বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

Jamai sasthi

অরণ্য ষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠী




 জামাইষষ্ঠীর আরেক নাম অরণ্য ষষ্ঠী। আসুন জানি সেই কথা।  
এক বুড়ির  ছোটবৌটির খুব মিথ্যে বলার অভ্যাস ছিল । নিজে চুরি করে খায় আর রোজ রোজ একটি পোষা কালোবিড়ালির নামে দোষ দেয়। 
কালোবিড়ালি মা'ষষ্ঠীর বাহন। সে গিয়ে নালিশ করলে মা ষষ্ঠী ছোটবৌ'কে শাস্তি দেবার কথা ভাবেন। 

ছোটবৌ ফুটফুটে পুত্র সন্তান প্রসব করে আর কালোবিড়ালি সেই সন্তান মুখে করে নিয়ে রেখে আসে বনে জঙ্গলে। এইভাবে একে একে ছোটবৌ গোটা সাতবার গর্ভ ধারণ করে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় আর সব কটি পুত্র কালোবিড়ালির খপ্পরে পড়ে । এবার ছোটবৌ কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু সেই প্রসবটি হল সকলের অলক্ষ্যে, জঙ্গলের মধ্যে। কিন্তু তবুও কালোবিড়ালির চোখ এড়ালোনা।  সে যথারীতি মুখে করে রেখে এল কন্যাশিশুটিকে। 

তখন ছোটবৌ আর না পেরে মা ষষ্ঠীকে ডাকতে লাগল। তিনি এদিকে আগের সেই সাতটি পুত্র ও আর এক কন্যাকে লালন করতে শুরু করেছেন। ছোটবৌকে শিক্ষা দেবার জন্য তাকে বললেন 
" তুমি অন্যের নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়েছিলে বলে ঐ কালোবিড়ালি রাগ করে তোমার সবকটি সন্তানকে আমার কাছে রেখে গেছে। তুমি তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাও তবে সকলকে ফিরে পাবে"

ছোটবৌ কালোবিড়ালিকে আদর করে ডেকে এনে তাকে মাছ-দুধ খাইয়ে তুষ্ট করলে আর ক্ষমা চেয়ে বললে তার সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে। কালোবিড়ালি বললে
" জৈষ্ঠ্যমাসের শুক্লপক্ষে ষষ্ঠীর পুজো করো। তোমার সন্তানরা সকলে সুস্থ থাকবে আর মা ষষ্ঠী সকলকে ফিরিয়ে দেবেন।"
>

তদ্দিনে ছোটবৌয়ের সাতছেলে-সাতবৌ আর কন্যা সহ একটি জামাই নিয়ে ভরভরন্ত সংসার। মা ষষ্ঠীর অরণ্যের ঘেরাটোপে ছেলেপুলে গুলি বেঁচেবর্তে ছিল বলে অরণ্যষষ্ঠী নাম এর। আর ছেলে-বৌ-মেয়ে-জামাই সকলের মঙ্গল কামনা করেই এই ষষ্ঠী।
প্রাচীনকালে জামাই ষষ্ঠী বাঙালি সমাজে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতো প্রতিটি বাঙালির ঘরে-ঘরে।
তবে মানসিকতার পরিবর্তন, পারিপার্শিক ও সামাজিকতার কারণে এ অবস্থাটা এখন ততটা নেই। শুধু মুষ্টিমেয় শাশুড়ি মায়েরা জামাই ষষ্ঠী উৎসবটি ধরে রেখেছে কোন মতে। যার আবহ এখনো গ্রামীণ জীবনে খুঁজে পাওয়া যায়। বছরে অন্তত একবার এই দিনটির জন্য জামাই যেমন অপেক্ষা করে, তেমনি শাশুড়ি জামাইকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য দিন গোণে।
জামাই নতুন হোক বা পুরাতন হোক তাতে কিছু যায় আসে না। শাশুড়ির কাছে সে সমান আদর পাবে এটাই বাস্তবতা। শাশুড়ি যতদিন বেঁচে থাকেন জামাই ষষ্ঠীর দিন শাশুড়ির কাছ থেকে জামাই নতুন কাপড়-চোপড়, আদর-আপ্যায়ন, পারিতোষিক ও সংবর্ধনা পাবে।

শনিবার, ১৬ জুন, ২০১৮

Home


সূচিপত্র
বৈশাখ  - 
জৈষ্ঠ্য
আষাঢ় 
শ্রাবণ 
ভাদ্র 
আশ্বিন
কার্তিক
অগ্রাহয়ন
পৌষ 
মাঘ 
ফাল্গুন 
চৈত্র 
অন্যান্য ব্রত
ধর্মীয় প্রবন্ধ 
আপেল কি সত্যিই পড়েছিল?  * কালী রহস্যম *বাঙালি ব্রাহ্মণ *মলমাস  *বেদে সালোকসংশ্লেষের স্বপক্ষে প্রমাণ *পিতৃগণ ও পিতৃতর্পণ *কৈলাস পর্বত * হিন্দু পঞ্চাঙ্গ কি ও কেন * গান্ধারীর শতপুত্রের নাম * চন্দ্রবংশ * সূর্য বংশ *  মা তারার ইতিহাস * চার ধাম * একান্ন সতীপীঠ * রথযাত্রা * দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ *অষ্টলক্ষ্মী * সরস্বতী মহাভাগে * বিল্ববৃক্ষ * মৃতের দোষ ও পুষ্কর


স্তোত্রম্ ও পাঁচালি
অয়ি গিরি নন্দিনী  *দারিদ্র্য দহনকারী শিবাষ্টকম * অর্জুন কৃত দুর্গাস্তোত্রম * নর্দমাষ্টকম * সূর্য কবচম * শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর ব্রত কথা *  সুব্রত কর্তৃক শিবস্তুতি * উমর-বিন-হাসনাইন কৃত শিবস্তুতি * গুরু বন্দনা - গুরুদেব দয়া কর দীনজনে * শ্রী দুর্গা ধ্যান * দেব দেবীর ধ্যান * শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম * শঙ্করাচার্য্য কৃত মোহমুদ্গর * তুলসীদাসজী বিরচিত রুদ্রাষ্টকম (হিন্দি ) * প্রাতঃ স্মরণম্ * দক্ষিণ কালীকা স্তোত্রম * সরস্বতী স্তোত্রম্ *পিতৃস্তোত্রম * জগদ্ধাত্রী স্তোত্রম্ * জগদ্ধাত্রী পঞ্চকম বাংলা অনুবাদ সহ * কালীকা স্তোত্রম্ ( উত্তরতন্ত্র ) *সপ্তশ্লোকী দুর্গা * গণেশ ভূজঙ্গ স্তোত্রম * সূর্যাষ্টকম

সংস্কৃত সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থ 

স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব 
অন্যান্য 
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮

Bish sankranti / eriberi

বিষ সংক্রান্তি বা এড়িবেড়ি

বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ দিনটি হল জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তি বা বিষ সংক্রান্তি বা এড়িবেড়ি ।
এদিনে সর্পের দেবী  মা মনসার পূজা ও তার উদ্দেশ্যে নিয়ম পালন করা হয়। নিরামিষ, তেতো ও কষা দ্রব্য খাওয়া হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মেজে, স্নান করা হয়। এরপর একটি পাত্রে মুসুর ডাল, নিম পাতা, কেলেকাঁকড়া (এক জাতীয় কষা ফল ) রাখা হয়। সকালে স্নানের পর সকলে ওগুলি সামান্য খেয়ে তারপর অন্য কিছু খায়।
দুপুরে ভাতের সাথে কেলেকাঁকড়ার (এক জাতীয় কষা ফল ) ভাজা, করলা নিম পাতার মতো তেঁতো সব্জির ভাজা, মুসুরের ডাল, মুসুরডালের বড়ার বিভিন্ন পদ, সজনে শাক ইত্যাদি পদ রান্না করা হয়। এদিনে আমিষ দ্রব্য, পেঁয়াজ, রসুন, রাঁধলে পিচ্ছিল হয় এমন সব্জি ( যেমন :- ঢ্যাঁড়স ) খাওয়া নিষিদ্ধ।
এই পালনের একটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে। আষাঢ় মাস হতে শুরু হয় বর্ষাকাল। বর্ষায় বিভিন্ন চর্মরোগ হয়। আর এই চর্মরোগ হতে বাঁচতে তেঁতো ও কষা সব্জি খাবার নিয়ম আয়ুর্বেদে আছে। তাছাড়াও নিম-কেলেকাঁকড়ার মতো গাছের থেকে বিষ প্রভাবও কাটে। যদিও সাপে কামড়ালে ওঝা না ডেকে  বা মুষ্ঠিযোগ না করে অতি সত্তর হাসপাতালে যান
1885 সালের 13ই জুন ( ৩২শে জৈষ্ঠ্য, ১২৯২ ) অর্থাৎ এই বিষ সংক্রান্তি দিনেই শ্রী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের গলার অসুখের সূত্রপাত হয়।
ভালো লাগলে শেয়ার করুন





বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

Raja Voja & stories


রাজা ভোজ ও অন্যান্য গল্প - - , , , 
মহাকবি কালিদাসের খ্যাতি দেখে অন্য কবিরা তাকে হিংসা করতেন  । একবার শতঞ্জয় বলে এক কবি কালিদাসকে নীচুদেখাবার জন্য রাজা ভোজের কাছে একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান ।
অপশব্দং শতং মাঘে ভৈরবী চ শতত্রয়ং
কালিদাসে ন গণয়ন্তে কবিরেকো শতঞ্জয়ঃ
অর্থাৎ----
মাঘ কবির রচনায় ১০০ ভূল আছে,  ভৈরবীর রচনায় ভূল আছে ৩০০টি, আর কালিদাসের রচনায় ভূল তো অসংখ্য।
মহাকবি কালিদাস এই কবিতার একটি শব্দের একটি মাত্রা পরিবর্তন করে কবিতাটির অর্থ বদলে দেন।
কালিদাস দ্বারা সংশোধনের পর - -
আপশব্দং শতং মাঘে ভৈরবী চ শতত্রয়ং
কালিদাসে ন গণয়ন্তে কবিরেকো শতঞ্জয়ঃ
অর্থাৎ - - -
মাঘ কবি জলের ১০০টি পর্যায়বাচী শব্দ জানেন, ভৈরবী জানেন ৩০০টি, আর কালিদাস জলের পর্যায়বাচী শব্দ জানেন অগণিত । দুর্ভাগ্যবশত কবি শতঞ্জয় জলের একটিই পর্যায়বাচী শব্দ জানেন  ।



ব্রাহ্মণ, স্বর্ণকার ও মহাকবি কালিদাস 
Brahman goldsmith and Mahakavi Kaalidas
রাজা ভোজ খুবই ন্যায়প্রিয় রাজা ছিলেন । তার রাজ্যে জটিল হতে জটিলতর অপরাধেরও ন্যায় বিচার হত ।
অপরাধী যতই না চতুরতার সাথে সাক্ষ্য প্রমাণ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক রাজার ন্যায় বিচার হতে বাঁচত না  ।
তার রাজ্যের দুই গ্রাম্য প্রজা অর্থ উপার্জন করতে শহরে গেল  । দুইজনের মধ্যে একজন ছিল ব্রাহ্মণ ও অপরজন স্বর্ণকার  । দুজনেই বিদেশে পরিশ্রম করে প্রচুর ধন উপার্জন করল  । ব্রাহ্মণ পন্ডিতগিরি করে প্রচুর রোজগার করলেন  । স্বর্ণকারেরও সোনা চাঁদির ব্যবসা খুব চলল  । কিন্তু ব্রাহ্মণের উপার্জন স্বর্ণকারের উপার্জন অপেক্ষা অনেক বেশি হল । স্বর্ণকার ব্রাহ্মণের উপার্জন বেশি দেখে হিংসায় জ্বলতে লাগল ।  কিন্তু ধূর্ত স্বর্ণকার নিজের ঈর্ষার কথা ব্রাহ্মণকে বুঝতে দিত না ।
বহু দিন পরে দুজনে একসাথে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ।  পথের অনেকটা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ।  আগের দিনে পথভ্রমন খুবই কষ্টকর ছিল ।  রাস্তা অনেক জঙ্গল ও বিহড়ে পরিপূর্ণ ছিল । রাস্তায় বন্য পশুর হাত হতে বাঁচতে যাত্রীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পথ চলত । পথে হিংস্র পশুর হাত হতে সুরক্ষার জন্য স্বর্ণকার একটা তলোয়ার নিল ও দুজনে রওনা দিল ।
ব্রাহ্মণ ও স্বর্ণকার দুজনের কাছেই স্বর্ণমুদ্রা ছিল ।  তাই দুজনেই যথাসম্ভব সাবধান হয়ে পথ চলছিল । ব্রাহ্মণের কাছে স্বর্ণকারের চেয়ে বেশি ধন ছিল ।  ব্রাহ্মণের পুঁটলি স্বর্ণকারের পুঁটলি অপেক্ষা ভারি ছিল । স্বর্ণকারের ব্রাহ্মণের ধনে লোভ জন্মাল । সে ব্রাহ্মণকে হত্যা করে সব ধন নিতে চাইছিল । সুযোগ পেয়ে স্বর্ণকার ব্রাহ্মণকে আক্রমণ করে বসল ।
ব্রাহ্মণ বুদ্ধিকরে স্বর্ণকারকে অনুনয়-বিনয় করলেন ।  বললেন - - "তুমি আমাকে মারো কিন্তু এই মন্ত্র আমার ঘরে পৌঁছে দিও ।
ব্রাহ্মণ একটি কাগজে চারটি অক্ষর "অ প্র শি খ " লিখে স্বর্ণকারকে দিল । স্বর্ণকার ঐ লেখাটি তার কোন সমস্যা করতে পারবে না ভেবে নিয়ে নিল । সে তখন ব্রাহ্মণকে হত্যা করে সব ধন নিয়ে নিজ ঘরে চলে গেল । এরপর স্বর্ণকার কুম্ভীরাশ্রু ফেলতে ফেলতে ব্রাহ্মণের বাড়ি গিয়ে সেই লেখাটি দিয়ে এল । ব্রাহ্মণপত্নীকে স্বর্ণকার বলল - - - "আমরা দুজন বাড়ি ফিরছিলাম, ব্রাহ্মণকে বাঘে ধরল ও মেরে খেয়ে নিল ।  কোনো রকমে আমি বেঁচে ফিরেছি ।"
 ব্রাহ্মণ পরিবার শোকে ভেঙ্গে পড়ল । কারোরই ঐ চিঠিতে লেখা চার অক্ষরের অর্থ বোধগম্য হচ্ছিল না । শোকাকুল ব্রাহ্মণ পরিবার রাজা ভোজের দরবারে আবেদন করল । রাজা ভোজ সভার সকল বিদ্বানকে চার অক্ষরের রহস্যটি সমাধান করতে বললেন । কিন্তু কেউই সফল হল না ।
শেষে এই সমস্যা সমাধানে মহাকবি কালিদাসকে ডাকা হল । কালিদাস তো আশুকবি ছিলেন, তাই তিনি শব্দগুলো ব্যবহার করে শীঘ্রই কাব্য রচনা করে দিলেন । যে কাব্য রচনা হল তা হতে বিরাট অপরাধের রহস্য সমাধান হল ।
অ তে -> অনেন স্বর্ণকারেণ
প্র তে -> প্রদেশে নির্জনে বনে
শি তে -> শিখামাদায় হস্তেন
 খ তে -> খড়্গেন নিহতঃ শিরঃ

অনেন স্বর্ণকারেণ, প্রদেশে নির্জনে বনে ।
শিখামাদায় হস্তেন,খড়্গেন নিহতঃ শিরঃ ।।
অর্থাৎ এই স্বর্ণকার রাজ্যের নির্জন এক বনে ব্রাহ্মণের শিখা ধরে খড়্গ দিয়ে শিরশ্ছেদ করেছে ।

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

Raja Voja & poet Kalidas

রাজা ভোজ ও মহাকবি কালিদাস 

রাজা ভোজ ও অন্যান্য গল্প - - , , , , , 
রাজা ভোজের সভায় অনেক বিদ্বান ও সাহিত্যিক ছিলেন  । তার রাজ্যে সাহিত্য, কলা ও সংস্কৃতির খুব পৃষ্ঠপোষন করা হত  । তার রাজ্যে যে সাধারণ লোকেরাও সংস্কৃত জানত ও বলতে পারত তা আমরা "রাজা ভোজ ও কাঠুরে" গল্প হতে জানতে পারি ।
মহাকবি কালিদাস ছিলেন রাজা ভোজের সভার অন্যতম কবি  । কালিদাস আশুকবি ছিলেন  । আশুকবি হলেন তিনি যিনি তৎক্ষণাৎ কবিতা বানাতে পারতেন   । রাজা ভোজের নবরত্ন সভায় কালিদাস ছিলেন শীর্ষস্থানে ।
রাজা ভোজ কবিতা শুনে কবিদের পুরস্কৃত করতেন  ।

কবিরা কাব্য রচনা করে রাজসভায় শোনাতেন ও পুরস্কার পেতেন  ।
একবার মহাকবি কালিদাস বেরিয়েছেন ভ্রমণে । তিনি দেখলেন এক কবি জামগাছের নীচে বসে কাব্য রচনা করেছেন  । সেই কবি তার কবিতা সম্পূর্ণ করতে পারছেন না। এতে তিনি যথেষ্ট বিব্রতও ।
কালিদাস তার কাছে বিমর্ষতার কারন জানতে চাইলেন  ।
কবিবর তার বিমর্ষতার কারন কালিদাসকে জানালেন। 
"সরোবরের জলে পাকা জাম পড়েছিল  । মাছেরা সেই ফলের কাছে আসছিল কিন্তু ফল খাচ্ছিল না ।" সেই কবিবর এই ঘটনাকে কবিতার রূপ দেবার চেষ্টা করছিলেন  । এবং কবিতাটি রাজদরবারে শুনিয়ে ইনাম পেতে চাইছিলেন । কিন্তু কবিতাটি সম্পূর্ণ করতে পারছিলেন না  ।
কবিতাটি ছিল এইরকম - - - 
জম্মু ফলানি পক্কানি পতন্তি নির্মলে জলে তানি মৎস্যানি ন খাদন্তি  । ।
--------------------------------------
কবিতার দ্বিতীয় লাইন কোনোমতে মিলছিল না ।
মহাকবি কালিদাস তো আশুকবি ছিলেন, তাই তিনি কবিতা সম্পূর্ণ করেদিলেন । কবিতাটি হল এইরকম----
জম্মু ফলানি পক্কানি পতন্তি নির্মলে জলে 
তানি মৎস্যানি ন খাদন্তি  জাল গোটক শংকয়া।। 
অর্থাৎ - - - 
পাকা জামফল স্বচ্ছ জলে পড়েছিল । কিন্তু জাল গোটানোর আশঙ্কায় মাছেরা তা খাচ্ছিল না ।