রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পিতৃস্তোত্রম Ptrustotram

পিতৃস্তোত্রম্ 
রুচিরুবাচ-
অর্চিতানাম মূর্তানাং পিতৃণাং দীপ্ততেজসাম্।
নমস্যামি সদা তেষাং ধ্যানিনাং দিব্যচক্ষুষাম্।। ১
ইন্দ্রদীনাং চ নেতারো দক্ষমারীচয়োস্তথা।
সপ্তর্ষিণাং তথান্যেষাং তান্ নমস্যামি কামদান্।। ২
মন্বাদীনাং মুনীন্দ্রাণাং সূর্যাচন্দ্রূসোস্তযথা।
তান্ নমস্যাহং সর্বান পিতৃনপ্সুদধাবপি।। ৩
নক্ষত্রাণাং গ্রহণাং চ বাচ্ব্যগ্ন্যোর্নভসস্তথা।
দ্যাবাপৃথিব্যোশ্চ তথা নমস্যামি কৃতাঞ্জলি।। ৪
দেবর্ষিণাং জনিতৃশ্চ সর্বলোকনমস্কৃতান্।
অক্ষচ্চস্য সদাদাতৃন নমস্যেঘহং কৃতাঞ্জলিঃ।। ৫
প্রজাতেঃ কশ্যপায় সোমায় বরুণায় চ।
যোগেশ্বরেভ্যশ্চ সদা নমস্যামি কৃতাঞ্জলি।। ৬
নমো গণেভ্যঃ সপ্তভ্যস্তথা লোকেষু সপ্তেসু।
স্বয়ম্ভূবে নমস্যামি ব্রহ্মণে যোগক্ষুষে।। ৭
সোমাধারান্ পিতৃগণানয়োমূর্তি ধরাংস্তথা।
নমস্যামি তথা সোমং পিতরং জগতামহম্।। ৮
অগ্নিরুপাংস্তথৈবান্যাম্ নমস্যামি পিতৃনহম্।
অগ্নিষোমময়ং বিশ্বং য়ত এতদশেষতঃ।। ৯
য়ে  তু তেজসি য়ে চৈতে সোমসূর্যাগ্নিমূর্তয়ঃ ।
জগত্স্বরুপিণশ্চৈবতথা ব্রহ্মস্বরুপিণঃ
তেভ্যোঘখিলেভ্যো যোগিভ্যঃ পিতৃভ্যো য়তমানসঃ।
নমো নমো নমস্তে মে প্রসীদন্তু স্বধাভুজঃ।। ১০

বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

অর্জুন কৃত দুর্গাস্তুতি


শ্রীঅর্জুন উবাচ - 

নমস্তে সিদ্ধসেনানি আর্যে মন্দরবাসিনী।
কুমারি কালি কাপালি কপিলে কৃষ্ণপিঙ্গলে।। ১

ভদ্রকালি নমস্তুভ্যম্ মহাকালি নমোহস্তুতে।
চণ্ডি চণ্ডে নমস্তুভ্যম্ তারিণি বরবর্ণিনি।। ২

কাত্যায়নি মহাভাগে করালি বিজয়ে জয়ে।
শিখিপিচ্ছধ্বজধরে নানাভরণভূষিতে।। ৩

অটুটশূলপ্রহরণে খড়্গখেটকধারিণে।
গোপেন্দ্রস্যানুজে জ্যেষ্ঠে নন্দগোপকুলোদ্ভবে।। ৪

মহিষাসৃকপ্রিয়ে নিত্যে কৌশিকী পীতবাসিনী।
অট্টহাসে কোকমুখে নমোহস্তেহস্তু রণপ্রিয়ে।। ৫

উমে শাকম্ভরি শ্বেতে কৃষ্ণে কৈটভনাশিনি।
হিরণ্যাক্ষি বিরুপাক্ষি সুধুম্রাক্ষি নমোহস্তুতে।। ৬

বেদশ্রুতিমহাপুণ্যে ব্রহ্মণ্যে জাতবেদসি।
জম্বুকটকচৈত্যেষু নিত্যম্ সন্নিহিতালয়ে।। ৭

ত্বং ব্রহ্ম বিদ্যানাং মহানিদ্রা চ দেহিনাম্।
স্কন্দমাতর্ভগবতি দুর্গে কান্তারবাসিনী।। ৮

স্বাহাকারঃ স্বধা চৈব কলাকাষ্ঠা সরস্বতী।
সাবিত্রী বেদমাতা চ তথা বেদান্ত উচ্যতে।। ৯

স্তুতাসি ত্বং মহাদেবী বিশুদ্ধেনান্তরাত্মা।
জয়ো ভবতু মে নিত্যম্ ত্বৎপ্রসাদাৎ রণাজিরে।। ১০

কান্তারভয়দুর্গেষু ভক্তানাং চালকেষু চ।
নিত্যম্ বসসি পাতালে যুদ্ধে জয়সি দানবান্।। ১১

ত্বং জম্ভিনী মোহিনী চ মায়া হ্রীঃ শ্রীস্তথৈব চ।
সন্ধ্যা প্রভাবতী চৈব সাবিত্রী জননী তথা।। ১২

তুষ্টিঃ পুষ্টির্ধৃতিদীপ্তিশ্চন্দ্রাদিত্যবিবর্ধনী।
ভুতির্ভুতিমনাং সঙ্খ্যে বীক্ষসে সিদ্ধচারণৈঃ।।১৩

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩

সরস্বতী বন্দনা ( আদি শঙ্করাচার্য্য বিরচিত)

শ্রীশারদাস্তোত্রম্ শ্রীশঙ্করাচার্য্য বিরচিত

নমস্তে শারদে দেবি কাশ্মীরপুরবাসিনি |
ত্বামহং প্রার্থয়ে নিত্যং বিদ্যাদানং চ দেহি মে || ১||
যা শ্রদ্ধা ধারণা মেধা বগ্দেবী বিধিবল্লভা |
ভক্তজিহ্বাগ্রসদনা শমাদিগুণদায়িনী  || ২||
নমামি যামিনীং নাথলেখালঙ্কৃতকুন্তলাম |
ভবানীং ভবসন্তাপনির্বাপণসুধানদীম || ৩||
ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ  |
বেদবেদাঙ্গবেদান্তবিদ্যাস্থানেভ্য এব চ || ৪||
ব্রহ্মস্বরূপা পরমা জ্যোতিরূপা সনাতনী |
সর্ববিদ্যাধিদেবী যা তস্যৈ বাণ্যৈ নমো নমঃ   || ৫||
যয়া বিনা জগত্সর্বং শশ্বজ্জীবন্মৃতং ভবেত |
জ্ঞানাধিদেবী যা তস্যৈ সরস্বত্যৈ নমো নমঃ   || ৬||
যয়া বিনা জগত্সর্বং মূকমুন্মত্তবত্সদা |
যা দেবী বাগধিষ্ঠাত্রী তস্যৈ বাণ্যৈ নমো নমঃ  || ৭||
|| ইতি শ্রীশারদাস্তোত্রম্ শ্রীশঙ্করাচার্য্য বিরচিত ||


শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

মৃতের দোষ ও ত্রিপুষ্কর কি

 মৃতের দোষ ও তার খন্ডন :
       এ জগতে সবকিছুই অনিশ্চিত। যা নিশ্চিত তা হল কর্মফল। কর্মফল হতে রেহাই নেই। এ জগতের পাপ এ জগতে ও পরজগতে ভোগ করতে হবে। নশ্বর এই পঞ্চভৌতিক দেহ এ জন্মের ও গতজন্মের প্রারব্ধ ভোগ করে। বাকিটুকু ভোগ করে যাতনাদেহ ও পরজন্মের পঞ্চভৌতিক দেহ। আর এই প্রারব্ধের জন্যই মৃত্যু হয় বিশেষ বিশেষ শুভ বা অশুভ মূহুর্তে। অশুভ মূহুর্তে মৃত্যু হলে মৃত্যুদোষ হয় ও যাতনাদেহ প্রেতত্ব প্রাপ্ত হয়। 
মৃতের এই দোষ ও পুষ্কর-ত্রিপুষ্কর দোষ নিয়ে গরুড় পুরাণে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে ভগবান নারায়ণ বলেছেন আর প্রশ্ন করেছেন তার বাহন গরুড়। 

মহাভারত বলে -
বিধাতৃ‌বি‌হিতং মার্গং ন ক‌শ্চিদ‌তিবর্ত‌তে । 
কালমূল মিদং সর্বং ভাবাভা‌বৌ সুখাসুখম্ ।। 
 কালঃ সৃজ‌তি ভূতা‌নি কালঃ সংহর‌তে প্রজাঃ।। 
 সংহরন্তং প্রজাকালং কালঃ শময়‌তে পুনঃ।। 
কা‌লো হি কুরু‌তে ভবান্  সর্বান্ লো‌কে শুভাশুভান্ ।
 কালঃ সং‌ক্ষিপ‌তে সর্বাঃ প্রজাঃ বিসৃজ‌তে পুনঃ ।।
 কালঃ সু‌প্তেষু জাগ‌র্তি কা‌লো হি দুর‌তিক্রমঃ ।
 কালঃ স‌র্বেষু ভু‌তেষু চরত্য‌বিধৃতঃ সমঃ।।
               (মহাভারত আ‌দিপর্ব /শ্লোক ২০৮-২১১)
অর্থাৎ, বিধাতার নি‌দিষ্ট পথকে কারোরই অ‌তিক্রম করার সাধ্য নেই। তে পা‌রে না, ভাব-অভাব, সুখ-দুঃখ সবই কালের নিয়ন্ত্রণে। কালই শুভাশুভ নির্ণয় করে ও জীবের সৃজন-সংহার ক‌রে । কাল সবসময়ই জাগ্রত থাকে আর সে দুরতিক্রম্য। সে সর্সবভুতে বিচরণ করে। 
অর্থাৎ, সবকিছুর মূলেই এই কাল বা সময়। তাই কালই সমস্ত প্রারব্ধের মূল। এই কালকে অতিক্রম না করা গেলেও বোঝার চেষ্টা করেছেন ঋষিরা। তারা কালের শুভাশুভের ভিত্তিতে মৃতের দোষ নির্ধারণ করেছেন। যা বিভিন্ন পুরাণ ও জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখিত হয়েছে। 
এ বিষয়ে গ্রহযামল তন্ত্রের চতুর্থ পটলে বলা হয়েছে - 
"পূনর্বসুত্তরাষাঢ়া কৃত্তিকাশ্চফাল্গুনি।
পূর্ব্বভদ্রং বিশাখা চ রবিভৌমশনৈশ্চরঃ।।
দ্বীতিয়া সপ্তমীশ্চৈব দ্বাদশীতিথিরেব চ।
এত্তেবামেকদং যোগে ভবতীতি ত্রিপুষ্কর।। 
জাতে তুঃ জারজো যোগং মৃতে ভবতি পুষ্করঃ।।
                         [জ্যোতিষ তত্ত্বঃ,বারাহসংহিতা]
অর্থাৎ - 
নক্ষত্র দোষ : পুনর্বসু, উত্তর আষাঢ়া, কৃত্তিকা, ফাল্গুনী, পূর্বভাদ্রপদ ও বিশাখা নক্ষত্রে মারা গেলে মৃতের দ্বিপাদ দোষ হয়। মান =২ । 
বারদোষ : শনি, মঙ্গল এবং রবিবারে মৃত্যু হলে মৃতের  একপাদ দোষ হয়। মান =১ ।
তিথি দোষ :   দ্বিতীয়া, সপ্তমী এবং দ্বাদশী তিথিতে  মৃত্যু হলে মৃতের একপাদ দোষ হয়। মান = ১ । 

এখন মৃতের দোষ নির্ণয় করতে হলে নিচের সূত্রটি অনুসরণ করতে হবে। 
মোট দোষ = নক্ষত্র দোষ + বার দোষ + তিথি দোষ 
এখন নক্ষত্র, বার বা তিথি কোনোটাই উপরোক্ত সূচির মধ্যে না পড়লে মোট দোষ = ০+০+০ অর্থাৎ শূন্য হবে। নক্ষত্র, বার, তিথির মধ্যে যদি এক বা একাধিক উপরোক্ত সূচিতে পড়ে তবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট মান বসবে। 
আর তিনটিই যদি উপরোক্ত সূচিতে পড়ে তবে মোট দোষ =২+১+১ =৪ হবে। আর একেবারেই পুষ্কর বলে। এই যোগে মৃতে পুষ্কর দোষ আর জন্মে জারজ যোগ হয়। 
আবার মৃতে নক্ষত্র দোষের সাথে সাথে বার বা তিথি যে কোনও একটি দোষ হয় তবে যোগফল তিন হয়। একে ত্রিপুষ্কর যোগ বলে। 
আবার, 
"বারাণাং প্রথমে ভাগে তিথিনাং চাদ্যমধ্যয়োঃ।
   নক্ষত্রে প্রথমে পাদে ত্রিপুষ্কর ইতি স্মৃতঃ।।"
অর্থাৎ, বা‌রের প্রথম ভাগে , তি‌থির আ‌দি ও মধ্যভা‌গে এবং নক্ষ‌ত্রের  প্রথম ভা‌গে মৃত্যু হলে ত্রিপুষ্কর হয়।

  মৃত্যু দোষের ফলাফল :
মৃত্যুকালীন দোষ তার পরিবার আর বাস্তুর উপর কুপ্রভাব ফেলে। অনেক সময় ওই পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনও এই কুপ্রভাব থেকে অব্যাহতি পায় না। এই বিষয়ে বরাহ সংহিতার স্পষ্ট উক্তি - 
"ধমাসাভান্ত্যরে তস্য সুতহানিং বিনিশ্চিতঃ।
অথবা স্বামিনাং হন্তি  দ্বীতিয়ং ভ্রাতরস্তথা।।
তৃতীয়ং সর্ব্বহানিং স্যাৎ সুতবিত্তবিনাশনম্।" 
                  [শব্দকল্পোদ্রুমোক্ত বরাহ সংহিতা]  
অর্থাৎ, নক্ষত্র দোষে গোত্র নাশ হয়।  বার দোষে শস্য ও পুত্র নাশ হয়। এবং তিথি দোষে গো ধন নাশ হয়।
আবার ত্রিপুষ্কর দোষের ফলাফল সম্পর্কে বরাহসং‌হিতায় বলা হ‌য়ে‌ছে - 
               
 "সু‌তো ভ্রাতা তথা জায়া প‌তিঃ শ্বশুর এব চ্
   মাতা পিতা স্বসা বা‌পি পিতৃব্যো ভগিনী।" 

 অর্থাৎ, ত্রিপুষ্কর দো‌ষে মাতা পিতা ভ‌গিনী পিতৃব্য ভ‌গিনীপ‌তি পুত্র ভ্রাতা স্ত্রী স্বামী শ্বশুর সক‌লেই নানা  বিষয়ে অবশ্য পী‌ড়িত হ‌বে।

এ বিষয়ে বলতে গিয়ে গ্রহযামল তন্ত্র আবার আরেককাঠি এগিয়ে গিয়েছে। এখানে চতুর্থ পটলে শিব-পার্বতী সংবাদে স্বয়ং ভগবান শিব বলছেন - 
"নক্ষত্রে গোত্রহানিঃ স্যাদ বাস্তু বৃক্ষ ন জীবিতঃ।।

যার সরল অর্থ হল, পুষ্কর দোষে বাস্তু বৃক্ষ পর্যন্ত জীবিত থাকেনা। ষোলো মাসের মধ্যে পুষ্কর দোষের কারণে গৃহকর্ত্তার সর্ব্বনাশ হয়।অর্থ-সম্পদ,পুত্র এমনকি নিজ জীবন ও বিনাশ হতে পারে। তাহলে ভাবতেই পারছেন যে পুষ্কর দোষ কি ভয়ানক বালাই। 

পুষ্কর দোষ খণ্ডনের উপায় - 
দোষ থাকলে তা খণ্ডনের উপায়ও আছে । সুতরাং পুষ্কর দোষ কাটানোর উপায়ও  আছে। আমাদের শাস্ত্রে সেগুলি বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে উপায়গুলো সঠিক ব্রাহ্মণ ডেকে করাতে হবে। নাহলে উপায়ের কোনও ফল হবে না। 
এ সম্পর্কে গ্রহযামল তন্ত্রের পঞ্চম পটলে শিব-পার্বতী সংবাদে বলা হয়েছে - 

"পুষ্করোধ্বরকে দেবি হোতা ব্রাহ্মা চ পুস্তকী।
সদস্যো গ্রহভূদেবহন্যথা স্যাদ বিফলা ক্রিয়া।
পুষ্করোরিষ্ট শমনে পূজাদ্রব্যবরাননে।
গ্রহদ্বিজ সমাহূয়া পূজয়িত্বা নিবেদয়েৎ।।
গ্রহদ্বিজাদ্ বিভিন্নায় পুষ্করা দ্রব্যাকার্পনে।
ন নস্যেৎ তস্য তদ্রিষ্টং পুনরেব প্রবর্ততে।।" 

যার অর্থ, ভগবান শিব মাতা পার্বতীকে বলেন,
হে দেবী !পুষ্কর যজ্ঞে হোতা,ব্রহ্মা ও পুস্তক ধারী সদস্য ইহারা গ্রহদ্বিজ বা আচার্য্য ব্রাহ্মণ হলে কাজ সিদ্ধ হয়, অন্যথায় কাজ বিফল হয়।
পুষ্কর দোষ পেলেই শান্তি করাতে হবে। নাহলে পরিবারের সদস্যদের দেবতারাও রক্ষা করতে পারবেন না। 
তাই পুষ্কর শান্তি করাতে হবে গ্রহবিপ্র ডেকে এবং শাস্ত্রীয় বিধি মেনে। এজন্য সাধারণত হোম করতে হয় বা  সোনা দান করতে হয়। এই দান বা হোম মৃত ব্যক্তির অশৌচ কালের মধ্যেই করতে হবে।

এবিষয়ে শুদ্ধিকারিকার মত হল - 
“মুখ্যকালে স্তিদং সৰ্ব্ং সুতকং পরিকীর্তিতম্। আপাদগতস্য সৰ্ব্বস্য সুতকোঽপি ন সুতকম্॥" 

তবে এই সমস্ত কাজ এই শ্মশানেই করা উচিত ।অভাবে উঠোনে, দরজায় করা যায়, যা সঠিক ফল দেয় না।  
এছাড়াও  একপাদ দোষ হলে অষ্টোত্তর মাত্র তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা, শিবপুজা, বিষ্ণুর সহস্রনামের একাবৃত্তি পাঠ, ১০৮ দূর্গানাম ও মধূসূদন, শ্রী বিষ্ণুর সহস্রনাম একাবৃত্তি পাঠ বিধেয়।

দ্বিপাদ দোষ হলে অষ্টোত্তর শত তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীবিষ্ণুপূজা, সহস্র দূর্গানাম ও মধূসূদন নাম জপ, চারবার শিবপূজা , দেবীমাহাত্ম্যপাঠ একরূপ, যথাশক্তি কাঞ্চানদান।

ত্রিপাদ দোষ হলে অষ্টোত্তরসহস্রসংখ্যক তুলসীপত্রদ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা, দশসহস্র দূর্গানাম, শ্রী মধূসূদন নাম জপ, দ্বাদশ শিবপূজা , তিনের অধিকবার চন্ডীপাঠ , কাঞ্চনদান, শ্রী বিষ্ণুহোম ১০৮ ষোড়শোপচারে শ্রী বিষ্ণু পূজা আবশ্যক। 

ত্রিপুষ্করদোষ হলে অষ্টোত্তরসহস্রসংখ্যক তুলসীপত্রদ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা, দশসহস্র দূর্গানাম, শ্রী মধূসূদন নাম জপ, দ্বাদশ শিবপূজা , তিনের অধিকবার চন্ডীপাঠ , নবগ্রহ হোম , সভোজ্য কাঞ্চনদান , শ্রী বিষ্ণুহোম ১০৮ ষোড়শোপচারে শ্রী বিষ্ণু পূজা আবশ্যক । 

তবে এই কাজে সঠিক গ্রহবিপ্র প্রয়োজন। সঠিক ছন্দ ও উচ্চারণের সঙ্গে মন্ত্রোচ্চারণ করতে পারে এমন গ্রহবিপ্রই  পুষ্কর শান্তির জন্য উপযুক্ত। এই কাজ  এতটাই সাবধানতার সাথে করতে হয় যে সামান্য ভুলের জন্য  ব্রাহ্মণ ও কর্তার বিপদ উপস্থিত হয়। ও কাজ নিষ্ফল হয়। 


তবে এ বিষয়ে একটা কথা জানা আবশ্যক যে সব পুষ্কর দোষ ক্ষতিকর হয়না। এজন্য পুষ্করের নির্ণয় দরকার। পুষ্কর যদি স্বর্গে অবস্থান করে  তবে তা ক্ষতিকর নয় এবং শান্তি  আবশ্যক হয় না। অপরদিকে পুষ্কর পাতালে  অবস্থান পাতালে করলে  ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। কিন্তু  পুষ্কর যদি  মর্ত্যে অবস্থান করে তবে তা খুবই ক্ষতিকারক  এবং দ্রুত শান্তি আবশ্যক ।

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

বসন্ত পঞ্চম বা সরস্বতী পুজো

 বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজো


সূচিপত্র * সরস্বতী স্তোত্রম্ 



  সূর্য যখন মকর রাশিতে অবস্থান করেন তখন শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় বাগদেবীর সরস্বতীর আরাধনা। আর এই পঞ্চমী তিথিকেই বসন্ত পঞ্চমী বলে। এদিন অধ্যয়ন বন্ধ থাকে। 

মাঘে মাসি সিতে পক্ষে পঞ্চমী যা শ্রিয়ঃ প্রিয়া।

তস্যাঃ পূৰ্ব্বাহু এবেহ কাৰ্যঃ সারস্বততাৎসবঃ ॥

শ্রীপঞ্চম্যাং লিখেম্নৈব ন স্বাধ্যায়ং কদাচন।

বাণীকোপমবাপ্পেতি লিখনে পঠনেহপি চ ৷।

স্মার্তপ্রবর রঘুনন্দনের মতে-

পঞ্চমাং পূজয়েল্লক্ষীং পুষ্পধূপান্নবারিভিঃ।

মস্যাধারং লেখনীঞ্চ পূজয়েন্ন লিখেত্ততঃ ॥

অর্থাৎ, এদিন লক্ষ্মী পুজোও করতে হয়।  

তিনি এও বলেছেন-

তিনি বলেছিলেন......

পঞ্চমাং পূজয়েল্লক্ষীং পুষ্পধূপান্নবারিভিঃ।

মস্যাধারং লেখনীঞ্চ পূজয়েন্ন লিখেত্ততঃ ॥

মাঘে মাসি সিতে পক্ষে পঞ্চমী যা শ্রিয়ঃ প্রিয়া।

তস্যাঃ পূৰ্ব্বাহু এবেহ কাৰ্যঃ সারস্বততাৎসবঃ ॥

শ্রীপঞ্চম্যাং লিখেম্নৈব ন স্বাধ্যায়ং কদাচন।

বাণী কোপম্ আনোতি লিখনে পঠনেহপি চ ।। 

মা সরস্বতী সম্মন্ধে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পড়ুন সরস্বতী মহাভাগে। এছাড়াও মূল সূচিপত্রের জন্য দেখুন সূচিপত্র । 

  দেবী সরস্বতী হলেন আদিদেবী। সৃষ্টির আদি যে প্রণব সেই প্রণবের উদগাতা হলেন সরস্বতী। তাই তো তিনি সৃষ্টিকর্ত্রী। এজন্যই অনেকসময় তাকে ব্রহ্মার শক্তি বলা হয়েছে। এই শক্তি মানে কিন্তু স্ত্রী নয়, ব্রহ্মা অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার নারীরূপ বিশেষ। 

দেবী সরস্বতীর বাহন হংস। এই হংস হল সূর্যের প্রতীক। সূর্য বা সবিতাই হলেন জগৎ প্রসবিতা। অর্থাৎ এখানেও সেই সৃষ্টি। ঋগ্বেদেও রয়েছে দেবী সরস্বতীর প্রশস্তি। 

অম্বিতমে নদীতমে সরস্বতী। 
অপ্রশস্তা ইব স্মসি প্রশস্তিমন্ব নস্কৃধি।। 
                                  (ঋগ্বেদ ২/৪১/১৬ ) 
অর্থাৎ “মাতৃকাদের  মধ্যে শ্রেষ্ঠ তুমি, নদীগণের মধ্যে তুমি শ্রেষ্ট,  হে সরস্বতী, আমরা অসমৃদ্ধের ন্যায় রয়েছি, আমাদের সমৃদ্ধশালী কর।”
শুধু সৃষ্টি নয় দন্ডনীতিরও প্রবক্তা দেবী সরস্বতী।মহাভারত বলছে, - 
 ‘সসৃজে দণ্ডনীতি সা ত্রিষু লোকেষু বিশ্রুতা’
অর্থাৎ দেবী সরস্বতী দণ্ডনীতির সৃষ্টি করেছিলেন।

 ঋকবেদ অনুসারে-

শন্নো দেবী বিশ্বদেবী ভবন্তু শং সরস্বতী সহ ধীতিরস্তু।

শমভিষাশ্চঃ শমু রাতিষশ্চঃ শংনাে দিব্যাঃ পার্থিবাঃ শন্নো অপ্যাঃ।।

এই বসন্তপঞ্চমী সম্পর্কে বলা হয় যে  মহাভারত লেখার পূর্বে ভগবান বেদব্যাস মা সরস্বতীর আরাধনা করেন। মা সরস্বতী তখন ভগবান বেদব্যাসের হাতে একটি কুল বা বদরি দিয়ে বলেন যে এই কুল হতে যে গাছ হবে সেই গাছ হতে প্রথম কুলটি যখন ব্যাসের কোলে পড়বে তখনই সাধনায় সিদ্ধ হবেন ব্যাস। কুলখানা মাটিতে পুঁতে তার পাশেই তপস্যায় বসেন ব্যাসদেব। আর সেই কুলের বীজ অঙ্কুরিত হয়ে ধীরে ধীরে তা বৃক্ষে পরিণত হয়। এবং যেদিন সেই গাছ হতে একখানা পাকা কুল ব্যাসদেবের কোলে পড়ে সেই দিনটি ছিল এই বসন্ত পঞ্চমী। আর ওই কুলগাছ বা বদরি বৃক্ষের নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয় বদরিকাশ্রম।

আর এজন্যই কুল দিয়ে মা সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। এবং সরস্বতী পুজো পর্যন্ত কুল খাওয়া হয় না।

দেবী সরস্বতী শুধু যে হিন্দুদের দেবী তাই নন তিনি বৌদ্ধ ও জৈন্যদের দ্বারাও সমানভাবে উপাস্য। তিব্বতি ভাষায় দেবীর নাম 'ইয়েং চেনমা', জাপিনে আবার তিনি দেবী বেনজো। 

বৌদ্ধ সাধনমালায় তাঁর পাঁচটি রূপ দেখতে  পাই। মহাসরস্বতী, বজ্রবীণা সরস্বতী, আর্য সরস্বতী, সরস্বতী, বজ্র শারদা এবং বজ্র সরস্বতী।  বিহারের নালন্দা এবং ওড়িশার রত্নগিরিতে মহাসরস্বতীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। যদিও দেবী সরস্বতীর সঙ্গে দেবী মাতঙ্গীর অনেক প্রভেদ আছে তবুও বিচার করে দেখলে বোঝা যায় দেবী মাতঙ্গীই দেবী সরস্বতীর তান্ত্রিক রূপ। 

পুজার উপকরণ :-

সরস্বতী পুজোয় অন্যান্য পুজোর সাধারণ উপকরণের সাথে সাথে আম, জাম, ধান ও গমের শিষ, শরকাঠি ( কলম তৈরির জন্য ) , দোয়াত, কালি, টোপাকুল, পলাশ ইত্যাদি বসন্তের ফুল প্রয়োজন। 

হাতেখড়ি :-

অনেকে সরস্বতী পুজোর দিন নিজের পুত্রকন্যার বিদ্যারম্ভ বা হাতেখড়ি দেওয়া করান। অনেকে আবার এর একদিন পর মাকুড়ি সপ্তমীর দিনেও হাতেখড়ি দেন। একটা শ্লেটে গণেশের নাম লিখে তারপর অক্ষরগুলো লেখা করান। পুরোহিতমশাই বালক বা বালিকার হাতে ধরে এই কাজ সুসম্পন্ন করান। এদিন হতেই ওই বালক বা বালিকার বিদ্যারম্ভ হয়। বিদ্যারম্ভ বৃহস্পতিবারে শ্রেষ্ঠ। শুক্র ও রবিবার মধ্যম, শনি ও মঙ্গলবারে অল্পায়ু, বুধ ও সোমবারে বিদ্যাহীন হয়। 

এ নিয়ে জ্যোতিষতত্ত্বম সুস্পষ্ট ভাবে বলেছে-

সংপ্রাপ্তে পঞ্চমে বর্ষে অপ্রসুপ্তে জনার্দনে।

ষষ্ঠীং প্রতিপদঞ্চৈব বৰ্জ্জয়িত্বা তথাষ্টমীম্‌ ॥

রিক্তাং পঞ্চদশীঞ্চৈব সৌরিভৌমদিনং তথা।

এবং সুনিশ্চিতে কালে বিদ্যারম্ভন্তু কারয়েৎ।।  

 অর্থাৎ পাঁচ বছর বয়স হলেই হরিশয়নকাল, ষষ্ঠী, প্রতিপদ, অষ্টমী, রিক্তা, পূর্ণিমা, অমাবস্যা তিথি, শনি ও মঙ্গলবার পরিত্যাগ করে উত্তম দিনে বিদ্যারম্ভ করা উচিত ।

বিদ্যারম্ভের তিথি নিয়েও সঠিক নির্দেশিকা আছে এই  জ্যোতিষতত্ত্বমে। 

লঘুচরশিবমুলাধোমুখত্বষ্টৃপৌঞ্চশশিষু

 চ হরিরোধে শুক্রজীবার্কবারে।

উদিতবতি চ জীবে কেন্দ্রকোণেষু 

সৌম্যেরপঠনদিনবর্জং পাঠরেৎ পঞ্চমেহবৌ।।

বিদ্যারম্ভে গুরুঃ শ্রেষ্ঠো মধ্যমৌ ভৃগুভাস্করৌ।

মরণং শনিভৌমাভ্যামবিদ্যা বুধসোময়োঃ।

ষষ্ঠীং প্রতিপদঞ্চৈব বৰ্জ্জয়িত্বা তথাষ্টমীম্।।

রিক্তাং পঞ্চদশীঞ্চৈব শনিভৌমদিনং তথা।

শুভে সুনিশ্চিতে কালে বিদ্যারম্ভ প্রশস্যতে।।

অর্থাৎ, - 

চন্দ্র যখন পুষ্যা, অশ্বিনী, হস্তা,স্বাতী, পুনৰ্ব্বষু, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, আর্দ্রা, মূলা, অশ্লেষা,কৃত্তিকা, ভরণী, মঘা, বিশাখা, পূর্বফাল্গুনী, পূর্ব্বাষাঢ়া, পূর্ব্বভাদ্রপদ, চিত্রা, রেবতী ও মৃগশিরা নক্ষত্রে অবস্হান করেন তখন হরিশয়ন সময় পরিত্যাগ করে উত্তরায়ণে শুক্র, বৃহস্পতি ও রবিবারে কালশুদ্ধিতে লগ্নের কেন্দ্র, পঞ্চম, ও নবম শুভগ্রহযুক্ত হলে পাঁচ বছর বয়সী সন্তানের বিদ্যারম্ভ করবে। 

সরস্বতীর ধ্যান মন্ত্র

ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্ব্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ। 

কুচভরণমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।।

নিজকর কমলোদ্যল্লেখণী পুস্তকশ্রীঃ।

সকল বিভবসিদ্ধৌ পাতু বাগদেবতা নমঃ।।


মুকুলপুষ্প নিবেদন মন্ত্র : 


একটি  পাত্রে যবের শীষ, কুন্দ ফুল, পাঁচটি নারিকেল কুল, পলাশ ফুল, আমের মুকুল ,আবীর (ফল্গুচূর্ণ) নিম্নলিখিত মন্ত্রে উৎসর্গ করতে হবে - 

" ওঁ ইদং যবশীর্ষ কুন্দ বদর পলাশাম্রমুকুলাভ্রফল্গুচুর্ণাদিকম্ ওঁ লেখনী পুস্তক মস্যাধার বাদ্যযন্ত্রসহিতায়  ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ। "

এছাড়াও নিম্নমন্ত্রে আমের মুকুল দেওয়াল যায় - 

ওঁ ক্ষীরসিক্তং চ্যুতপুষ্পং চন্দনেন সুবাসিতম্। নৈবেদ্যং বিশেষং তব ভক্তিতোহহং সমুৎসৃজে।।


সরস্বতী দেবীর গায়ত্রীঃ

ওঁ বাগ্দেব্যৈ বিদ্মহে কামরাজায় ধীমহি তন্নো দেবী প্রচোদয়াৎ।। 

সরস্বতী প্রণাম মন্ত্র

ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।

বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।

বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।

সরস্বতীর স্তবঃ

ওঁ শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।

শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।

শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।

শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারব‌ভূষিতা

বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।

পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।

স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।

যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।

সরস্বতী দেবীর স্তোত্রঃ

সরস্বতী মহাদৃষ্টা বীণাপুস্তকধারিণী।

হংসবাহন সংযুক্তা বিদ্যাদান করোম্যহম্।

প্রথমং ভারতীনাম দ্বিতীয়ঞ্চ সরস্বতী।

তৃতীয়ং সারদা দেবী চতুর্থে হংসবাহিনী। 

পঞ্চমে জগদ্বিখ্যাতা ষষ্ঠে বাকশ্বরীস্তথা।

সপ্তমে প্রখরতা চ অষ্টমে বরদায়িনী।

নবমে সিদ্ধিদাতা চ দশমে ব্রহ্মচারিণী। 

একাদশে চন্দ্রঘন্টা দ্বাদশে ভুবনেশ্বরী।।


সরস্বতীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র

ওঁ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।

বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ স্বাহা।।

এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি ওঁ সরস্বতৈ দেবৈ নমঃ।।