রাজা ভোজ ও মহাকবি কালিদাস
রাজা ভোজ ও অন্যান্য গল্প - - ১, ২, ৩, , ,
রাজা ভোজের সভায় অনেক বিদ্বান ও সাহিত্যিক ছিলেন । তার রাজ্যে সাহিত্য, কলা ও সংস্কৃতির খুব পৃষ্ঠপোষন করা হত । তার রাজ্যে যে সাধারণ লোকেরাও সংস্কৃত জানত ও বলতে পারত তা আমরা "রাজা ভোজ ও কাঠুরে" গল্প হতে জানতে পারি ।
রাজা ভোজের সভায় অনেক বিদ্বান ও সাহিত্যিক ছিলেন । তার রাজ্যে সাহিত্য, কলা ও সংস্কৃতির খুব পৃষ্ঠপোষন করা হত । তার রাজ্যে যে সাধারণ লোকেরাও সংস্কৃত জানত ও বলতে পারত তা আমরা "রাজা ভোজ ও কাঠুরে" গল্প হতে জানতে পারি ।
মহাকবি কালিদাস ছিলেন রাজা ভোজের সভার অন্যতম কবি । কালিদাস আশুকবি ছিলেন । আশুকবি হলেন তিনি যিনি তৎক্ষণাৎ কবিতা বানাতে পারতেন । রাজা ভোজের নবরত্ন সভায় কালিদাস ছিলেন শীর্ষস্থানে ।
রাজা ভোজ কবিতা শুনে কবিদের পুরস্কৃত করতেন ।
কবিরা কাব্য রচনা করে রাজসভায় শোনাতেন ও পুরস্কার পেতেন ।
একবার মহাকবি কালিদাস বেরিয়েছেন ভ্রমণে । তিনি দেখলেন এক কবি জামগাছের নীচে বসে কাব্য রচনা করেছেন । সেই কবি তার কবিতা সম্পূর্ণ করতে পারছেন না। এতে তিনি যথেষ্ট বিব্রতও ।
কালিদাস তার কাছে বিমর্ষতার কারন জানতে চাইলেন ।
কবিবর তার বিমর্ষতার কারন কালিদাসকে জানালেন।
"সরোবরের জলে পাকা জাম পড়েছিল । মাছেরা সেই ফলের কাছে আসছিল কিন্তু ফল খাচ্ছিল না ।" সেই কবিবর এই ঘটনাকে কবিতার রূপ দেবার চেষ্টা করছিলেন । এবং কবিতাটি রাজদরবারে শুনিয়ে ইনাম পেতে চাইছিলেন । কিন্তু কবিতাটি সম্পূর্ণ করতে পারছিলেন না ।
কবিতাটি ছিল এইরকম - - -
জম্মু ফলানি পক্কানি পতন্তি নির্মলে জলে তানি মৎস্যানি ন খাদন্তি । ।
--------------------------------------
কবিতার দ্বিতীয় লাইন কোনোমতে মিলছিল না ।
মহাকবি কালিদাস তো আশুকবি ছিলেন, তাই তিনি কবিতা সম্পূর্ণ করেদিলেন । কবিতাটি হল এইরকম----
জম্মু ফলানি পক্কানি পতন্তি নির্মলে জলে
তানি মৎস্যানি ন খাদন্তি জাল গোটক শংকয়া।।
অর্থাৎ - - -
পাকা জামফল স্বচ্ছ জলে পড়েছিল । কিন্তু জাল গোটানোর আশঙ্কায় মাছেরা তা খাচ্ছিল না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন