পুরাণ অনুসারে সূর্য বংশের বিবরন:
ব্রহ্মা
=>ব্রহ্মা সৃষ্টি করলেন 10 জন প্রজাপতি। মরীচি তাদের অন্যতম।
=>মরীচি ও কলা'র পুত্র কশ্যপ। তিনি মানবজাতির পিতা।
=>কশ্যপ ও অদিতী হতে আদিত্যগণ (অংশ, অর্য্যামা, ভগ , ধৃতি, মিত্র,পূষন ,শক্র , সবিতৃ , ত্বষ্টা , বরুণ, বিষ্ণু , ও বিবস্বন) । এর অন্যতম বিবস্বন বা সূর্য।
=>সূর্য হতে বৈবস্বতমনু। যিনি মানবদের মধ্যে প্রথম রাজা। পুরান অনুসারে 14 টি মনুর শাসনকাল বা মন্বন্তর আছে। এই বৈবস্বতমনু হলেন সপ্তম মনু। "শতপথ ব্রাহ্মণ" এ মনুকে রাজা বলা হয়েছে।
=> বৈবস্বতমনুর নয় পুত্র। তারা হলেন - - বেন , ধৃষ্ণু , নৃষ্যন , নভগ , ঈক্ষ্বাকু , করুষ , সর্য্যাতি, পৃষধ্রু , নভগারিষ্ট ও এক কণ্যা ইলা। ইলা বিবাহ করেন বুধকে, - - যা হতে চন্দ্র বংশের শুরু হয়।
=> ঈক্ষ্বাকু হন পরবর্তী রাজা। অন্যমতে এই ঈক্ষ্বাকু বৈবস্বতমনুর ভাই শরভদেবের পুত্র।
=> ঈক্ষ্বাকুর পুত্র বিকুক্ষি । যিনি শ্রাদ্ধের সময় শশকের মাংস খান বলে শশদ বলে পরিচিত হন। অনেকে তাকে ঈক্ষ্বাকুর নাতি বলেন।
=> বিকুক্ষির পুত্র কাকুস্থ বা পুরঞ্জয়। কাকুস্থ দেবাসুর যুদ্ধে লড়েন। অসুরদের সাথে যুদ্ধের সময় ষাঁড়ের 'কুকুদ' বা কুঁজে বসতেন বলে তার নাম হয় কাকুস্থ। তার নামে তার বংশ কাকুস্থবংশ বলে পরিচিত হন।
=> কাকুস্থের পুত্র অনেনা বা অনরণ্য।
=>অনরণ্যের পুত্র পৃথু ।
=> পৃথুর পুত্র বিশ্বগশ্ব => বিশ্বগশ্বের পুত্র আর্দ্র বা চন্দ্র => আর্দ্রের পুত্র যুবনাশ্ব ।
=> যুবনাশ্বের পুত্র শ্রাবস্ত, যিনি শ্রাবস্তি নগরীর প্রতিষ্ঠা করেন।
=> শ্রাবস্তের পুত্র বৃহদশ্ব
=> বৃহদশ্বের পুত্র কুবলয়াশ্ব ।ইনি ধুন্ধু নামে রাক্ষসকে বধ করে 'ধুন্ধুমার' নামে খ্যাত হন। বলা হয় ধুন্ধার অঞ্চল ও ধুন্ধ নদী ধুন্ধুর নাম হতে নামাঙ্কিত। ধুন্ধের সাথে যুদ্ধে কুবলয়াশ্বের আঠারো জন পুত্র নিহত হয়।
=> কুবলয়াশ্বের পুত্র দৃঢ়শ্রবা => দৃঢ়শ্রবার পুত্র প্রমোদ
=> প্রমোদের পুত্র হর্যশ্ব => হর্যশ্বের পুত্র নিকুম্ভ => নিকুম্ভের পুত্র সন্তশ্ব
=> সন্তশ্বের পুত্র কৃশশ্ব
=> কৃশশ্বের পুত্র প্রথম প্রসেনজিৎ। এই প্রথম প্রসেনজিৎ এর কন্যা রেণুকার ঋষি জমদগ্নির সাথে বিবাহ হয়। রেণুকা হলেন ভগবান পরশুরামের মা।
=> প্রথম প্রসেনজিৎ এর পুত্র দ্বিতীয় যুবনাশ্ব। ইনি চন্দ্রবংশীয় রাজা মতিনারের কন্যা গোরিকে কে বিবাহ করেন।
=> দ্বিতীয় যুবনাশ্বের পুত্র মান্ধাতা। এই চক্রবর্তী রাজা চন্দ্রবংশীয় রাজকন্যা বিন্দুমতিকে কে বিবাহ করেন।
=> মান্ধাতার পুত্র অম্বরীষ । ইনি বিখ্যাত বিষ্ণুভক্ত ছিলেন।
=> অম্বরীষের পুত্র পুরুকুৎস ও হারিত। পুরুকুৎস অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। ইনি নাগকণ্যা 'নর্মদা' কে বিবাহ করেন । রাজা পুরুকুৎস গন্ধর্বদের সাথে যুদ্ধে নাগদের সাহায্য করেন।
এখান হতেই হরিতাশ্ব গোত্রের সৃষ্টি।
=> এরপুত্র ত্রসদস্যু => ত্রসদস্যুর পুত্র সম্ভূত => সম্ভূতের পুত্র দ্বিতীয় অনরণ্য
=> দ্বিতীয় অনরণ্যের পুত্র ত্রসদশ্ব => ত্রসদশ্বের পুত্র দ্বিতীয় হর্যশ্ব
=> দ্বিতীয় হর্যশ্বের পুত্র বসুমান => বসুমানের পুত্র ত্রিধন্বা => ত্রিধন্বার পুত্র ত্রয়রুণা
=> ত্রয়রুনার পুত্র সত্যব্রত বা ত্রিশঙ্কু। ইনি ত্রয় বা তিন পাপ করেন বলে ত্রিশঙ্কু নাম হয়। প্রথমবার যুবরাজ অবস্থায় দুর্ব্যবহার এর জন্য রাজ্য হতে বহিষ্কৃত হন। দ্বিতীয়বার তিনি বশিষ্ঠের গাভী বধ করেন। তার তৃতীয় পাপ হলো তিনি অপবিত্র মাংস শিকার করে খান। স্বশরীরে স্বর্গ যাবার জন্য তিনি বশিষ্ঠের কাছে গেলে বশিষ্ঠ ফিরিয়ে দেন। এরপর বিশ্বামিত্রের কাছে গেলে ঋষি বিশ্বামিত্র 'ত্রিশঙ্কু স্বর্গ' মাঝখানে একটি স্বর্গ নির্মাণ করেন।
=> ত্রিশঙ্কুর পুত্র ধুন্ধুমার ও হরিশচন্দ্র। হরিশচন্দ্র তার দান, সততার ও ধর্মের জন্য বিখ্যাত।
=> হরিশচন্দ্রের পুত্র রোহিতাশ্ব ।তিনি বিহারের রোহতাস জেলার রোহতাসগড় শহর এবং রোহতক (রোহিতকুল ) প্রতিষ্ঠা করেন।
=> রোহিতাশ্বের পুত্র হারিত => হারিতের পুত্র চঞ্চু । => চঞ্চুর পুত্র বিজয়
=> বিজয়ের পুত্র রুরুক => রুরুকের পুত্র বৃক
=> বৃকের পুত্র বাহু বা অসিত। তিনি অন্য এক ক্ষত্রিয়গোষ্ঠী দ্বারা পরাজিত হন। এরপর তিনি স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যা ত্যাগ করে হিমালয়ে গিয়ে সাধুর জীবন যাপন করেন। এসময় যাদবী রানীর গর্ভে সগর জন্মগ্রহণ করেন।
=> অসিতের পুত্র সগর । তিনি 'হৈহয়' ও 'তালজঙ্ঘী' ক্ষত্রিয়গোষ্ঠীর কাছ থেকে অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করেন। তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেন।দেবরাজ ইন্দ্র রাজা সগরের যজ্ঞাশ্ব হরন সমুদ্রের দক্ষিণ -পশ্চিম দিকে কপিলমুনির আশ্রমে বেঁধে দেন। সেখানে যজ্ঞাশ্ব উদ্ধারে গিয়ে কপিলমুনির শাপে সগরের দশহাজার (মতান্তরে ষাট হাজার ) পুত্র ভস্ম হয়ে যায়।
=> সগরের পুত্র অসমঞ্জ ।ইনি বাজে আচরণের জন্য রাজা হতে পারেননি।
=> সগরের নাতি অংশুমান। ইনি গঙ্গাকে মর্ত্যে আনার জন্য তপস্যা করেন, যাতে মা গঙ্গা তার পূর্বপুরুষদের পাপ ধুয়ে দেন ।
=> অংশুমানের পুত্র প্রথম দিলীপ। তিনিও মা গঙ্গাকে মর্ত্যে আনার জন্য তপস্যা করেন।
=> প্রথম দিলীপের পুত্র ভগীরথ। ইনি তপস্যা দ্বারা মা গঙ্গাকে মর্ত্যে আনেন। গঙ্গার তাই আরেকনাম ভাগীরথী। এভাবে তিনি পূর্বপুরুষদের আত্মার মুক্তি ঘটান।
=> ভগীরথের পুত্র শ্রুত => শ্রুতের পুত্র নাভাগ
=> নাভাগের পুত্র অম্বরিষ । বৌদ্ধমতে ইনি তপোবনে চলে যান তপস্যার জন্য। কিন্তু প্রজাদের আহ্বানে আবার রাজকার্য্য গ্রহন করেন।
=> অম্বরিষের পুত্র সিন্ধুদ্বীপ => সিন্ধুদ্বীপের পুত্র প্রত্যায়ু ।
=> প্রত্যায়ুর পুত্র শ্রুতপর্ণ => শ্রুতপর্ণের পুত্র সর্বকামা ।
=> সর্বকামার পুত্র সুদাস বা মিত্রেশ। ইনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। কিন্তু রাক্ষসের ছলনায় যজ্ঞের শেষে নরমাংস বশিষ্ঠ সহ ব্রাহ্মণদের খেতে দেন। ইনি ব্রহ্মশাপে রাক্ষস হন। প্রতিশাপ দিতে গেলে স্ত্রীর অনুরোধে বিরত হয়ে হাতের জল পায়ে ফেলেন ও পা কালো হয়ে যায়। নাম হয় কল্মষাপাদ । বারো বছর রাক্ষস হয়ে বনে নির্বাসিত থাকেন।
=> সুদাসের পুত্র দ্বিতীয় সর্বকর্মা। => দ্বিতীয় সর্বকর্মার পুত্র তৃতীয় অনরণ্য ।
=> তৃতীয় অনরণ্যের পুত্র নিঘ্ন। => নিঘ্নের পুত্র প্রথম রঘু। => প্রথম রঘুর পুত্র দুলিদুহ।
=> দুলিদুহের পুত্র খট্টাঙ্গ দিলীপ
=> খট্টাঙ্গ দিলীপের পুত্র দ্বিতীয় রঘু বা দীর্ঘবাহু। ইনি বিরাট বীর ছিলেন। মহাকবি কালিদাস কৃত রঘুবংশে তার বিশ্বজয়ের বর্ণনা আছে। তার পরবর্তীতে সূর্যবংশ রঘুবংশ নামে খ্যাত হয়।
=> রঘুর পুত্র অজ => অজ এর পুত্র দশরথ।
=> দশরথ এর চার পুত্র। রাম ,লক্ষ্মণ, ভরত, ও শত্রুঘ্ন। ভগবান রাম ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। সকল হিন্দুই তাকে পুজো করে। কিছু বড় বোঝাতে বা নামের শেষে রাম ব্যবহৃত হয়। তার জীবনচরিত রামায়ণ নামে খ্যাত। তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। ভাই ভরত গান্ধার জয় করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন।
=> ভগবান শ্রীরাম ও মাতা সিতার দুই পুত্র - - - লব ও কুশ । লব দক্ষিণ কোশল ও কুশ উত্তর কোশলের (অযোধ্যা সহ ) রাজা হন। কুশ নাগকণ্যা 'কুমুদ্বতী' (কুমুদ নাগের ভাই ) কে বিবাহ করেন।
কুশের পর অযোধ্যার সূর্যবংশী শাসন :-
অতিথি + নিষাদ কণ্যা => নিষধ => নল => নভগ => পুণ্ডরীক => ক্ষেমধন্ব
=> দেবানীক => অহিনগু, রুপ ও রুরু => পারিয়াত্র
=> নাম অজানা => বল =>উক্ত => বজ্রণাভ => শঙ্খন
=> বিশ্বসহ => হিরণ্যভ =>পূষ্য => ধ্রুবসন্ধি => সুদর্শন => অগ্নিবর্ণ
=> শিঘ্রগ => মরু => প্রসূত => সুসন্ধি => অমরেষ
=> বিশ্রুত্মন => বিশ্রবাহু => প্রসেনজিৎ l ।
=> তক্ষক, - - ইনি নাগবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
=> বৃহদ্বল, - - ইনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষে লড়াই করেন ও নিহত হন ।
=> বৃহৎক্ষেত্র => অরুক্ষয় => বৎসবাহু => প্রতিব্যোম
=> দিবাকর => সহদেব => বৃহদশ্ব => ভানুরথ => প্রতিতশ্ব
=> সুপ্রতিক => মরুদেব => সুনক্ষেত্র => অন্তরীক্ষ
=> সুষেন => অনিভজিৎ => বৃহদ্ভানু => রাওয়াত => ধর্মী
=> কৃতঞ্জয় => রণঞ্জয় => সঞ্জয়
=> প্রসেনজিৎ ll । ইনি মগধরাজ বিম্বিসার এবং গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক। ইনার বোন কোশলা দেবী ছিলেন মগধরাজ বিম্বিসারের স্ত্রী। ইনি কোশলা দেবীকে যৌতুক হিসাবে কাশী বা বারাণসী শহর দান করেন। পুত্র অজাতশত্রুর হাতে বিম্বিসারের মৃত্যুর পর অজাতশত্রুর সাথে রাজা প্রসেনজিৎ দীর্ঘ যুদ্ধে লিপ্ত হন। সূর্যবংশের অপর এক মহাপুরুষ গৌতম বুদ্ধকে তিনি শ্রদ্ধা করতেন। বৌদ্ধ সাহিত্যে তিনি 'পসেনাদি' নামে খ্যাত।
=> ক্ষুদ্রক => কুলক =>সুরথ
=> সুমিত্র, - - ইনিই অযোধ্যার সূর্যবংশের শেষ রাজা। খ্রীষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে নন্দবংশীয় রাজা মহাপদ্মনন্দ সুমিত্রকে অযোধ্যা হতে বিতাড়িত করেন। সুমিত্র পুত্রসহ রোহতাসে চলে যান।
=> সুমিত্রের পুত্র কূর্ম রোহতাসে রাজ্য নির্মাণ করেন।
( চন্দ্রবংশ => এই পাতায়)
ব্রহ্মা
=>ব্রহ্মা সৃষ্টি করলেন 10 জন প্রজাপতি। মরীচি তাদের অন্যতম।
=>মরীচি ও কলা'র পুত্র কশ্যপ। তিনি মানবজাতির পিতা।
=>কশ্যপ ও অদিতী হতে আদিত্যগণ (অংশ, অর্য্যামা, ভগ , ধৃতি, মিত্র,পূষন ,শক্র , সবিতৃ , ত্বষ্টা , বরুণ, বিষ্ণু , ও বিবস্বন) । এর অন্যতম বিবস্বন বা সূর্য।
=>সূর্য হতে বৈবস্বতমনু। যিনি মানবদের মধ্যে প্রথম রাজা। পুরান অনুসারে 14 টি মনুর শাসনকাল বা মন্বন্তর আছে। এই বৈবস্বতমনু হলেন সপ্তম মনু। "শতপথ ব্রাহ্মণ" এ মনুকে রাজা বলা হয়েছে।
=> বৈবস্বতমনুর নয় পুত্র। তারা হলেন - - বেন , ধৃষ্ণু , নৃষ্যন , নভগ , ঈক্ষ্বাকু , করুষ , সর্য্যাতি, পৃষধ্রু , নভগারিষ্ট ও এক কণ্যা ইলা। ইলা বিবাহ করেন বুধকে, - - যা হতে চন্দ্র বংশের শুরু হয়।
=> ঈক্ষ্বাকু হন পরবর্তী রাজা। অন্যমতে এই ঈক্ষ্বাকু বৈবস্বতমনুর ভাই শরভদেবের পুত্র।
=> ঈক্ষ্বাকুর পুত্র বিকুক্ষি । যিনি শ্রাদ্ধের সময় শশকের মাংস খান বলে শশদ বলে পরিচিত হন। অনেকে তাকে ঈক্ষ্বাকুর নাতি বলেন।
=> বিকুক্ষির পুত্র কাকুস্থ বা পুরঞ্জয়। কাকুস্থ দেবাসুর যুদ্ধে লড়েন। অসুরদের সাথে যুদ্ধের সময় ষাঁড়ের 'কুকুদ' বা কুঁজে বসতেন বলে তার নাম হয় কাকুস্থ। তার নামে তার বংশ কাকুস্থবংশ বলে পরিচিত হন।
=> কাকুস্থের পুত্র অনেনা বা অনরণ্য।
=>অনরণ্যের পুত্র পৃথু ।
=> পৃথুর পুত্র বিশ্বগশ্ব => বিশ্বগশ্বের পুত্র আর্দ্র বা চন্দ্র => আর্দ্রের পুত্র যুবনাশ্ব ।
=> যুবনাশ্বের পুত্র শ্রাবস্ত, যিনি শ্রাবস্তি নগরীর প্রতিষ্ঠা করেন।
=> শ্রাবস্তের পুত্র বৃহদশ্ব
=> বৃহদশ্বের পুত্র কুবলয়াশ্ব ।ইনি ধুন্ধু নামে রাক্ষসকে বধ করে 'ধুন্ধুমার' নামে খ্যাত হন। বলা হয় ধুন্ধার অঞ্চল ও ধুন্ধ নদী ধুন্ধুর নাম হতে নামাঙ্কিত। ধুন্ধের সাথে যুদ্ধে কুবলয়াশ্বের আঠারো জন পুত্র নিহত হয়।
=> কুবলয়াশ্বের পুত্র দৃঢ়শ্রবা => দৃঢ়শ্রবার পুত্র প্রমোদ
=> প্রমোদের পুত্র হর্যশ্ব => হর্যশ্বের পুত্র নিকুম্ভ => নিকুম্ভের পুত্র সন্তশ্ব
=> সন্তশ্বের পুত্র কৃশশ্ব
=> কৃশশ্বের পুত্র প্রথম প্রসেনজিৎ। এই প্রথম প্রসেনজিৎ এর কন্যা রেণুকার ঋষি জমদগ্নির সাথে বিবাহ হয়। রেণুকা হলেন ভগবান পরশুরামের মা।
=> প্রথম প্রসেনজিৎ এর পুত্র দ্বিতীয় যুবনাশ্ব। ইনি চন্দ্রবংশীয় রাজা মতিনারের কন্যা গোরিকে কে বিবাহ করেন।
=> দ্বিতীয় যুবনাশ্বের পুত্র মান্ধাতা। এই চক্রবর্তী রাজা চন্দ্রবংশীয় রাজকন্যা বিন্দুমতিকে কে বিবাহ করেন।
=> মান্ধাতার পুত্র অম্বরীষ । ইনি বিখ্যাত বিষ্ণুভক্ত ছিলেন।
=> অম্বরীষের পুত্র পুরুকুৎস ও হারিত। পুরুকুৎস অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। ইনি নাগকণ্যা 'নর্মদা' কে বিবাহ করেন । রাজা পুরুকুৎস গন্ধর্বদের সাথে যুদ্ধে নাগদের সাহায্য করেন।
এখান হতেই হরিতাশ্ব গোত্রের সৃষ্টি।
=> এরপুত্র ত্রসদস্যু => ত্রসদস্যুর পুত্র সম্ভূত => সম্ভূতের পুত্র দ্বিতীয় অনরণ্য
=> দ্বিতীয় অনরণ্যের পুত্র ত্রসদশ্ব => ত্রসদশ্বের পুত্র দ্বিতীয় হর্যশ্ব
=> দ্বিতীয় হর্যশ্বের পুত্র বসুমান => বসুমানের পুত্র ত্রিধন্বা => ত্রিধন্বার পুত্র ত্রয়রুণা
=> ত্রয়রুনার পুত্র সত্যব্রত বা ত্রিশঙ্কু। ইনি ত্রয় বা তিন পাপ করেন বলে ত্রিশঙ্কু নাম হয়। প্রথমবার যুবরাজ অবস্থায় দুর্ব্যবহার এর জন্য রাজ্য হতে বহিষ্কৃত হন। দ্বিতীয়বার তিনি বশিষ্ঠের গাভী বধ করেন। তার তৃতীয় পাপ হলো তিনি অপবিত্র মাংস শিকার করে খান। স্বশরীরে স্বর্গ যাবার জন্য তিনি বশিষ্ঠের কাছে গেলে বশিষ্ঠ ফিরিয়ে দেন। এরপর বিশ্বামিত্রের কাছে গেলে ঋষি বিশ্বামিত্র 'ত্রিশঙ্কু স্বর্গ' মাঝখানে একটি স্বর্গ নির্মাণ করেন।
=> ত্রিশঙ্কুর পুত্র ধুন্ধুমার ও হরিশচন্দ্র। হরিশচন্দ্র তার দান, সততার ও ধর্মের জন্য বিখ্যাত।
=> হরিশচন্দ্রের পুত্র রোহিতাশ্ব ।তিনি বিহারের রোহতাস জেলার রোহতাসগড় শহর এবং রোহতক (রোহিতকুল ) প্রতিষ্ঠা করেন।
=> রোহিতাশ্বের পুত্র হারিত => হারিতের পুত্র চঞ্চু । => চঞ্চুর পুত্র বিজয়
=> বিজয়ের পুত্র রুরুক => রুরুকের পুত্র বৃক
=> বৃকের পুত্র বাহু বা অসিত। তিনি অন্য এক ক্ষত্রিয়গোষ্ঠী দ্বারা পরাজিত হন। এরপর তিনি স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যা ত্যাগ করে হিমালয়ে গিয়ে সাধুর জীবন যাপন করেন। এসময় যাদবী রানীর গর্ভে সগর জন্মগ্রহণ করেন।
=> অসিতের পুত্র সগর । তিনি 'হৈহয়' ও 'তালজঙ্ঘী' ক্ষত্রিয়গোষ্ঠীর কাছ থেকে অযোধ্যা পুনরুদ্ধার করেন। তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেন।দেবরাজ ইন্দ্র রাজা সগরের যজ্ঞাশ্ব হরন সমুদ্রের দক্ষিণ -পশ্চিম দিকে কপিলমুনির আশ্রমে বেঁধে দেন। সেখানে যজ্ঞাশ্ব উদ্ধারে গিয়ে কপিলমুনির শাপে সগরের দশহাজার (মতান্তরে ষাট হাজার ) পুত্র ভস্ম হয়ে যায়।
=> সগরের পুত্র অসমঞ্জ ।ইনি বাজে আচরণের জন্য রাজা হতে পারেননি।
=> সগরের নাতি অংশুমান। ইনি গঙ্গাকে মর্ত্যে আনার জন্য তপস্যা করেন, যাতে মা গঙ্গা তার পূর্বপুরুষদের পাপ ধুয়ে দেন ।
=> অংশুমানের পুত্র প্রথম দিলীপ। তিনিও মা গঙ্গাকে মর্ত্যে আনার জন্য তপস্যা করেন।
=> প্রথম দিলীপের পুত্র ভগীরথ। ইনি তপস্যা দ্বারা মা গঙ্গাকে মর্ত্যে আনেন। গঙ্গার তাই আরেকনাম ভাগীরথী। এভাবে তিনি পূর্বপুরুষদের আত্মার মুক্তি ঘটান।
=> ভগীরথের পুত্র শ্রুত => শ্রুতের পুত্র নাভাগ
=> নাভাগের পুত্র অম্বরিষ । বৌদ্ধমতে ইনি তপোবনে চলে যান তপস্যার জন্য। কিন্তু প্রজাদের আহ্বানে আবার রাজকার্য্য গ্রহন করেন।
=> অম্বরিষের পুত্র সিন্ধুদ্বীপ => সিন্ধুদ্বীপের পুত্র প্রত্যায়ু ।
=> প্রত্যায়ুর পুত্র শ্রুতপর্ণ => শ্রুতপর্ণের পুত্র সর্বকামা ।
=> সর্বকামার পুত্র সুদাস বা মিত্রেশ। ইনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। কিন্তু রাক্ষসের ছলনায় যজ্ঞের শেষে নরমাংস বশিষ্ঠ সহ ব্রাহ্মণদের খেতে দেন। ইনি ব্রহ্মশাপে রাক্ষস হন। প্রতিশাপ দিতে গেলে স্ত্রীর অনুরোধে বিরত হয়ে হাতের জল পায়ে ফেলেন ও পা কালো হয়ে যায়। নাম হয় কল্মষাপাদ । বারো বছর রাক্ষস হয়ে বনে নির্বাসিত থাকেন।
=> সুদাসের পুত্র দ্বিতীয় সর্বকর্মা। => দ্বিতীয় সর্বকর্মার পুত্র তৃতীয় অনরণ্য ।
=> তৃতীয় অনরণ্যের পুত্র নিঘ্ন। => নিঘ্নের পুত্র প্রথম রঘু। => প্রথম রঘুর পুত্র দুলিদুহ।
=> দুলিদুহের পুত্র খট্টাঙ্গ দিলীপ
=> খট্টাঙ্গ দিলীপের পুত্র দ্বিতীয় রঘু বা দীর্ঘবাহু। ইনি বিরাট বীর ছিলেন। মহাকবি কালিদাস কৃত রঘুবংশে তার বিশ্বজয়ের বর্ণনা আছে। তার পরবর্তীতে সূর্যবংশ রঘুবংশ নামে খ্যাত হয়।
=> রঘুর পুত্র অজ => অজ এর পুত্র দশরথ।
=> দশরথ এর চার পুত্র। রাম ,লক্ষ্মণ, ভরত, ও শত্রুঘ্ন। ভগবান রাম ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। সকল হিন্দুই তাকে পুজো করে। কিছু বড় বোঝাতে বা নামের শেষে রাম ব্যবহৃত হয়। তার জীবনচরিত রামায়ণ নামে খ্যাত। তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। ভাই ভরত গান্ধার জয় করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন।
=> ভগবান শ্রীরাম ও মাতা সিতার দুই পুত্র - - - লব ও কুশ । লব দক্ষিণ কোশল ও কুশ উত্তর কোশলের (অযোধ্যা সহ ) রাজা হন। কুশ নাগকণ্যা 'কুমুদ্বতী' (কুমুদ নাগের ভাই ) কে বিবাহ করেন।
কুশের পর অযোধ্যার সূর্যবংশী শাসন :-
অতিথি + নিষাদ কণ্যা => নিষধ => নল => নভগ => পুণ্ডরীক => ক্ষেমধন্ব
=> দেবানীক => অহিনগু, রুপ ও রুরু => পারিয়াত্র
=> নাম অজানা => বল =>উক্ত => বজ্রণাভ => শঙ্খন
=> বিশ্বসহ => হিরণ্যভ =>পূষ্য => ধ্রুবসন্ধি => সুদর্শন => অগ্নিবর্ণ
=> শিঘ্রগ => মরু => প্রসূত => সুসন্ধি => অমরেষ
=> বিশ্রুত্মন => বিশ্রবাহু => প্রসেনজিৎ l ।
=> তক্ষক, - - ইনি নাগবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
=> বৃহদ্বল, - - ইনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষে লড়াই করেন ও নিহত হন ।
=> বৃহৎক্ষেত্র => অরুক্ষয় => বৎসবাহু => প্রতিব্যোম
=> দিবাকর => সহদেব => বৃহদশ্ব => ভানুরথ => প্রতিতশ্ব
=> সুপ্রতিক => মরুদেব => সুনক্ষেত্র => অন্তরীক্ষ
=> সুষেন => অনিভজিৎ => বৃহদ্ভানু => রাওয়াত => ধর্মী
=> কৃতঞ্জয় => রণঞ্জয় => সঞ্জয়
=> প্রসেনজিৎ ll । ইনি মগধরাজ বিম্বিসার এবং গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক। ইনার বোন কোশলা দেবী ছিলেন মগধরাজ বিম্বিসারের স্ত্রী। ইনি কোশলা দেবীকে যৌতুক হিসাবে কাশী বা বারাণসী শহর দান করেন। পুত্র অজাতশত্রুর হাতে বিম্বিসারের মৃত্যুর পর অজাতশত্রুর সাথে রাজা প্রসেনজিৎ দীর্ঘ যুদ্ধে লিপ্ত হন। সূর্যবংশের অপর এক মহাপুরুষ গৌতম বুদ্ধকে তিনি শ্রদ্ধা করতেন। বৌদ্ধ সাহিত্যে তিনি 'পসেনাদি' নামে খ্যাত।
=> ক্ষুদ্রক => কুলক =>সুরথ
=> সুমিত্র, - - ইনিই অযোধ্যার সূর্যবংশের শেষ রাজা। খ্রীষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে নন্দবংশীয় রাজা মহাপদ্মনন্দ সুমিত্রকে অযোধ্যা হতে বিতাড়িত করেন। সুমিত্র পুত্রসহ রোহতাসে চলে যান।
=> সুমিত্রের পুত্র কূর্ম রোহতাসে রাজ্য নির্মাণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন