নবদুর্গা
১ শৈলপুত্রী : প্রতিপদের দিন দেবী শৈলপুত্রী । হিমালয়ের কন্যা হিসেবে শৈলশিখরে জন্মগ্রহণ করেন বলে তিনি শৈলপুত্রী নামে খ্যাত। দেবী পূর্ব জন্মে ছিলেন দক্ষ নন্দিনী সতী । দক্ষের অমতে তিনি শিব কেই বিবাহ করেন। দক্ষ এক শিব হীন যজ্ঞের আয়োজন করলে দেবী সতী বিনা নিমন্ত্রণে পিত্রালয়ে গিয়ে অনেক অপমানিত হলেন ও যজ্ঞের আগুনে আত্মাহুতি দেন। ভগবান শিব সতীর শোকে তাণ্ডব শুরু করেন। দক্ষ যজ্ঞ ধ্বংস হয় । এই দেবীই পর জন্মে হিমালয় কন্যা পার্বতী রূপে জন্ম নেন।
শুক্লপক্ষের প্রতিপদে বিল্বপত্র, জবা, মিষ্টান্ন, ফল, নৈবদ্য ইত্যাদি বিভিন্ন উপাচার অর্পণ করে মায়ের পূজা করা হয়।
দেবী শৈলপুত্রীর বাঁহাতে থাকে প্রস্ফুটিত পদ্মফুল আর মাথায় থাকে অর্ধচন্দ্র। দেবীর ডানহাতে থাকে ত্রিশূল, বাহন বৃষ। দেবী মঙ্গলময়ী, ভক্তবৎসলা। দেবী সন্তুষ্টা হলে ভক্তকে সমস্ত বিপদ, ভয় থেকে সর্বদা রক্ষা করেন।
ধ্যানং (মূলাধারচক্র ) :
বন্দে বাঞ্ছিতলাভায় চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
বৃষারূঢাং শূলধরাং শৈলপুত্রীং য়শস্বিনীম্ ॥
পূর্ণেন্দুনিভাঙ্গৌরীং মূলাধারস্থিতাং প্রথমদুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
পটাম্বরপরিধানাং রত্নকিরীটাং নানালঙ্কারভূষিতাম্ ॥
প্রফুল্লবদনাং পল্লবাধরাং কান্তকপোলাং তুঙ্গকুচাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যস্নেহমুখীং ক্ষীণমধ্যাং নিতম্বনীম্ ॥
স্তোত্রম্ -
প্রথমদুর্গা ত্বং হি ভবসাগরতারিণী ।
ধন ঐশ্বর্যদায়িনী শৈলপুত্রী প্রণমাম্যহম্ ॥
ত্রিলোকজননী ত্বং হি পরমানন্দপ্রদায়িনী ।
সৌভাগ্যারোগ্যদায়নী শৈলপুত্রী প্রণমাম্যহম্ ॥
চরাচরেশ্বরী ত্বং হি মহামোহবিনাশিনী ।
ভুক্তিমুক্তিদায়নী শৈলপুত্রী প্রণমাম্যহম্ ॥
কবচম্ -
ওঙ্কারঃ মে শিরঃ পাতু মূলাধারনিবাসিনী ।
হ্রীঙ্কারঃ পাতু ললাটে বীজরূপা মহেশ্বরী ॥
শ্রীকারঃ পাতু বদনে লজ্জারূপা মহেশ্বরী ।
হূঙ্কারঃ পাতু হৃদয়ে তারিণী শক্তিঃ স্বধৃতা ॥
ফট্কারঃ পাতু সর্বাঙ্গে সর্বসিদ্ধিফলপ্রদা ।
২ ব্রহ্মচারিণী : দ্বিতীয়ার দিন দেবী ব্রহ্মচারিণী। শিবকে পাওয়ার জন্য তপস্বিনী রূপে তপস্যা করেন দেবী । গাছ থেকে পড়া পাতাটিও খেতেন না বলে তাকে অপর্ণাও বলা হতো।
‘বেদস্তত্ত্বং তপো ব্রহ্ম’ - অর্থাৎ বেদ, তত্ত্ব এবং তপ হল ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ। ব্রহ্ম শব্দের অর্থ তপস্যা। ব্রহ্মচারিণী অর্থাৎ তপশ্চারিণী বা তপ আচরণকারিণী এই দেবীর এই দেবীর রূপ জ্যোতিতে পূর্ণ, অতি মহিমামণ্ডিত।দেবীর বাঁহাতে থাকে কমণ্ডল এবং অঙ্গভূষণ হল রুদ্রাক্ষ। তাঁর ডানহাতে থাকে পদ্মফুল। নারদের পরামর্শে শিবকে পতিরূপে লাভ করার জন্য তিনি কঠিন তপস্যা করেন। তাই, তাকে তপশ্চারিণী বা ব্রহ্মচারিণী বলা হয়।
ব্রহ্মচারিণী (স্বাধিষ্ঠানচক্র):
দধানা করপদ্মাভ্যামক্ষমালাকমণ্ডলূ ।
দেবী প্রসীদতু ময়ি ব্রহ্মচারিণ্যনুত্তমা ॥
ধ্যানং -
বন্দে বাঞ্ছিতলাভায় চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
জপমালাকমণ্ডলুধরাং ব্রহ্মচারিণীং শুভাম্ ।
গৌরবর্ণাং স্বাধিষ্ঠানস্থিতাং দ্বিতীয়দুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
ধবলবর্ণাং ব্রহ্মরূপাং পুষ্পালঙ্কারভূষিতাম্ ।
পদ্মবদনাং পল্লবাধরাং কান্তঙ্কপোলাং পীনপয়োধরাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং স্মেরমুখীং নিম্ননাভিং নিতম্বনীম্ ॥
স্তোত্রং -
তপশ্চারিণী ত্বং হি তাপত্রয়নিবারিণী ।
ব্রহ্মরূপধরাং ব্রহ্মচারিণীং প্রণমাম্যহম্ ॥
নবচক্রভেদিনী ত্বং হি নব ঐশ্বর্যপ্রদায়িনী ।
ধনদাং সুখদাং ব্রহ্মচারিণীং প্রণমাম্যহম্ ॥
শঙ্করপ্রিয়া ত্বং হি ভুক্তি-মুক্তিদায়িনী ।
শান্তিদাং মানদাং ব্রহ্মচারিণীং প্রণমাম্যহম্ ।।
কবচম্ -
ত্রিপুরা মে হৃদয়ং পাতু ললাটং পাতু শঙ্করভামিনী
অর্পণা সদা পাতু নেত্রৌ অধরৌ চ কপোলৌ ॥
পঞ্চদশী কণ্ঠং পাতু মধ্যদেশং পাতু মাহেশ্বরী
ষোডশী সদা পাতু নভো গৃহো চ পাদয়ো ।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গং সততং পাতু ব্রহ্মচারিণী ॥
৩ চন্দ্রঘন্টা : মহাতৃতীয় দিন দেবী চন্দ্রঘন্টা। দেবীর মাথায় অর্ধচন্দ্র থাকে ও দেবীর মুখ চাঁদের মতোই সুন্দর ও স্নিগ্ধ আলোয় উজ্জ্বল, তাই, দেবীর নাম ‘চন্দ্রঘণ্টা’ । তাঁর দর্শনেই সকলের মন ভালো হয়ে যায়। এই রূপে দেবী যুদ্ধোদ্যত। ভক্তদের রক্ষা করতে দশভুজা দেবীর আটটি হাতে অস্ত্রধারণ করেছেন ও বাকি দুহাতে বরাভয় মুদ্রা। তাঁর মস্তকে থাকে অর্ধচন্দ্র, হাতে থাকে কমণ্ডল, তরোয়াল, গদা, ত্রিশূল, ধনুর্বাণ, পদ্ম, জপমালা এবং তাঁর শরীরের রং সোনার মতো উজ্জ্বল।
শিব পার্বতীর বিবাহের সময় তারকাসুর প্রেরিত দৈত্য ও দানবদের তাড়াতে পার্বতীর শরীর হতে এই সিংহবাহনা দেবী উৎপন্ন হন । দেবী তাঁর ঘণ্টার ন্যায় প্রচণ্ড ধ্বনিতে দুরাচার দানব ও দৈত্যদের প্রকম্পিত করে। ত্রিনয়নী দেবী খুবই মোহময়ী ও উজ্জ্বল।
চন্দ্রঘণ্টা -(মণিপুরচক্র)
পিণ্ডজপ্রবরারূঢা চন্দ্রকোপাস্ত্রকৈর্যুতা ।
প্রসাদং তনুতাং মহ্যং চন্দ্রঘণ্টেতি বিশ্রুতা ॥
ধ্যানং -
বন্দে বাঞ্ছিতলাভায় চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
সিংহারূঢাং দশভুজাঞ্চন্দ্রঘণ্টাং য়শস্বনীম্ ॥
কঞ্জনাভাং মণিপুরস্থিতাং তৃতীয়দুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
খড্গগদাত্রিশূলচাপধরাং পদ্মকমণ্ডলুমালাবরাভয়করাম্ ।
পটাম্বরপরিধানাং মৃদুহাস্যাং নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীর-হার-কেয়ূর-কিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলমণ্ডিতাম্ ॥
প্রফুল্লবন্দনাং বিম্বাধারাং কান্তঙ্কপোলাং তুঙ্গকুচাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং ক্ষীণকটিং নিতম্বনীম্ ॥
স্ত্রোত্রঃ-
আপদুদ্ধারিণী ত্বং হি আদ্যাশক্তিঃ শুভা পরা ।
অণিমাদিসিদ্ধিদাত্রি চন্দ্রঘণ্টে প্রণমাম্যহম্ ॥
চন্দ্রমুখী ইষ্টদাত্রী ইষ্টমন্ত্রস্বরূপণী ।
ধনদাত্র্যানন্দদাত্রী চন্দ্রঘণ্টে প্রণমাম্যহম্ ॥
নানারূপধারিণী ইচ্ছাময়ী ঐশ্বর্যদায়নী ।
সৌভাগ্যারোগ্যদায়নী চন্দ্রঘণ্টে প্রণমাম্যহম্ ॥
কবচঃ-
রহস্যং শৃণু বক্ষ্যামি শৈবেশি কমলাননে ।
শ্রীচন্দ্রঘণ্টাকবচং সর্বসিদ্ধিপ্রদায়কম্ ॥
বিনা ন্যাসং বিনা বিনিয়োগং বিনা শাপোদ্ধারং বিনা হোমম্ ।
স্নানং শৌচাদিকং নাস্তি শ্রদ্ধামাত্রেণ সিদ্ধিদম্ ॥
কুশিষ্যায় কুটিলায় বঞ্চকায় নিন্দাকায় চ ।
ন দাতব্যং ন দাতব্যং ন দাতব্যঙ্কদাচন ॥
৪ কুষ্মাণ্ডা : মহাচতুর্থীর দিন দেবী কুষ্মাণ্ডা ।
‘কু’, ‘উষ্ণ’ এবং ‘অণ্ড’ এই তিনটি ভাগে ‘কুষ্মাণ্ডা’ শব্দটিকে ভাগ করা হয়।’কু’ অর্থাৎ স্বল্প, ‘উষ্ণ’ অর্থাৎ গরম এবং ‘অণ্ড’ অর্থাৎ বিশ্বজগৎকে বোঝানো হয়েছে। দেবী নিজ হাসি এবং হাতের পাত্রের রক্ত দিয়ে সৃষ্টি করেন আলোকিত ব্রহ্মাণ্ড। এই রূপে দেবীর গাত্রবর্ণ সূর্যের কিরোনের মতো উজ্জ্বল। আটিট হাত দেবী কমণ্ডলু, ধনুক, বাণ, পদ্ম, অমৃতকলস, চক্র, গদা এবং জপমালা ধারণ করে আছেন । অমৃত এখানে ব্রহ্মের রূপক। দেবী অমৃতপূর্ণ কলস অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞানের আধার হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন। যোগ্য সাধক আপন তপোবল ও কৃচ্ছ্রতা দ্বারা মহামায়াকে প্রসন্না করতে পারলে তবেই মা সেই অমৃতভাণ্ডের অমৃতধারায় সাধককে স্নান করিয়ে তৃপ্ত করবেন অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞান প্রদানে কৃতার্থ করবেন।
এই দেবী কৃষ্ণমাণ্ড নামেও পরিচিতা। ভীমা পর্বতে দেবীর অবস্থান।
কূষ্মাণ্ডা (অনাহতচক্র)
সুরাসম্পূর্ণকলশং রুধিরাপ্লুতমেব চ ।
দধানা হস্তপদ্মাভ্যাং কূষ্মাণ্ডা শুভদাঽস্তু মে ॥
ধ্যানং -
বন্দে বাঞ্ছিতকামর্থং চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
সিংহারূঢামষ্টভুজাং কুষ্মাণ্ডাং চ য়শস্বিনীম্ ॥
ভাস্বরাং ভানুনিভামনাহতস্থিতাং চতুর্থদুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
কমণ্ডলুচাপবাণপদ্মসুধাকলশচক্রগদাজপবটীধরাম্ ॥
পটাম্বরপরিধানাং কমনীয়াং মৃদুহাস্যা নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীরহারকেয়ূরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলমণ্ডিতাম্ ।
প্রফুল্লবদনাং চারুচিবুকাং কান্তকপোলাং তুঙ্গকুচাম্ ।
কোলাঙ্গীং স্মেরমুখীং ক্ষীণকটিং নিম্ননাভিং নিতম্বনীম্ ॥
স্ত্রোত্রঃ-
দুর্গতিনাশিনী ত্বং হি দারিদ্র্যাদিবিনাশিনী ।
জয়দা ধনদা কূষ্মাণ্ডে প্রণমাম্যহম্ ॥
জগন্মাতা জগত্কর্ত্রি জগদাধাররূপিণী ।
চরাচরেশ্বরী কূষ্মাণ্ডে প্রণমাম্যহম্ ॥
ত্রৈলোক্যসুন্দরী ত্বং হি দুঃখশোকনিবারিণী ।
পরমানন্দময়ী কূষ্মাণ্ডে প্রণমাম্যহম্ ॥
কবচং -
হসরৈ মে শিরঃ পাতু কূষ্মাণ্ডা ভবনাশিনী ।
হসলকরী নেত্রঽথ, হসরৌশ্চ ললাটকম্ ॥
কৌমারী পাতু সর্বগাত্রে বারাহী উত্তরে তথা ।
পূর্বে পাতু বৈষ্ণবী ইন্দ্রাণী দক্ষিণে মম ।
দিগ্দিক্ষু সর্বত্রৈব কূম্বীজং সর্বদাঽবতু ॥
৫. স্কন্দমাতা : মহাপঞ্চমীর দিন দেবী স্কন্দমাতা।
কার্তিকের আরেক নাম ‘স্কন্দ’। পশ্চিমভারতে কার্তিকেয়র মাতা হিসেবে এই ত্রিনয়নী, চারহাতবিশিষ্টা ‘স্কন্দমাতা’ পুজিতা হন। ডানদিকের ওপরে রয়েছেন শিশু কার্তিক এবং নীচের হাতে রয়েছে প্রস্ফুটিত পদ্ম। এই দেবীর কোনো বাহন নেই, তিনি প্রস্ফুটিত কমলে বসে থাকেন। ছান্দোগ্য উপনিষদে কথিত, জ্ঞানীগণ যাঁর, উদরে জন্মগ্রহণের অভিলাষ করেন, সেই শুদ্ধ দেবীই ‘স্কন্দমাতা’। স্বর্ণোজ্জ্বল গাত্রবর্ণের দেবী পদ্মের ওপর উপবিষ্টা বলে তাঁকে ‘পদ্মসনা’ও বলা হয়।
শিবতেজ অগ্নি ধারন করে শরবনে নিক্ষেপ করেন। আর সেই তেজ হতে ছয় মাথা বিশিষ্ট স্কন্দ বা কার্তিকেয়র জন্ম হয়। এই দেবী স্কন্দমাতাই তাকে লালনপালন করেন। এই স্কন্দই তারকাসুরকে হত্যা করেন।
স্কন্দমাতা (বিশুদ্ধচক্র)
সিংহাসনগতা নিত্যং পদ্মাশ্রিতকরদ্বয়া ।
শুভদাস্তু সদা দেবী স্কন্দমাতা য়শস্বিনী ॥
ধ্যানম্ -
বন্দে বাঞ্ছিতকামার্থে চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
সিংহারূঢা চতুর্ভুজা স্কন্ধমাতা য়শস্বনী ॥
ধবলবর্ণা বিশুদ্ধচক্রস্থিতা পঞ্চমদুর্গা ত্রিনেত্রা ।
অভয়পদ্ময়ুগ্মকরাং দক্ষিণ ঊরুপুত্রধরাং ভজেঽম্ ॥
পটাম্বরপরিধানা মৃদুহাস্যা নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীরহারকেয়ূরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলধারিণীম্ ॥
প্রভুল্লবদনাং পল্লবাধরাং কান্তকপোলাং পীনপয়োধরাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং চারূত্রিবলীং নিতম্বনীম্ ॥
স্তোত্রম্ -
নমামি স্কন্দমাতরং স্কন্ধধারিণীম্ ।
সমগ্রতত্ত্বসাগরামপারপারগহরাম্ ॥
শশিপ্রভাং সমুজ্জ্বলাং স্ফুরচ্ছশাঙ্কশেখরাম্ ।
ললাটরত্নভাস্করাং জগত্প্রদীপ্তভাস্করাম্ ॥
মহেন্দ্রকশ্যপার্চিতাং সনত্কুমারসংস্তুতাম্ ।
সুরাসুরেন্দ্রবন্দিতাং য়থার্থনির্মলাদ্ভুতাম্ ॥
অতর্ক্যরোচিরূবিজাং বিকার দোষবর্জিতাম্ ।
মুমুক্ষুভির্বিচিন্তিতাং বিশেষতত্ত্বমূচিতাম্ ॥
নানালঙ্কারভূষিতাং মৃগেন্দ্রবাহনাগ্রতাম্ ।
সুশুদ্ধতত্ত্বতোষণাং ত্রিবেদমারভাষণাম্ ॥ ??মার
সুধার্মিকৌপকারিণীং সুরেন্দ্রবৈরিঘাতিনীম্ ।
শুভাং সুপুষ্পমালিনীং সুবর্ণকল্পশাখিনীম্ ॥
তমোঽন্ধকারয়ামিনীং শিবস্বভাবকামিনীম্ ।
সহস্ত্রসূর্যরাজিকাং ধনঞ্জয়োগ্রকারিকাম্ ॥
সুশুদ্ধকালকন্দলাং সুভৃঙ্গকৃন্দমঞ্জুলাম্ ।
প্রজায়িনীং প্রজাবতীং নমামি মাতরং সতীম্ ॥
স্বকর্মধারণে গতিং হরিং প্রয়চ্ছ পার্বতীম্ । ??প্রয়চ্ছ
অনন্তশক্তিকান্তিদাং য়শোঽথ ভুক্তিমুক্তিদাম্ ॥
পুনঃপুনর্জগদ্ধিতাং নমাম্যহং সুরার্চিতাম্ ।
জয়েশ্বরি ত্রিলাচনে প্রসীদ দেবি পাহি মাম্ ॥
কবচম্ -
ঐং বীজালিকা দেবী পদয়ুগ্মধরা পরা ।
হৃদয়ং পাতু সা দেবী কার্তিকেয়য়ুতা সতী ॥
শ্রীং হ্রীং হুং ঐং দেবী পূর্বস্যাং পাতু সর্বদা ।
সর্বাঙ্গ মেং সদা পাতু স্কন্দমাতা পুত্রপ্রদা ॥
বাণবাণামৃতে হুং ফট্ বীজসসমন্বিতা ।
উত্তরস্যাং তথাগ্নে চ বারূণে নৈৠতেঽবতু ॥
ইন্দ্রাণী ভৈরবী চৈবাসিতাঙ্গী চ সংহারিণী ।
সর্বদা পাতু মাং দেবী চান্যান্যাসু হি দিক্ষু বৈ ॥
৬ কাত্যায়নী : মহাষষ্ঠীর দিন দেবী কাত্যায়নী । ঋষি কাত্যায়নের কন্যা বলে নাম হয় কাত্যায়নী। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ঋষি কাত্যায়ন একটি একটি কন্যাসন্তান লাভের আশায় দেবীর তপস্যা করেন। দেবী তুষ্ট হয়ে কন্যারুপে জন্মগ্রহণ করেন বলে নাম হয় ‘কাত্যায়নী’।
অপর একটি মতানুসারে, মহিষাসুরের অত্যাচার অতীষ্ঠ হয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ও অন্যান্য দেবতারা ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমবেত হন। সেখান তাঁদের তেজ সমবেত হয়ে দেবী কাত্যায়নীর সৃষ্টি হয়। এই দেবীই দশমীর দিন মহিষাসুর বধ করেন।
দেবীর আট হাতে রয়েছে আট অস্ত্র । দেবী ত্রিনয়নী ও সিংহবাহিনী।
কাত্যায়নী (আজ্ঞাচক্র)
চন্দ্রহাসোজ্জ্বলকরা শার্দূলবরবাহনা ।
কাত্যায়নী চ শুভদা দেবী দানবঘাতিনী ॥
ধ্যানম্ -
বন্দে বাঞ্ছিতমনোরথার্থায় চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
সিংহারূঢাং চতুর্ভুজাং কাত্যায়নীং য়শস্বনীম্ ॥
স্বর্ণবর্ণামাজ্ঞাচক্রস্থিতাং ষষ্ঠদুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
বরাভীতকরাং সগপদধরাং কাত্যায়নসুতাং ভজামি ॥
পটাম্বরপরিধানাং স্মেরমুখীং নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীরহারকেয়ুরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলমণ্ডিতাম্ ॥
প্রসন্নবদনাং পল্লবাধরাং কান্তকপোলাং তুঙ্গকুচাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং ত্রিবলীবিভূষিতনিম্ননাভিম্ ॥
স্তোত্রম্ -
কাঞ্চনাভাং বরাভয়পদ্মধরাং মুকুটোজ্জ্বলাং ।
স্মেরমুখীং শিবপত্নীং কাত্যায়নসুতে নমোঽস্তুতে ॥
পটাম্বরপরিধানাং নানালঙ্কারভূষিতাং ।
সিংহাস্থিতাং পদ্মহস্তাং কাত্যায়নসুতে নমোঽস্তুতে ॥
পরমানন্দময়ী দেবি পরব্রহ্ম পরমাত্মা ।
পরমশক্তি,পরমভক্তি, কাত্যায়নসুতে নমোঽস্তুতে ॥
বিশ্বকর্ত্রীং,বিশ্বভর্ত্রীং,বিশ্বহর্ত্রীং,বিশ্বপ্রীতাম্ ।
বিশ্বচিত্তাং,বিশ্বাতীতাং কাত্যায়নসুতে নমোঽস্তুতে ॥
কাং বীজা, কাং জপানন্দা কাং বীজজপতোষিতা ।
কাং কাং বীজজপাসক্তাং কাং কাং সন্তুতা ॥ ?? কাং বীজজপসংস্তুতাম্
কাঙ্কারহর্ষিণীং কাং কাং ধনদাং ধনমানসাম্ ।
কাং বীজজপকারিণীং কাং বীজতপমানসাম্ ॥
কাং কারিণীং কাং সূত্রপূজিতাং কাং বীজধারিণীম্ ।
কাং কীং কূং কৈং কৌং কঃ ঠঃ ছঃ স্বাহারূপণী ॥
কবচম্ -
কাত্যায়নী মুখং পাতু কাং কাং স্বাহাস্বরূপণী ।
ললাটং বিজয়া পাতু মালিনী নিত্যসুন্দরী ॥
কল্যাণী হৃদয়ং পাতু জয়া চ ভগমালিনী ॥
৭ কালরাত্রি : মহাসপ্তমীর দিন দেবী কালরাত্রি । দেবী কৃষ্ণবর্ণা ও আলুলায়িতকেশা। তাঁর কন্ঠে বিদ্যুতের মালিকা। ত্রিনয়নী দেবীর শ্বাস-প্রশ্বাসে বেরিয়ে আসে আগুনের হলকা। ভীষণদর্শনা দেবীর তিন হাতে অস্ত্র, এক হাতে ভক্তদের প্রতি বরাভয়। তিনি সর্বনাশক কালেরও নাশিকা রাত্রি। তিনি বিপদকালে সকল কিছু বিনাশ করেন। তিনি প্রলয়কালকেও বিনাশ করতে পারেন।
এই রূপেই তিনি কালিকা হিসেবে পূজিত হন। তবে, এই রূপেও দেবী ভক্তের শুভ করেন। তাই, অন্যদিকে তিনি শুভঙ্করী । দেবীর বাহন গদর্ভ বা গাধা ।
কালরাত্রি (ভানু চক্র)
একবেণীজপাকর্ণপুরাননা খরাস্থিতা ।
লম্বোষ্ঠীকর্ণিকাকর্ণীতৈলাভ্যঙ্গশরীরিণী ॥
বামপাদোল্লসল্লোহলতাকণ্টকভূষণা ।
বর্ধনামূর্ধজা কৃষ্ণা কালরাত্রির্ভয়ঙ্করী ॥
ধ্যানম্ -
করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাম্ ।
কালরাত্রিং করালীং চ বিদ্যুন্মালাবিভূষিতাম্ ॥
দিব্যলৌহবজ্রখড্গবামাধোর্ধ্বকরাম্বুজাম্ ।
অভয়ং বরদাং চৈব দক্ষিণোর্ধ্বাধঃ পাণিকাম্ ॥
মহামেঘপ্রভাং শ্যামাং তথা চ গর্দভারূঢাম্ ।
ঘোরদংষ্ট্রাকারালাস্যাং পীনোন্নতপয়োধরাম্ ॥
সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরাননসরোরুহাম্ ।
এবং সঞ্চিয়ন্তয়েত্কালরাত্রিং সর্বকামসমৃদ্ধিদাম্ ॥
স্তোত্রম্ -
হ্রীং কালরাত্রিঃ শ্রীং করালী চ ক্লীং কল্যাণী কলাবতী ।
কালমাতা কলিদর্পঘ্নী কপদীংশকৃপন্বিতা ॥
কামবীজজপানন্দা কামবীজস্বরূপিণী ।
কুমতিঘ্নী কুলীনাঽঽর্তিনশিনী কুলকামিনী ॥
ক্লীং হ্রীং শ্রীং মন্ত্রবর্ণেন কালকণ্টকঘাতিনী ।
কৃপাময়ী কৃপাধারা কৃপাপারা কৃপাগমা ॥
কবচম্ -
ওঁ ক্লীং মে হৃদয়ং পাতু পাদৌ শ্রীং কালরাত্রিঃ ।
ললাটং সততং পাতু দুষ্টগ্রহনিবারিণী ॥
রসনাং পাতু কৌমারী ভৈরবী চক্ষুষী মম ।
কটৌ পৃষ্ঠে মহেশানী কর্ণৌ শঙ্করভামিনী ।
বর্জিতানি তু স্থানানি য়ানি চ কবচেন হি ।
তানি সর্বাণি মে দেবী সততং পাতু স্তম্ভিনী ॥
৮ মহাগৌরী : মহাষ্টমীর দিন দেবী মহাগৌরী ।
দেবীর এই রূপ নিয়ে অনেক মত প্রচলিত আছে। কারও কারও মতে, হিমালয়কন্যা ছিলেন কৃষ্ণা, আবার কেউ কেউ বলেন, আট বছর বয়সি দেবীর গাত্রবর্ণ শঙ্খ, চাঁদ অথবা জুঁইফুলের মতো সাদা। শুধু গাত্রবর্ণই নয়, তাঁর পরিধেয় বস্ত্র, অলঙ্কারও শ্বেত-শুভ্র। শিবকে স্বামীরূপে কামনা করে কঠোর তপস্যা করেছিলেন দেবী পার্বতী। তাতে তাঁর গায়ের রং কৃষ্ণবর্ণ হয়ে ওঠেন। তখন শিব তাকে গঙ্গাজলে স্নান করান ও দেবী হয়ে ওঠেন গৌরকায়। তার নাম হয় মহাগৌরী ।
দেবীর হাতে থাকে ডমরু। দেবীর বাহন ষাঁড়। দেবী ত্রিনয়নী, চতুর্ভুজা। দেবীর এক হাত শোভিত বরাভয় মুদ্রায়, পদ্ম এবং ত্রিশূল অন্যান্য হাতে শোভিত। প্রচলিত বিশ্বাস, নবরাত্রির অষ্টম রাতে তাঁর পুজো করলে সব পাপ ধুয়ে যায়।
মহাগৌরী (সোমচক্র)
শ্বেতে বৃষে সমারূঢা শ্বেতাম্বরধরা শুচিঃ ।
মহাগৌরী শুভং দদ্যান্মহাদেবপ্রমোদদা ॥
ওঁ নমো ভগবতি মহাগৌরি বৃষারূঢে শ্রীং হ্রীং ক্লীং হুং ফট্ স্বাহা ।
ধ্যান-
বন্দে বাঞ্ছিতকামার্থং চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
সিংহারূঢাং চতুর্ভুজাং মহাগৌরীং য়শস্বীনীম্ ॥
পুর্ণেন্দুনিভাং গৌরীং সোমবক্রস্থিআতাং অষ্টমদুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
বরাভীতিকরাং ত্রিশূলডমরূধরাং মহাগৌরীং ভজেঽহম্ ॥
পটাম্বরপরিধানাং মৃদুহাস্যাং নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীরহারকেয়ূরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলমণ্ডিতাম্ ॥
প্রফুল্লবদনাং পল্লবাধরাং কান্তকপোলাং ত্রৈলোক্যমোহনীম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং মৃণালাং চন্দনগন্ধলিপ্তাম্ ॥
স্তোত্রম্ -
সর্বসঙ্কটহন্ত্রী ত্বং ধনৈশ্বর্যপ্রদায়নী ।
জ্ঞানদা চতুর্বেদময়ী মহাগৌরীং প্রণমাম্যহম্ ॥
সুখশান্তিদাত্রীং, ধনধান্যপ্রদায়নীম্ ।
ডমরূবাদনপ্রিয়াং মহাগৌরীং প্রণমাম্যহম্ ॥
ত্রৈলোক্যমঙ্গলা ত্বং হি তাপত্রয়বিনাশিনীং প্রণমাম্যহম্ ।
বরদা চৈতন্যময়ী মহাগৌরীং প্রণমাম্যহম্ ॥
কবচম্ -
ওঙ্কারঃ পাতু শীর্ষে মাং, হ্রীং বীজং মাং হৃদয়ে ।
ক্লীং বীজং সদা পাতু নভো গৃহো চ পাদয়োঃ ॥
ললাটকর্ণৌ হূং বীজং পাতু মহাগৌরী মাং নেত্রঘ্রাণৌ ।
কপোলচিবুকৌ ফট্ পাতু স্বাহা মাং সর্ববদনৌ ॥
৯ সিদ্ধিদাত্রী : নবরাত্রির শেষদিন অর্থাৎ মহানবমীর দিন দেবী সিদ্ধিদাত্রী । সিংহবাহিনী দেবীর চার হাতে আশীর্বাদী মুদ্রা। তিনি সিদ্ধিদান অরেন অর্থাৎ তাঁর উপসনায় সংসারে আসে সুখ এবং সমৃদ্ধি। সবাইকে বরাভয় দেন এই মাতৃকামূর্তি। দেবী ভগবৎ পুরাণে আছে, স্বয়ং মহাদেব দেবী দুর্গাকে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে পুজো করেছিলেন। সিদ্ধিলাভ করার পরে দেবী মহাশক্তির ইচ্ছায় শিবের দেহের অর্ধেক নারিত্ব লাভ করে, যে কারণে শিব ‘অর্ধনারিশ্বর’ রূপে বিখ্যাত। চতুর্ভুজা, সিংহবাহিনী দেবীর মুখশ্রীতে সর্বদা সন্তুষ্টির ছাপ দেখা যায়। দেবী মোক্ষদান করেন। অনিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রকাম্য, ঈষিত্ব, বশিত্ব— এই আটটি সিদ্ধি দেবী পূরণ করেন। এই রূপে দেবী স্নিগ্ধা, গন্ধর্ব, যক্ষ, অসুর এবং দেবতাদের দ্বারা পূজিত হন।
'সিদ্ধ গন্ধর্ব যক্ষাদ্যৈঃ অসুরৈরমবৈরনি ,সেবামানা সদা ভুয়াৎ সিদ্ধিদা সিদ্ধিদায়িনী ।।'
'ঔং ঐং হ্রীং ক্লীং চামুণ্ডায়ৈ বিচ্চে ঔং সিদ্ধিদাত্রি দেব্যৈ নমঃ।
সিদ্ধিদাত্রী (নির্বাণচক্র)
সিদ্ধগন্ধর্বয়ক্ষাদ্যৈরসুরৈরমরৈরপি ।
সেব্যমানা সদা ভূয়াত্ সিদ্ধিদা সিদ্ধিদায়িনী ॥
ধ্যানম্ -
বন্দে বাঞ্ছিতমনোরথার্থং চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্ ।
কমলস্থিতাং চতুর্ভুজাং সিদ্ধিদাং য়শস্বনীম্ ॥
স্বর্ণবর্ণনির্বাণচক্রস্থিতাং নবমদুর্গাং ত্রিনেত্রাম্ ।
শঙ্খচক্রগদা পদ্মধরাং সিদ্ধিদাত্রীং ভজেঽহম্ ॥
পটাম্বরপরিধানাং সুহাস্যাং নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
মঞ্জীরহারকেয়ূরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলমণ্ডিতাম্ ॥
প্রফুল্লবদনাং পল্লবাধরাং কান্তকপোলাং পীনপয়োধরাম্ ।
কমনীয়াং লাবণ্যাং ক্ষীণকটিং নিম্ননাভিং নিতম্বনীম্ ॥
স্তোত্রম্ -
কঞ্জনাভাং শঙ্খচক্রগদাধরাং মুকুটোজ্জ্বলাম্ ।
স্মেরমুখি শিবপত্নি সিদ্ধিদাত্রি নমোঽস্তু তে ॥
পটাম্বরপরিধানাং নানালঙ্কারভূষিতাম্ ।
নলিনস্থিতা নলিনাক্ষী সিদ্ধিদাত্রী নমোঽস্তু তে ॥
পরমানন্দময়ী দেবী পরব্রহ্ম পরমাত্মা ।
পরমশক্তি পরমভক্তি সিদ্ধিদাত্রী নমোঽস্তু তে ॥
বিশ্বকর্ত্রী বিশ্বভর্ত্রী বিশ্বহর্ত্রী বিশ্বপ্রীতা ।
বিশ্বার্চিতা বিশ্বাতীতা সিদ্ধিদাত্রী নমোঽস্তু তে ॥
ভুক্তিমুক্তিকারণী ভক্তকষ্টনিবারিণী ।
ভবসাগরতারিণী সিদ্ধিদাত্রী নমোঽস্তু তে ॥
ধর্মার্থকামপ্রদায়িনী মহামোহবিনাশিনী ।
মোক্ষদায়িনী সিদ্ধিদাত্রী ঋদ্ধিদাত্রী নমোঽস্তু তে ॥
কবচম্ -
ওঙ্কারঃ পাতু শীর্ষে মাং, ঐং বীজং মাং হৃদয়ে ।
হ্রীং বীজং সদা পাতু নভো গৃহো চ পাদয়োঃ ॥
ললাটকর্ণৌ শ্রীং বীজং পাতু ক্লীং বীজং মাং নেত্রঘ্রাণৌ ।
কপোলচিবুকৌ হসৌঃ পাতু জগত্প্রসূত্যৈ মাং সর্ববদনে ॥
নবরাত্রিতে এই নবদুর্গার অর্চনা করা হয়। এরপর আশে বিজয়া দশমী বা দশেরা। সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
#শুভ_দশেরা
'দশ হরা' (দশেরা) একটি সংস্কৃত শব্দ,
যার অর্থ হল দশটি শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করা। যার অর্থ হল, দশটি অপগুণের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করা।
আর এই দশটি অপগুণ বা শত্রু হল -
১|অহংকার (Ego)
২|অমানবতা (Cruelty)
৩|অন্যায় (Injustice)
৪|কামবাসনা (Lust)
৫|ক্রোধ (Anger)
৬|লোভ (Greed)
৭|দম্ভ (Over Pride)
৮|ঈর্ষা (Jealousy)
৯|মোহ (Attachment)
১০|স্বার্থপরতা (Selfishness)
©kisholoi.blogspot.com