তারা অষ্টাপদও বলে থাকেন। বৌদ্ধমত অনুসারে কৈলাসের অধীশ্বর হলেন ডোমচেক বা চক্রসম্ভর ।
সংস্কৃত, বাংলা সহ সমস্ত ভারতীয় ভাষাতে এই পর্বতকে কৈলাস পর্বত বলা হয়। ইংরেজীতে এই পর্বতকে বলা হয় Mount Kailasa । 6638 মিটার (21778 ফুট ) উঁচু এই পর্বত শৃঙ্গটিকে তিব্বতি ভাষায় གངས་རིན་པོ་ཆེ (গ্যাং রিম্পোচে), চিনা ভাষায় 冈仁波齐峰 বা =岡仁波齊峰 বলা হয়। এটি বর্তমানে চিনের স্বয়ংশাসিত অঞ্চল তিব্বতের অংশ।
সংস্কৃত, বাংলা সহ সমস্ত ভারতীয় ভাষাতে এই পর্বতকে কৈলাস পর্বত বলা হয়। ইংরেজীতে এই পর্বতকে বলা হয় Mount Kailasa । 6638 মিটার (21778 ফুট ) উঁচু এই পর্বত শৃঙ্গটিকে তিব্বতি ভাষায় གངས་རིན་པོ་ཆེ (গ্যাং রিম্পোচে), চিনা ভাষায় 冈仁波齐峰 বা =岡仁波齊峰 বলা হয়। এটি বর্তমানে চিনের স্বয়ংশাসিত অঞ্চল তিব্বতের অংশ।
পুরাণ অনুযায়ী কৈলাস পর্বতের চারটি পাশ স্ফটিক, চুনি, সোনা এবং লাপিস লাজুলি দ্বারা গঠিত।
লোকবিশ্বাস অনুসারে একমাত্র মিলারেপা ছাড়া কেউই কৈলাস শৃঙ্গে চড়তে পারেনি। যে এই পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করেছে, তাঁরই মৃত্যু হয়েছে। আর এটা নিয়ে অনেক কথাও প্রচলিত আছে। এটাও শোনা যায় যে, ১৯ এবং ২০ শতাব্দীতে কিছু পর্বতআরোহী এই পাহাড়ে চড়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁরা সবাই উধাও হয়ে গেছেন। চীন সরকার কৈলাস পর্বতে চড়া নিষিদ্ধ করেছে।
ক্তার কয়েক বছর আগে কৈলাস মান সরোবরের যাত্রা করেছিলেন। উনি এই যাত্রার পর দাবি করেছিলেন যে, কৈলাস পর্বতে বাস্তবেই একটি প্রাচীন পিরামিড আছে, আর সেই পিরামিড ছোট ছোট পিরামিড দিয়ে ঘেরা। এর সুত্র গিজা এবং মেক্সিকোর Teotihuacan পিরামিডের সাথে যুক্ত। পর্বতমালা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৭১৮ মিটার উঁচুতে কৈলাস প
রাশিয়ার নেত্ররোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর্নেস্ট মুলদাশেভকে (Ernst Muldashev ) সাইবেরিয়ার একদল পর্বতারোহীরা বলেছিলেন যে, কিছু পর্বতআরোহী কৈলাস পর্বতের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছেছিল। আর তাঁর একবছর পর বৃদ্ধাবস্থার জন্য তাঁদের মৃত্যু হয়। 1999 সালে ডাঃ মুলদাশেভ একটি টিম নিয়ে তিব্বতে যান। ওনার টিমে ভুবিজ্ঞানী, ঐতিহাসিক হতে শুরু করে প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন। পবিত্র কৈলাসের আশেপাশে অনেক মাস ধরে সময় কাটিয়ে 'Where do we come from' নামে একটি বই লেখেন। সেখানে তিনি কৈলাস পর্বতের যাত্রার বিবরণ দেন।
বিখ্যাত রাশিয়ার চিত্রকার নিকোলায় রেরিখ এর বিশ্বাস অনুযায়ী, কৈলাসের আসেপাশে শাম্বালা নামের একটি রহস্যময়ি রাজ্য আছে। এই বক্তব্যকে ডাঃ মুলদাশেভ সমর্থন করেন। তিনি বলেন, বাস্তবে কৈলাস পর্বতে একটি মানব নির্মিত সুপ্রাচীন পিরামিড আছে। উনি দাবি করেছিলেন যে, একটি বড় পিরামিডকে অনেক ছোট ছোট পিরামিড ঘিরে আছে আর সেখানে অলৌকিক ঘটনা ঘটে।
কৈলাস পাহাড়ের আর তাঁর আশেপাশের পরিবেশের উপর গবেষণা করা বৈজ্ঞানিক নিকোলাই রোমনভ আর ওনার টিম তিব্বতের মন্দিরের ধর্মগুরুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বিখ্যাত রাশিয়ার চিত্রকার নিকোলায় রেরিখ এর বিশ্বাস অনুযায়ী, কৈলাসের আসেপাশে শাম্বালা নামের একটি রহস্যময়ি রাজ্য আছে। এই বক্তব্যকে ডাঃ মুলদাশেভ সমর্থন করেন। তিনি বলেন, বাস্তবে কৈলাস পর্বতে একটি মানব নির্মিত সুপ্রাচীন পিরামিড আছে। উনি দাবি করেছিলেন যে, একটি বড় পিরামিডকে অনেক ছোট ছোট পিরামিড ঘিরে আছে আর সেখানে অলৌকিক ঘটনা ঘটে।
কৈলাস পাহাড়ের আর তাঁর আশেপাশের পরিবেশের উপর গবেষণা করা বৈজ্ঞানিক নিকোলাই রোমনভ আর ওনার টিম তিব্বতের মন্দিরের ধর্মগুরুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সেখান থেকে ফেরার পর এর্নেস্ট মুলদাশিফ লেখেন, ‘রাতের নিশ্তব্দতায় পাহাড়ের ভিতর থেকে একটি আজব ফিসফিস এর শব্দ আসে। এক রাতে আমি আর আমার দুই সহযোগী পাথর পড়ার আওয়াজ পেয়েছি। আর এই আওয়াজ কৈলাস পর্বতের পেটের ভিতর থেকে আসছিল। আমারা ভেবেছিলাম যে, পিরামিডের ভিতরে অন্য কোন মানুষ আছে।”
উনি আরও লিখেছিলেন, ‘তিব্বতি গ্রন্থে লেখা আছে যে শাম্বালা একটি আধ্মাতিক দেশ, এটা কৈলাস পর্বতের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন দিয়ে এই বিষয়ে চর্চা করা আমার পক্ষে কঠিন। তবে আমি পরিস্কার ভাবে বলতে পারি, কৈলাস পর্বতের এলাকা সোজাসুজি পৃথিবীর জীবনের সাথে জড়িত। যখন আমরা তপস্যিদের রাজ্য তথা পিরামিড আর পাথরের দর্পণকে মিলিয়ে একটি যোজনাবদ্ধ নকশা বানাই, তখন আমরা সেটা দেখে হয়রান হয়ে যাই! কারণ সেই নকশা ডিএনএ এর অণুর স্থানিক সংরচনার নকশা ছিল।”