রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

Shiva stotram by UMAR-BIN-E-HASNAN



নবী হযরত মহম্মদ এর কাকা 'উমর-বিন-এ-হাসনাম' কৃত শিব স্তুতি ।

আরব অঞ্চলে যে সনাতন ধর্মের অস্তিত্ব ছিল তা I প্রমাণে আজ আর কষ্ট করতে হয় না। মক্কার কাবাতে রাজা বিক্রমাদিত্যের উৎকীর্ণ ফলক ছিল। শিব ভক্ত রাজা বিক্রমাদিত্যের ফলক স্বভাবতই শিবলিঙ্গের কাছই উৎকীর্ণ হবে। এখন এমন একটি কবিতা আপনাদের শোনাবো যেটি ভগবান শিবের উদ্দেশ্য রচিত। আর রচিয়তা স্বয়ং নবী হযরত মহম্মদ এর কাক 'উমর-বিন-এ-হাসনাম'। ইনি ছিলেন সেই সময়কার আরবের একজন বিখ্যাত কবি। আর তিনি ছিলেন 'কোরায়েশ' বংশীয় ও 'কাবা' র একজন পুরোহিত।

শিবস্তুতি :

কাফায়োমাল ফিকরা মিন উলুমিন তাব আসাইরু
কালউয়ান আমাতাউল হাওয়া ওয়াজ তাজাখরু
উই তাজাখাঈরোবা উডান  কালালওয়াদে-এ লিবোওয়া
ওয়ালুকায়ইয়ানাই যাতাল্লি, হ্যায় ইয়উমা তাব আসাইরু
ওয়া আবালোলহা আযাবু আরমীমান' মহাদেব'
মনোজেইল ইলামুদ্দিন মিনহুম ওয়া সাইয়াত্তারু
ওয়া সাহাবী কাই-আম ফিমা-কামিল মিনডে ইয়ায়ুমান
ওয়া ইয়াকুলুম ন লাতাবাহান ফৈনাক তওজ্জারু
মাসসায়ারাই আখলাকান হাসনান কুল্লাহুম
নাজুমুম আজা-আট সুম্মাগাবুল হিন্দু।

বাংলা তর্জমা ( তর্জমা : সুব্রত মজুমদার) :-

 যেলোক কাটায় তাহার জীবন পাপের পঙ্কতলে
ব্যাভিচার আর নাস্তিককতায় জীবন যে জন পালে
করে আফসোস যদি সে ফিরিয়া আসে
নীতিবান সে বাঁচে কোন আশ্বাসে ?
যদি সেই জন হয়ে একমন পূজে শ্রী মহাদেবে
বিমলচিত্ত সেইজন লভে আত্মীয় সম্পদে।
হে শিব মোর লও এ জীবন তবু দিনেকের তরে
পাঠিয়ো 'হিন্দে' যেথা বেদবান তপের সাগরে ফিরে।
সেথায় তীর্থে বেদবান সনে সখ্যে ও সংলাপে
হব সমৃদ্ধ, ভরিবে হৃদয় তপে ।

শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

Srimoti sanbad - poem

শ্রীমতী সংবাদ
সুব্রত মজুমদার 

[[ একদিন নির্জন আরব সাগরের তীরে চঞ্চল কৃষ্ণ পদচারণা করছেন। হঠাৎ শুনতে পেলেন এক পরিচিত স্বর। কে  ? এ কি.. শ্রীমতী ! রাধা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুললেন কৃষ্ণকে। ঘটনা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। স্থান, কাল ও ব্যক্তি বা ধর্মীয় ঘটনার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। থাকলে তা নেহাত কাকতালীয়। ]
ভালো আছো জানি প্রীয় অন্যকারো সাথে, অন্য কারো হাত রেখে হাতে ;
মোদের বিরহ ব্যাথা তোমাকে কাঁদায়, - - হয়তো কোন নিঃসঙ্গ নিশীথে।
আমি কাঁদি নাকো। কেন জানো ? আমার হৃদয়জুড়ে আছো তুমি হে দ্বারকাধীশ ;
তব স্মৃতি হিয়া জুড়ে তাই, - বিরহ বেদন মাঝে সুখের হরিষ।
ভয় করে, তোমার পরশ যদি হৃৎপিণ্ডের বদ্ধ কোষ্ঠ হতে আবেগ আকারে
ঝরে পড়ে নয়নের অশ্রুধারা হয়ে ! বল বন্ধু তখন কি করে
বেঁচে রবে কলঙ্কিনী  ? জানি প্রীয় জানি জানি উত্তরের বৃথাই প্রত্যাশা।
কি করে জানবে তুমি জননীর স্নেহ আর দয়ীতার মৌন ভালোবাসা ?
তুমিও কি সুখে আছ  - - রাজছত্র ঢাকেনাই মোহনচূড়া তব  ? যে অঙ্গুলি
বাজাতো বাঁশরী, - উছলিত যমুনার ধারা, ফিরিত গৃহে গাভীবৎসগুলি;--
সে অঙুলে সুদর্শনচক্র ধরো আজ। যে আঙুল ধরেছিল গিরিগোবর্ধন
রেখেছিল গোপগণে নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে, সে আঙুল নেয় আজ প্রাণ।
যে গোপবালক যমুনার স্বাদুজল পান করে নিবারিত তৃষা
সে আজ হেমদণ্ড ধরে সমুদ্রের খরজলে হারিয়েছে দিশা।
বৃষ্ণীরাজ ! ভুলে যাই মাঝে মাঝে কোনো দিন আপন ছিলে তুমি,
তোমার বাঁশির তাণে চঞ্চলিত হৃদয় আমার। প্রেমহীন রূক্ষ মরুভূমি
যেথা নাই সামান্য আর্দ্র্যতা, আছে শুধু ন্যায়-নীতি-কূটনীতির জঘন্য প্রলাপ,
সে হৃদয় নিয়ে কেন বাঁচো ? কেনো জগন্নাথ, এত ঘোর পাপ  ?
যে রথের তুমিই সারথি সে রথের হতে ভীমবাণ ছিন্ন করে নিরীহ বৃষ্ণীরে ?
ভালো থেকো প্রীয়তম, নির্জন তরঙ্গময় সমুদ্রের বেলাভূমি পরে
এ সাক্ষাৎ মুছে যাবে ইতিহাস হতে। দ্বৈপায়ণ ব্যাস কৃপণতা বশে
এই জীর্ণ পাতা ভরাবেনা কালির আঁচরে। হয়তো কোন দেশে
হয়তো কোন কালে আবার তোমার হব। তোমার অপেক্ষায়...
বিদায় প্রিয়.... বিদায়....।