বিষ সংক্রান্তি বা এড়িবেড়ি
বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ দিনটি হল জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তি বা বিষ সংক্রান্তি বা এড়িবেড়ি ।
এদিনে সর্পের দেবী মা মনসার পূজা ও তার উদ্দেশ্যে নিয়ম পালন করা হয়। নিরামিষ, তেতো ও কষা দ্রব্য খাওয়া হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মেজে, স্নান করা হয়। এরপর একটি পাত্রে মুসুর ডাল, নিম পাতা, কেলেকাঁকড়া (এক জাতীয় কষা ফল ) রাখা হয়। সকালে স্নানের পর সকলে ওগুলি সামান্য খেয়ে তারপর অন্য কিছু খায়।
দুপুরে ভাতের সাথে কেলেকাঁকড়ার (এক জাতীয় কষা ফল ) ভাজা, করলা নিম পাতার মতো তেঁতো সব্জির ভাজা, মুসুরের ডাল, মুসুরডালের বড়ার বিভিন্ন পদ, সজনে শাক ইত্যাদি পদ রান্না করা হয়। এদিনে আমিষ দ্রব্য, পেঁয়াজ, রসুন, রাঁধলে পিচ্ছিল হয় এমন সব্জি ( যেমন :- ঢ্যাঁড়স ) খাওয়া নিষিদ্ধ।
এই পালনের একটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে। আষাঢ় মাস হতে শুরু হয় বর্ষাকাল। বর্ষায় বিভিন্ন চর্মরোগ হয়। আর এই চর্মরোগ হতে বাঁচতে তেঁতো ও কষা সব্জি খাবার নিয়ম আয়ুর্বেদে আছে। তাছাড়াও নিম-কেলেকাঁকড়ার মতো গাছের থেকে বিষ প্রভাবও কাটে। যদিও সাপে কামড়ালে ওঝা না ডেকে বা মুষ্ঠিযোগ না করে অতি সত্তর হাসপাতালে যান।
1885 সালের 13ই জুন ( ৩২শে জৈষ্ঠ্য, ১২৯২ ) অর্থাৎ এই বিষ সংক্রান্তি দিনেই শ্রী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের গলার অসুখের সূত্রপাত হয়।
ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ দিনটি হল জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তি বা বিষ সংক্রান্তি বা এড়িবেড়ি ।
এদিনে সর্পের দেবী মা মনসার পূজা ও তার উদ্দেশ্যে নিয়ম পালন করা হয়। নিরামিষ, তেতো ও কষা দ্রব্য খাওয়া হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মেজে, স্নান করা হয়। এরপর একটি পাত্রে মুসুর ডাল, নিম পাতা, কেলেকাঁকড়া (এক জাতীয় কষা ফল ) রাখা হয়। সকালে স্নানের পর সকলে ওগুলি সামান্য খেয়ে তারপর অন্য কিছু খায়।
দুপুরে ভাতের সাথে কেলেকাঁকড়ার (এক জাতীয় কষা ফল ) ভাজা, করলা নিম পাতার মতো তেঁতো সব্জির ভাজা, মুসুরের ডাল, মুসুরডালের বড়ার বিভিন্ন পদ, সজনে শাক ইত্যাদি পদ রান্না করা হয়। এদিনে আমিষ দ্রব্য, পেঁয়াজ, রসুন, রাঁধলে পিচ্ছিল হয় এমন সব্জি ( যেমন :- ঢ্যাঁড়স ) খাওয়া নিষিদ্ধ।
এই পালনের একটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে। আষাঢ় মাস হতে শুরু হয় বর্ষাকাল। বর্ষায় বিভিন্ন চর্মরোগ হয়। আর এই চর্মরোগ হতে বাঁচতে তেঁতো ও কষা সব্জি খাবার নিয়ম আয়ুর্বেদে আছে। তাছাড়াও নিম-কেলেকাঁকড়ার মতো গাছের থেকে বিষ প্রভাবও কাটে। যদিও সাপে কামড়ালে ওঝা না ডেকে বা মুষ্ঠিযোগ না করে অতি সত্তর হাসপাতালে যান।
1885 সালের 13ই জুন ( ৩২শে জৈষ্ঠ্য, ১২৯২ ) অর্থাৎ এই বিষ সংক্রান্তি দিনেই শ্রী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের গলার অসুখের সূত্রপাত হয়।
ভালো লাগলে শেয়ার করুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন