মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

রক্ত জবা

       
                  - সুব্রত মজুমদার
হে গৌরীসুত সিন্দূরচর্চিত গণজনাবৃত হে গণেশ
বন্দি তব পদ হরয়ে বিপদ ধরয়ে সতত রাজেন্দ্রবেশ।
নমি অতঃপর যোগীন্দ্র শঙ্কর গঙ্গাধর ভূতভর্তরি
সে মৃত্যুঞ্জয়ের চরণে সুব্রত বিরাজে রজরূপ ধরি ।
যমুনাপুলীনে শ্রীমতীর সনে রাসরসে মাতে নটবর
শ্যাম করে গান গোপী ধরে তাণ নাচে ব্রজপ্রাণ সুন্দর।
নমি সে চরণ, নগেন্দ্রগমন ঈশান মনহারিনী
বন্দি হরজায়া হরিনেত্রাশ্রয়া মহাকাল মনোরঞ্জনী।।

                  ।। ১ ।।
তারা পাপহারী তমনাশকারী উদ্ধার সন্তানে বিপদে
মনোদুখ হর ওমা হরজায়া এ প্রপঞ্চমায়া নাশ হে।
প্রলয়ের কালে তুমি নারায়ণী, বিষ্ণুনিদ্রারুপী তুমি সনাতনী ;
কৈলাশে আবার গণেশজননী, বিরাজ  ভবের সাথে হে।
তুমি কখনো ইন্দ্রাণী বজ্র ধরি হাতে, কখনো গো মা শঙ্খ-চক্র ধৃতে --
কালরমা কালি স্থিতি কালহৃদে, বস সুব্রতের হৃদয়ে।।
                  ---¤---

                  ।। ২ ।।
আয় মা এসে বস মা কোলে যতন করে সাজিয়ে দি
এলো চুল পড়েছে মুখে , কি অভিমান জমলে বুকে ?
শুকালো মা দুইগালে তোর অশ্রুজলের বারিধী।
বুঝাই তোরে কেমন করি তোর লাগি মা ঘরে ফিরি
(আমি)  তোর নয়নে জগৎ হেরি , আনন্দহাট বসিয়ে দি।
কে বলে তুই পাগলী মেয়ে ওরাই পাগল দেখুক গিয়ে ;
নাই পরেছিস বসন গায়ে,  তাতে বা যায় আসে কি  ?
সুব্রতের কঠোর হিয়া এলো কণ্যারুপা হরজায়া
দিলো ব্যথা না চিনিয়া,  এখন উথলিছে স্নেহনদী।।
                     ---¤---
                    ।। ৩ ।।
যদি ধুলোয় ফেলে রাখবি শ্যামা তবে মিছে মা বলি ক্যানে,
দেখলি না মা এলোকেশী তোর কোলের ছেলে রয় ঊপোষী
পেটভরালি প্রতিবেশীর চাইলি নাকো শিশুর পানে।
হত যদি গণপতি এমন কি হত মা গতি ? শিবজায়ার এ কি মতি
                 সদানন্দয়ী বলি কেমনে ¦
ভাল আমার পশুপতি নির্বিকল্প সরলমতি সুব্রতের হীনমতি
             উদ্ধারিল যার চরণে।
এরপরেও হরজায়া থাকিস গো মা পাষান হইয়া তবে এ সন্তান হিয়া
            কেমন করে প্রবোধ মানে!
সুব্রত বলে শোন মা তারা নিজমায়ায় নিজে হারা, বসে খাও সন্দেশ-প্যাড়া
                   দোষ কি দেবে অপর জনে ?
                     


                      ।। ৪ ।।
         
আমি কেন মার চরণ ছাড়া
কোলে লয় মা দুষ্টজনে অবোধ কেঁদে পায় না সাড়া।
কে বলে মা মহামায়া অন্ধ মা তুই মায়ার ঘোরে
বালকে ত্যজি তাইতো তারা ঠাঁই নিয়েছেন ডাকাতপুরে।
দুঃখ দিলি তমোময়ী দুধের শিশু ফেললি ভূমে
ওঠ জেগে দেখ ব্রহ্মময়ী ব্যাঘ্রেও শিশুর কপোল চুমে।
তাই বলি শোন মনের দুঃখে সুব্রত কয় শোন গো তারা
এই তারানাম কেউ লবে না যদি থাকিস জ্যান্তে মরা।।
             ।।৫।।


যাসনে মা উমা যাসনে মা, উমা দন্ডদুয়েক থাক মা ঘরে,
তুই গেলে গো মা হরমনোরমা মন যে গো মা কেমন করে।
বছরের পর এলি উমা ঘর সঙ্গেতে শঙ্কর আনিলি ক্যানে !
সে পাগল ভোলা লয়ে ভূতচেলা ঘুরুক এবেলা শ্মশানে শ্মশানে।
কে বলে পার্বতী তোর পিতা মূঢ়মতি, - সে কি জানে কত হৃদয় বিদারে?
হইয়ে পাষান বিদরে পরাণ সঁপেছি পরাণ পাগলের করে;-
যদি যাস উমা পরাণপ্রতীমা কি পরাণ লয়ে থাকিব ঘরে?
নয়নের জলে পাষান বিগলে তবু কি গো টলে পাগলের হিয়া
সুব্রত বলে দেখ দ্বার খুলে সে পাগল ভোলা দুয়ারে বসিয়া।


আমার কালি

আমার কালি

কালি বলতে তোমরা কি বোঝ জানি না, আমি বুঝি ছোট্ট ন্যাংটা মেয়ে
ঘুরে বেড়ায় আমার আশে পাশে ;-  শাসন বারন কোনকিছুই মানে না।
ফাগুন মাসে  কুল পেড়ে খায় বোশেখ মাসে লবণ মেখে আম
বার করে জিভ চাটে আমের আঁটি ; কালো বলে কালিই তো তার নাম।
যখন আমি আপনমনে লিখি পিছন হতে ছোট্ট দুটি হাত জড়িয়ে ধরে এসে;
'ছাড় নারে মা, এখন কত কাজ ;' - - বলি আমি তখন মুচকি হেসে।
খেলতে গিয়ে পাড়ার দুষ্ট ছেলে যখন তাকে দেয় কখনো গালি
মেয়ে আমার কেঁদে এসে পড়ে, কালো বরন হয় যে আরো কালি।
ধুলোমাখা কালোকেশে জট বেঁধে যায়, খুলে পড়ে যত্নে বাঁধা বেণী
আর যেই যা বলুক তারে সে তো আমার এই দু'চোখের মণি।
চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে ঠোঁটদুখানি রক্তে ভিজে ওঠে
মেয়ের আমার তবুও মুখে হাসি, - - কালোয় যেন হাজার আলো ফোটে।
রুক্ষকেশে গুঁজে জবার কলি মেয়ে আমার কালি।
তাই তো তার দেখতে মুখের হাসি সমস্ত সুখ অক্লেশে দিই বলি।
এ কালি আজ সবার ঘরে ঘরে, হয়তো আছে অবহেলায় পড়ে ;
এই কালি-ই লক্ষ্মী দশভূজা, তবে কেন অবহেলার সাজা ?
বদলেছে যুগ, - - এ যুগ আমার কালির
তার আলোতেই উঠবে জ্বলে প্রদীপ দীপাবলীর।।
          - সুব্রত মজুমদার 

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

Dhanterus - ধনতেরাস

                ধনতেরাস                
                             
(আরও দেখুন - সূচিপত্র
                               দীপাবলী উপলক্ষে পঞ্চোৎসব পালন করা হয়। এগুলি হল যথাক্রমে ধনতেরাস, নরকচতুর্দশী, দীপাবলী, গোবর্ধনপুজা ও ভাইফোঁটা । ধনতেরাস হল হিন্দু ক্যালেন্ডারের তুলারাশির কৃষ্ণপক্ষের তেরতম দিন। এখানে "তেরাস'' শব্দের অর্থ হল ত্রয়োদশী। এদিন ধনের দেবতা কুবের ও ধন দেবী মা লক্ষ্মী বাড়ি বাড়ি এসে ধন বিতরন করেন। ভারতসরকার এই দিনটিকে 'জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস' হিসাবে ঘোষণা করেছেন।
 ধনতেরাস সম্পর্কে অনেক পৌরাণিক ও লোককথা আছে। এগুলি হল :-
১।। পুরাণ অনুসারে একবার দুর্বাশা মুনির অভিশাপে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হন লক্ষ্মী। আর এই ধনতেরাসের দিনেই দেবতারা ফিরে পান দেবী লক্ষ্মীকে। এই আনন্দের উৎসবই  হচ্ছে ধনতেরাস।
২।। রাজা হিমের ষোড়শবর্ষীয় পুত্রের কোষ্ঠীতে লেখা - বিবাহের চতুর্থ দিবসে সর্পাঘাতে মৃত্যু। নবোঢ়া পুত্রবধূটি দিশাহারা, কী করবে সে?

ভেবে ভেবে সে এক উপায় বের করল - স্বামীকে কিছুতেই ঘুমাতে দেওয়া যাবে না। পতিদেবতাটি সাহসী ও পরাক্রমী, যত বিষধর সর্পই হোক, তার তরোয়ালের কাছে কিছুই না। কিন্তু ঘুমন্ত মানুষের পরাক্রম থাকে না। সুতরাং যে করেই হোক, তাকে জাগিয়ে রাখতে হবে।

বিবাহের পর চতুর্থ রাত্রি। কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর অমানিশায় সমস্ত জগৎ যখন সুষুপ্ত, তাদের শয্যাকক্ষের চতুর্দিকে তরুণী জ্বালিয়ে দিল রেড়ির তেলের অসংখ্য প্রদীপ। কক্ষে একটিমাত্রই প্রবেশদ্বার, সর্পকে প্রবেশ করতে হলে সেটিই একমাত্র পথ। দ্বার রুদ্ধ থাকলেও সর্প নাকি তার ক্ষুদ্র রন্ধ্রপথেও প্রবেশ করতে পারে, তাই সে তার অঙ্গের সমস্ত গহনা ও স্বর্ণাভরণ খুলে স্তূপীকৃত করে রাখল সেই দ্বারপ্রান্তে। প্রদীপের উজ্জ্বল আলোক রত্নরাজি, মণিমাণিক্য ও স্বর্ণাভরণে বিচ্ছুরিত হতে লাগল।

ঘুম দূরে রাখার জন্য এবার সে শুরু করল তার জীবনের চিত্তাকর্ষক গল্প। কোনো মতেই যেন রাজকুমার ঘুমিয়ে না পড়ে।

মৃত্যুদেব যম এলেন সর্পরূপ ধারণ করে। সূক্ষ্মদেহ ধারণ করে ঢুকেও পড়লেন শয্যাকক্ষের দ্বারের অতি ক্ষুদ্র রন্ধ্রপথে। কিন্তু ঢুকেই তার চোখ ধাঁধিয়ে গেল, রাত্রির অন্ধকারেও কক্ষের ভিতর হাজার সূর্যের প্রভা। তিনি দিকনির্ণয় করতে পারলেন না, গুটিসুটি মেরে পড়ে রইলেন রত্নরাজির ওপর। তিনি শুনছেন অনির্বচনীয় কণ্ঠে এক তরুণী গল্প শোনাচ্ছে তার দয়িতকে।

রাজকুমার মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন। পেলেন দীর্ঘ আয়ু ধন্বন্তরীর কৃপায়।

আয়ুর্বেদের জনক, সমস্ত চিকিৎসকদের গুরু এই ধন্বন্তরীর পূজাই ধন্বন্তরী ত্রয়োদশীর মূলে। প্রাণের মূলে যে সূর্যদেব, তিনি হেলে পড়েছেন দক্ষিণে। বাতাসে হিমের পরশ। এ সময় রোগব্যাধির উপক্রম বেশি। এর ফলেই আয়ুক্ষয়।

আমাদের সমস্ত পূজাই কোনোভাবে আয়ু-বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত।

দেব-অসুরের সমুদ্রমন্থনে উঠে এসেছিলেন এই ধন্বন্তরী, এক হাতে অমৃতভাণ্ড ও অন্য হাতে আয়ুর্বেদ নিয়ে। তিনিই শেখালেন আয়ুর্বেদ। আয়ু-বৃদ্ধির উপায়। পরমায়ুই আমাদের একমাত্র ধন। তারই পূজা ধনতেরাসে। পিসিচন্দ্র বা সেনকো গোল্ডের গহনা দিয়ে তাকে কেনা যায় না।

দক্ষিণ ভারতে - তামিলনাড়ুতে - এইদিন উপাসনা হয় মারুন্দুর। মারুন্দু মানে ওষুধ। বাড়িতে প্রস্তুত করে পরের দিন - নরক চতুর্দশীর দিন - সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে তা খাওয়ার নিয়ম। বাড়ির মেয়ে-বৌমাকে শেখানো হয় মারুন্দুর রেসিপি, যাতে তারা প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে এই ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলে।

যমদেবের উদ্দেশে দীপ জ্বালানো হয়। লক্ষ লক্ষ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয় ধরণী। প্রার্থনা ধ্বনিত হয় জীবনের উদ্দেশে, পরমায়ু বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে।

তোমাদের সকলের জীবন সেই পবিত্র আলোয় আলোকিত হোক। স্বাস্থ্যই সম্পদ, তার পূজা যেন আমরা কখনোই ভুলে না যাই।
৩।। এছাড়াও কথিত আছে যে, কুবের আজকের দিনে বিবাহের জন্য প্রয়োজনীয় কারণে ভগবান বিষ্ণুর কাছ থেকে কিছু অর্থ নিয়েছিলেন। যার ফলে, আজও বহু লোক ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে টাকা দান করেন, যাতে ভগবান বিষ্ণুর কাছে ধার শোধ করা যায়।
ধনতেরাসের পুজো পদ্ধতি:-
প্রথমে একটি নতুন কেনা ঘট বা পাত্রে চাল, পাঁচটি সুপারি ও ২১টি পদ্ম বীজ নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে গঙ্গাজল নিয়ে তাতে চিনি, ফুল ও সোনা বা রূপোর পয়সা দিতে হবে। লক্ষ্মী ও গণেশের মূর্তিতে মালা পরিয়ে পুজো করতে হবে। পুজোর সময় নতুন প্রদীপ জ্বালাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এই প্রদীপ কমপক্ষে দুই ঘন্টা জ্বলে।
পুণ্য ধন-ত্রয়োদশী (ধনতেরাস্)

ধন্বন্তরির ধ্যান :-
শঙ্খং চক্রমুপর্যধশ্চ করয়োর্দিব্যৌষধং দক্ষিণে
বামেনান্যকরেণ সম্ভৃতসুধাকুম্ভং জলৌকাবলিম্ |
বিভ্রাণঃ করুণাকরঃ শুভকরঃ সর্বাময়ধ্বংসকঃ
ক্ষিপ্রং নো দুরিতং ছিনত্তু ভগবান্ ধন্বন্তরিঃ পাতু নঃ ||

এদিনে কি কিনব ও কি কিনব না :-
এদিন সোনা ও রূপার দ্রব্য, পিতলের মূর্তি, মুদ্রা,কড়ি, ঝাঁটা, মাটির প্রদীপ ইত্যাদি কেনা শুভ।
অপর পক্ষে অ্যালুমিনিয়ামের দ্রব্য, তীক্ষ্ণ ও ধারালো দ্রব্য, কাঁচের দ্রব্য, কালো কিছু ও তেলনির্মিত দ্রব্য কেনা অশুভ। 

Surya kavacham

SURYA KAVACHAM


चमत्कारी सूर्य कवचम : आरोग्य और सौभाग्य का दिव्य वरदान देता है
(নিচে বাংলা অনুবাদ সহ বাংলা ফন্টে ) 
====
II अथ श्रीसूर्यकवचस्तोत्रम् II 
श्री गणेशाय नमः I
याज्ञवल्क्य उवाच I
श्रुणुष्व मुनिशार्दूल सूर्यस्य कवचं शुभम् I
शरीरारोग्यदं दिव्यं सर्व सौभाग्यदायकम् II १ II
दैदिप्यमानं मुकुटं स्फ़ुरन्मकरकुण्डलम् I
ध्यात्वा सहस्रकिरणं स्तोत्रमेतदुदीरयेत् II २ II
शिरो मे भास्करः पातु ललाटे मेSमितद्दुतिः I
नेत्रे दिनमणिः पातु श्रवणे वासरेश्वरः II ३ II
घ्राणं धर्म धृणिः पातु वदनं वेदवाहनः I
जिह्वां मे मानदः पातु कंठं मे सुरवंदितः II ४ II
स्कंधौ प्रभाकरं पातु वक्षः पातु जनप्रियः I
पातु पादौ द्वादशात्मा सर्वागं सकलेश्वरः II ५ II
सूर्यरक्षात्मकं स्तोत्रं लिखित्वा भूर्जपत्रके I
दधाति यः करे तस्य वशगाः सर्वसिद्धयः II ६ II
सुस्नातो यो जपेत्सम्यक् योSधीते स्वस्थ मानसः I
स रोगमुक्तो दीर्घायुः सुखं पुष्टिं च विंदति II ७ II
II इति श्री माद्याज्ञवल्क्यमुनिविरचितं सूर्यकवचस्तोत्रं संपूर्णं II
সূর্য্যকবচম

যাজ্ঞবল্ক্য উবাচ -
 শ্রণুষ্ব মুনিশার্দুল সূর্য্যস্য কবচং শুভম্  ।
শরীরারোগ্যদং   দিব্যং সর্ব সৌভাগ্যদায়কম্ ।1।

 ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য বললেন - হে মুনিশ্রেষ্ঠ ! ভগবান সূর্য্যের শুভ কবচ শ্রবণ কর , যা শরীরের আরোগ্য প্রদানকারী তথা সম্পূর্ণ দিব্য সৌভাগ্য প্রদান করে।

 দেদীপ্যমানং মুকুটং স্ফূরন্মকরকুণ্ডলম্ ।
ধ্যাত্বা সহস্রকিরনং স্তোত্রমেতদুদীরয়েৎ  ।2।

 উজ্জ্বল মুকুটধারী দোলয়মান মকর কুণ্ডলধারী সহস্রকিরনের ধ্যান করে এই স্তোত্র আরম্ভ করছি।

 শিরো মে ভাস্করঃ পাতু ললাট মেড়মিতদ্যূতিঃ ।
নেত্রে দিনমণিঃ পাতু শ্রবণে বাসরেশ্বরঃ ।3।

 ভাস্কর আমার মস্তক রক্ষা করুন, অপরিমিত কান্তি যুক্ত দেব আমার ললাট রক্ষা করুন। নেত্র রক্ষা করুন দিনমণি আর ঈশ্বর আমার কান রক্ষা করুন।

 ঘ্রাণং ধর্ম ঘৃণিঃ পাতু বদনং বেদবাহনঃ ।
জিহ্বাং মে মানদঃ পাতু কণ্ঠং মে সুরবন্দিতঃ  ।4।

 ধর্মঘৃণি আমার নাক রক্ষা করুন, মুখ রক্ষা করুন বেদবাহন । জিহ্বা রক্ষা করুন মানদ ও কণ্ঠ রক্ষা করুন সুরবন্দিত।

স্কন্ধৌ প্রভাকরং পাতু বক্ষঃ পাতু জনপ্রিয়ঃ।
পাতু পাদৌ দ্বাদশাত্মা সর্বাঙ্গ সকলেশ্বরঃ ।।

প্রভাকর আমার স্কন্ধদ্বয় রক্ষা করুন, বক্ষ রক্ষা করুন জনপ্রিয়। দ্বাদশাত্মা পদদ্বয় রক্ষা করুন আর সর্বাঙ্গ রক্ষা করুন সকলেশ্বর ।

সূর্য্য রক্ষাত্মকং স্তোত্রং লিখিত্বা ভূর্জপত্রকে  ।
দধাতি যঃ করে তস্য বশগাঃ সর্বসিদ্ধয়ঃ ।5।

 সূর্য্যরক্ষাত্মক এই স্তোত্র ভোজপত্রে লিখে যে হাতে ধারন করে সর্বসিদ্ধি তার বশীভূত হয়।

 সুস্নাতো যো জপেৎসম্যক্ যোৎধিতে স্বস্থ মানসঃ ।
স রোগমুক্তো দীর্ঘায়ুঃ  সুখং পুষ্টিং চ বিদন্তি। ।6।

 স্নান করে যে স্বচ্ছ মনে এই কবচ পাঠ করে সে সর্বরোগমুক্ত হয়ে সুখী ও দীর্ঘজীবন লাভ করে।
=====================================

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮

কিছু কবিতা - some poems

নিহারীকা
     সুব্রত মজুমদার 
আমি ছিলাম তোমার আশে তোমার প্রতীক্ষায়,
                                  শালের তলে মাদল যেথায় ধিতাং ধিতাং গায়
রুক্ষ মাটি গ্রীষ্মে তাপে' শ্রাবণ জলে নায়।
 সুপ্তিভরা আঁধার ঘেরা কাজল নদীর কূলে
                                       ঘুমিয়ে ছিলাম নরম ঘাসের কোলে ;
তন্দ্রাহরা তোমার কথা ভূলে।
ঘুমের মাঝে হঠাৎ এলো ডাক, -
                                       "শুনছো ! হোথায় চক্রবাক
উড়ছে দেখো ; - - হোথায় চক্রবাক !
ওদের ডানা রোদে ঝলমলিয়ে ওঠে;
                                        শান্ত নদীর নরম সবুজ তটে
 সোনার রবি চলছে অস্তপাটে।"
আমি বললাম - ' কোথায় নিহারীকা ?
                                  কোথায় তুমি  বসে একা একা ?
কোথায় তুমি? কোথায় নিহারীকা ?"
নিরব হেঁসে বাড়িয়ে দিলে তোমার নরম হাত,
                                              মেহেন্দীতে ভর করে তার নামল জ্যোৎস্নারাত ;
জ্যোৎস্না এসে চুমল চিকন হাত।
উঠল জোয়ার নদীর বুকে দীগন্তহীন জল
                                          ফেনায় ফেনায় ডুবল ঘাসের দল,
মরানদী হঠাৎ হলযেন  উচ্ছ্বল চঞ্চল।
গলা আমার উঠল কেঁপে দারুণ আশঙ্কায়
                                           - 'ও মেয়ে ! এ আমি কোথাই ?
ছিলাম বসে তোমার প্রতীক্ষায়।'
ভেঁসে এলো ললিত কণ্ঠে সুরের কলতাণ
                                                   - 'আমি তোমার নিহারীকা, - - জোয়ার ভাঁট আর গান।
আমার সুরে জাগবে আজি লক্ষ কোটি  প্রান।