সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

Bengali chanda - - Poyar chanda


পয়ার ছন্দ ঃ

ব্যাকরণ ও ছন্দ - - , , , , , 
যে ছন্দ রীতিতে কবিতার প্রতিটি ছত্রেই আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সজ্জিত চৌদ্দটি করে বর্ণ থাকে এবং চৌদ্দ টি বর্ণ বিশিষ্ট একেকটি ছত্রেই এক একটি চরণ নিষ্পন্ন হয়, এবং সাধারণতঃ পর পর এইরূপ দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল থাকে, অথবা ক্ষেত্র বিশেষে প্রথম চরণ ও তৃতীয় চরণ এবং দ্বিতীয় চরণ ও চতুর্থ চরণের অন্ত্যমিল রক্ষিত হয় অথবা প্রথম চরণ ও চতুর্থ চরণ এবং দ্বিতীয় চরণ ও তৃতীয় চরণের অন্ত্যমিল রক্ষিত হয়, তাকে পয়ার ছন্দ বলে।

                পয়ার ছন্দে কবিতার প্রতিটি ছত্র বা চরণের শেষেই ভাবের আংশিক বা সামগ্রিক পরিসমাপ্তি ঘটে। এই ছন্দে শব্দের মধ্যবর্তী বা শেষে ব্যবহৃত খণ্ড ত এবং অনুস্বর কে বর্ণ  হিসাবে গণনা করা হয় না।

মধ্য যুগের বাংলা কাব্যে প্রধান ছন্দ রীতিই ছিল পয়ার। তাই মধ্যযুগে পয়ার ছন্দেই বাংলা ভাষায় রামায়ণ,মহাভারত, বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য ও নানা কাল জয়ী কাব্য রচিত হয়েছে। উনিশ শতকের পঞ্চম দশক সময়কাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের কবিদের অধিকাংশই পয়ার ছন্দে কাব্য রচনা করে গেছেন এবং পয়ার ছন্দের সংস্কার সাধন করে ভিন্ন ভিন্ন পয়ার ছন্দের সৃষ্টি করে গেছেন।

ছন্দের বিন্যাস এবং অন্ত্যমিলের বিভিন্নতা অনুসারে বিশুদ্ধ পয়ার ছন্দকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।

 যথা: 
১|| লঘু পয়ার, 
২|| পর্যায়সম পয়ার, 
৩|| মধ্যসম পয়ার, 
৪|| তরল পয়ার ও 
৫|| মালঝাঁপ।

পরবর্তী কালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আধুনিক চিন্তাধারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পয়ারের প্রথম ছত্রে বা দ্বিতীয় ছত্রে চৌদ্দটির পরিবর্তে এক বা একাধিক সংখ্যক বর্ণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে অথবা চরণের শেষে ভাবের আংশিক বা সামগ্রিক পরিসমাপ্তি না ঘটিয়ে চরণ থেকে চরণান্তরে আংশিক বা সামগ্রিক পরিসমাপ্তি ঘটানোর প্রয়োজনীয়তায় ভিন্ন ভিন্ন পয়ার ছন্দের সৃষ্টি করা হয়। যেমন :

১|| প্রবহমান পয়ার 
২|| প্রবহমান পর্যায়সম পয়ার 
৩||  প্রবহমান মধ্যসম পয়ার 
৪||  হীনপদ পয়ার 
৫|| মহাপয়ার
৬||  প্রবহমান মহাপয়ার 
৭|| পর্যায়সম মহাপয়ার 
৮|| মধ্যসম মহাপয়ার
৯||  বিশাখ পয়ার এবং 
১০|| ভঙ্গ পয়ার।

১।। লঘু পয়ার :   

ছন্দবদ্ধ কবিতার যে ছন্দ রীতিতে কবিতার প্রতিটি ছত্রেই আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সজ্জিত চৌদ্দটি করে বর্ণ থাকে এবং চৌদ্দ টি বর্ণ বিশিষ্ট একেকটি ছত্রেই এক এক টি চরণ নিষ্পন্ন হয়, এবং পর পর এইরূপ দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল থাকে, তাকে লঘু পয়ার বলে। লঘু পয়ার ছন্দে প্রত্যেক ছত্রেই প্রথম আট বর্ণের পরে স্বল্প বিরতি দিয়ে পরের ছয় বর্ণ উচ্চারণ করতে হয়। উদাহরণ:

 (মনসামঙ্গল কাব্য --কবি বিজয় গুপ্ত) 

কামভাবে মহাদেব/ বলে অনুচিত।
লজ্জায় বিকল পদ্মা/ শুনিতে কুৎসিত।।
নাকে হাত দিয়া পদ্মা,/ বলে রাম রাম।
শিবের চরণে পড়ি/ করিল প্রণাম।।
পদ্মা বলে বাপ তুমি/ পরম কারণ।
না বুঝিয়া বল কেন/ কুৎসিত বচন।।¥
দেবের দেবতা তুমি/ পূজে ত্রিজগতে।
সকল সংসার তুমি/ জান ভালমতে।।¢
আপনি সকল জান/ মুই বলব কি।
চিনিতে নারিলা তুমি/ আপনার ঝি।।
চরণে ধরিয়া স্তুতি/ করে বার বার।
হেন ছার বাক্য তুমি/ না বলিও আর।।
বিজয় গুপ্ত বলে ভাই/ হও সাবহিত।$
এইকালে বল ভাই/ লাচারির গীত।।

কবি বিজয় গুপ্তের এই পয়ার ছন্দে লক্ষ্য করুন, প্রতিটি ছত্র বা চরণে চৌদ্দটি করে বর্ণ আছে। পর পর দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল আছে এবং প্রতিটি ছত্রের বা চরণের বাক্য বা বাক্যাংশ কে আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সাজানো হয়েছে। যেমন-

কামভাবে মহাদেব (৪+৪) = ৮/ বলে অনুচিত (২+৪) = ৬ ।     অন্ত্যশব্দ = অনুচিত। 
লজ্জায় বিকল পদ্মা (৩+৩+২) = ৮/ শুনিতে কুৎসিত (৩+৩) = ৬।। এখানে ৎ কে বর্ণ হিসাবে ধরা হয় নাই। অন্ত্যশব্দ = কুৎসিত।
¥ না বুঝিয়া বল কেন (১+৩+২+২) = ৮/ কুৎসিত বচন (৩+৩) = ৬ ।। এখানে ৎ কে বর্ণ হিসাবে ধরা হয় নাই।
¢সকল সংসার তুমি (৩+৩+২) = ৮ / জান ভালমতে (২+৪) = ৬ ।। এখানে অনূস্বার কে বর্ণ হিসাবে ধরা হয় নাই।
$বিজয় গুপ্ত বলে ভাই (২+২+২+২) = ৮/ হও সাবহিত (২+৪) = ৬। এখানে য় কে শূণ্য মাত্রা  হিসাবে ধরা হয়েছে।

( ফুল্লরার বারমাস্যা ণ্ডীমঙ্গল কাব্য   --কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী) 

পাশেতে বসিয়া রামা/ কহে দুঃখবাণী।
ভাঙ্গা কুড়্যা ঘরখানি/ পত্রের ছাওনী।।
ভেরাণ্ডার খাম তার/ আছে মধ্য ঘরে।
প্রথম বৈশাখ মাসে/ নিত্য ভাঙ্গে ঝড়ে।।
অনল সমান পোড়ে/ বৈশাখের খরা।
তরুতল নাহি মোর/ করিতে পসরা।।
পদ পোড়ে খরতর/ রবির কিরণ।
শিরে দিতে নাহি আঁটে/ খুঞার বসন।।
বৈশাখ হইলো আগো/ মোরে বড় বিষ।
মাংস নাহি খায় সর্ব্ব/ লোক নিরামিষ।।
পাপিষ্ঠ জ্যৈষ্ঠ মাসে/ প্রচণ্ড তপন।
খরতর পোড়ে অঙ্গ/ রবির কিরণ।।
পসরা এড়িয়া জল/ খাত্যে যাত্যে নারি।
দেখিতে দেখিতে চিলে/ লয় আধা সারি।।
অন্ন নাহি মেলে এই/ পাপ জষ্ঠি মাসে।
বেঙছির ফল খেঞা/ থাকি উপবাসে।।
ভূবন পুর্ণিত হৈল/ নবমেঘজল।
হেন কালে মৃগ মারে/ পাপ কর্মফল।।
মাংসের পসরা লয়্যা/ বুলি ঘরে ঘরে।
কিছু খুদ-কুড়া মিলে/ উদর না পূরে।।
কি কহিব দুঃখ মোর/ কহনে না যায়।
কাহারে বলিব কিবা/ দূষি বাপ মায়।।
শ্রাবণে বরিষে মেঘ/ দিবস রজনী।
সিতাসিত দুই পক্ষ/ একই না জানি।।
চারি মাসে বস্ত্রখানি/ হৈয়া গেল তুণ্ডা।
পালটিতে নাহি মোর/ একখানি মুণ্ডা।।
আচ্ছাদন নাহি অঙ্গে/ পড়ে মাংস-জল।
কত মাছি খায় অঙ্গে/ করমের ফল।।
অভাগ্য মনে গুণি/ অভাগ্য মনে গুণি।**
কত শত খায় জোঁক/ নাহি খায় ফণী।।
ভাদ্রপদ মাসে বড়/ দুরন্ত বাদল।
নদনদী একাকার/ আট দিকে জল।।
পসরা করিয়ে শিরে/ ফিরে ঘরে ঘরে।
অনলে পুড়এ অঙ্গ/ ভিতরে বাহিরে।।
ফিরাত পাড়াতে বসি/ না মেলে উধার।
হে বন্ধুজন নাহি/ যে বা সহে ভার।।
দুঃখ কর অবধান/ দুঃখ কর অবধান।**

 এই পয়ার ছন্দে লক্ষ্য করুন, প্রতিটি ছত্র বা চরণে চৌদ্দটি করে বর্ণ আছে। পর পর দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল আছে এবং প্রতিটি ছত্রের বা চরণের বাক্য বা বাক্যাংশ কে আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সাজানো হয়েছে। যেমন-

পাশেতে বসিয়া রামা (৩+৩+২) = ৮/ কহে দুঃখবাণী (২+৪) = ৬। অন্ত্যশব্দ = দুঃখবাণী।
ভাঙ্গা কুড়্যা ঘরখানি (২+২+৪) = ৮/ পত্রের ছাওনী (৩+৩) = ৬।।   অন্ত্যশব্দ = ছাওনী।
** এই চরণে ব্যতিক্রম আছে। কবিতাকে শ্রুতিমধুর করার জন্য এমন করা হয়েছে।

   ( পাখী সব করে রব  - মদনমোহন তর্কালঙ্কার) 

পাখি সব করে রব,/ রাতি পোহাইল।
কাননে কুসুম কলি,/ সকলি ফুটিল।।                                                  
রাখাল গরুর পাল,/ ল'য়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন/ নিজ নিজ পাঠে।।
ফুটিল মালতী ফুল,/ সৌরভ ছুটিল।
পরিমল লোভে অলি,/ আসিয়া জুটিল।।
গগনে উঠিল রবি,/ লোহিত বরণ।
আলোক পাইয়া লোক,/ পুলকিত মন।।
শীতল বাতাস বয়,/ জুড়ায় শরীর।
পাতায় পাতায় পড়ে,/ নিশির শিশির।।
উঠ শিশু মুখ ধোও,/ পর নিজ বেশ।
আপন পাঠেতে মন,/ করহ নিবেশ।।

*********************************

মদনমোহন তর্কালঙ্কারের এই কবিতায় লক্ষ্য করুন, প্রতিটি ছত্র বা চরণে চৌদ্দটি করে বর্ণ আছে। পর পর দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল আছে এবং প্রতিটি ছত্রের বা চরণের বাক্য বা বাক্যাংশ কে আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সাজানো হয়েছে। যেমন-

পাখি সব করে রব (২+২+২+২) = ৮,/ রাতি পোহাইল (২+৪) = ৬। অন্ত্য শব্দ = পোহাইল।
কাননে কুসুম কলি (৩+৩+২) = ৮,/ সকলি ফুটিল (৩+৩) = ৬।।      অন্ত্য শব্দ = ফুটিল।

স্বাধীনতার সুখ    -- রজনীকান্ত সেন) 

বাবুই পাখিরে ডাকি / বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থাকি কর / শিল্পের বড়াই:
আমি থাকি মহাসুখে/ অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও / রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে।
বাবুই হাসিয়া কহে,/ সন্দেহ কী তায়,
কষ্ট পাই,তবু থাকি/ নিজের বাসায়।
পাকা হোক,তবু ভাই,/ পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর/ কাঁচা ঘর, খাসা।

************************************

রজনীকান্ত সেনের এই কবিতায় লক্ষ্য করুন, প্রতিটি ছত্র বা চরণে চৌদ্দটি করে বর্ণ আছে। পর পর দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল আছে এবং প্রতিটি ছত্রের বা চরণের বাক্য বা বাক্যাংশ কে আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সাজানো হয়েছে। যেমন-

বাবুই পাখিরে ডাকি (৩+৩+২) = ৮/ বলিছে চড়াই (৩+৩) = ৬,       অন্ত্য শব্দ = চড়াই।
কুঁড়ে ঘরে থাকি কর (২+২+২+২) = ৮/ শিল্পের বড়াই (৩+৩) = ৬;   অন্ত্য শব্দ = বড়াই।

 (তপসে মাছ - - - ঈশ্বর গুপ্ত 

 কষিত-কনককান্তি/ কমনীয় কায়।
 গালভরা গোঁফ-দাড়ি/ তপস্বীর প্রায়॥
 মানুষের দৃশ্য নও/ বাস কর নীরে।
 মোহন মণির প্রভা/ ননীর শরীরে॥
 পাখি নও কিন্তু ধর/ মনোহর পাখা।
 সমধুর মিষ্ট রস/ সব-অঙ্গে মাখা॥
 একবার রসনায়/ যে পেয়েছে তার।
 আর কিছু মুখে নাহি/ ভাল লাগে তার॥
 দৃশ্য মাত্র সর্ব গাত্র/ প্রফুল্লিত হয়।
 সৌরভে আমোদ করে/ ত্রিভুবনময়॥
 প্রাণে নাহি দেরি সয়/ কাঁটা আঁশ বাছা।
 ইচ্ছা করে একেবারে/ গালে দিই কাঁচা॥
 অপরূপ হেরে রূপ/ পুত্রশোক হরে।
 মুখে দেওয়া দূরে থাক/ গন্ধে পেট ভরে॥
 কুড়ি দরে কিনে লই/ দেখে তাজা তাজা।
 টপাটপ খেয়ে ফেলি/ ছাঁকাতেলে ভাজা॥
 না করে উদর যেই/ তোমায় গ্রহণ।
 বৃথায় জীবন তার/ বৃথায় জীবন॥
 নগরের লোক সব/ এই কয় মাস।
 তোমার কৃপায় করে/ মহা সুখে বাস॥


ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত-র এই কবিতায় লক্ষ্য করুন, প্রতিটি ছত্র বা চরণে চৌদ্দটি করে বর্ণ আছে। পর পর দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল আছে এবং প্রতিটি ছত্রের বা চরণের বাক্য বা বাক্যাংশ কে আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সাজানো হয়েছে। যেমন-

কষিত-কনককান্তি (৩+৫) = ৮/ কমনীয় কায়। (৪+২) = ৬,         অন্ত্য শব্দ = কায়।
গালভরা গোঁফ-দাড়ি (৪+২+২) = ৮/ তপস্বীর প্রায় (৪+২) = ৬।    অন্ত্য শব্দ = প্রায়।
 (খেয়া  --রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর) 

খেয়ানৌকা পারাপার/ করে নদীস্রোতে;
কেহ যায় ঘরে,কেহ/ আসে ঘর হতে।
দুই তীরে দুই গ্রাম/ আছে জানাশোনা,
সকাল হইতে সন্ধ্যা/ করে আনাগোনা।
পৃথিবীতে কত দ্বন্দ্ব,/ কত সর্বনাশ,
নূতন নূতন কত/ গড়ে ইতিহাস-
রক্তপ্রবাহের মাঝে/ ফেনাইয়া উঠে,
সোনার মুকুট কত/ ফুটে আর টুটে !
সভ্যতার নব নব/ কত তৃষ্ণা ক্ষুধা-
উঠে কত হলাহল/ উঠে কত সুধা !
শুধু হেথা দুই তীরে,/ কে বা জানে নাম,
দোঁহা-পানে চেয়ে আছে/ দুইখানি গ্রাম।
এই খেয়া চিরদিন/ চলে নদীস্রোতে-
কেহ যায় ঘরে,কেহ/ আসে ঘর হতে।।


রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের এই কবিতায় লক্ষ্য করুন, প্রতিটি ছত্র বা চরণে চৌদ্দটি করে বর্ণ আছে। পর পর দুইটি ছত্রের বা চরণের অন্ত্যমিল আছে এবং প্রতিটি ছত্রের বা চরণের বাক্য বা বাক্যাংশকে আট-ছয় মাত্রা বিভাগের দুইটি পর্বে সাজানো হয়েছে। যেমন-

 খেয়ানৌকা পারাপার (৪+৪) = ৮/ করে নদীস্রোতে (২+৪) = ৬;              অন্ত্য শব্দ = স্রোতে।
 কেহ যায় ঘরে, কেহ (২+২+২+২) = ৮/ আসে ঘর হতে (২+২+২) = ৬।   অন্ত্য শব্দ = হতে।
পরের পর্ব



২টি মন্তব্য: