ব্যাকরণ ও ছন্দ - -, ১,২ ,৩ , ৪, , , ,
অক্ষর : (বাগযন্ত্রের) স্বল্পতম প্রয়াসে বা এক ঝোঁকে শব্দের যে অংশটুকু উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বা দল বলে। এই অক্ষর অনেকটাই ইংরেজি Syllable-র মত। যেমন-
অক্ষর : (বাগযন্ত্রের) স্বল্পতম প্রয়াসে বা এক ঝোঁকে শব্দের যে অংশটুকু উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বা দল বলে। এই অক্ষর অনেকটাই ইংরেজি Syllable-র মত। যেমন-
শর্করা- শর,ক, রা- ৩ অক্ষর
পরিবার - প, রি, বা, র- ৪ অক্ষর
শান্ত - শান্, ত- ২ অক্ষর
যতি বা ছন্দ-যতি : কোন বাক্য পড়ার সময় শ্বাসগ্রহণের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অন্তর অন্তর যে উচ্চারণ বিরতি নেয়া হয়, তাকে ছন্দ-যতি বা শ্বাস-যতি বলে।
যতি মূলত ২ প্রকার-
হ্রস্ব যতি ও দীর্ঘ যতি।
অল্পক্ষণ বিরতির জন্য সাধারণত বাক্য বা পদের মাঝখানে হ্রস্ব যতি দেওয়া হয়। আর বেশিক্ষণ বিরতির জন্য, সাধারণত বাক্য বা পদের শেষে দীর্ঘ যতি ব্যবহৃত হয়।
অক্ষর : (বাগযন্ত্রের) স্বল্পতম প্রয়াসে বা এক ঝোঁকে শব্দের যে অংশটুকু উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বা দল বলে। এই অক্ষর অনেকটাই ইংরেজি Syllable-র মত। যেমন-
প্রতিক - প্র,তি, ক- ৩ অক্ষর
পরিবার - প, রি, বা, র- ৪ অক্ষর
শান্ত - শান্, ত- ২ অক্ষর
যতি বা ছন্দ-যতি : কোন বাক্য পড়ার সময় শ্বাসগ্রহণের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অন্তর অন্তর যে উচ্চারণ বিরতি নেয়া হয়, তাকে ছন্দ-যতি বা শ্বাস-যতি বলে।
যতি মূলত ২ প্রকার- হ্রস্ব যতি ও দীর্ঘ যতি।
অল্পক্ষণ বিরতির জন্য সাধারণত বাক্য বা পদের মাঝখানে হ্রস্ব যতি দেওয়া হয়। আর বেশিক্ষণ বিরতির জন্য, সাধারণত বাক্য বা পদের শেষে দীর্ঘ যতি ব্যবহৃত হয়।
পর্ব : বাক্য বা পদের এক হ্রস্ব যতি হতে আরেক হ্রস্ব যতি পর্যন্ত অংশকে পর্ব বলা হয়। যেমন-
একলা ছিলেম ∣ কুয়োর ধারে ∣ নিমের ছায়া ∣ তলে ∣∣
কলস নিয়ে ∣ সবাই তখন ∣ পাড়ায় গেছে ∣ চলে ∣∣ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
( ∣ - হ্রস্ব যতি ও ∣∣ - দীর্ঘ যতি)
এখানে একলা ছিলেম, কুয়োর ধারে, নিমের ছায়া, তলে- প্রতিটিই একেকটি পর্ব; মানে প্রতিটি চরণে ৪টি করে পর্ব।
মাত্রা : একটি অক্ষর উচ্চারণে যে সময় প্রয়োজন হয়, তাকে মাত্রা বলে। বাংলায় এই মাত্রাসংখ্যার নির্দিষ্ট নয়, একেক ছন্দে একেক অক্ষরের মাত্রাসংখ্যা একেক রকম হয়। মূলত, এই মাত্রার ভিন্নতাই বাংলা ছন্দগুলোর ভিত্তি। বিভিন্ন ছন্দে মাত্রাগণনার রীতি বিভিন্ন ছন্দের আলোচনায় দেয়া আছে।
শ্বাসাঘাত : প্রায়ই বাংলা কবিতা পাঠ করার সময় পর্বের প্রথম অক্ষরের উপর একটা আলাদা জোর দিয়ে পড়তে হয়। এই অতিরিক্ত জোর দিয়ে পাঠ করা বা আবৃত্তি করাকেই বলা হয় শ্বাসাঘাত বা প্রস্বর।
যেমন-
দেখে শেখা |শখে শেখা |শেখা বন্ধু | চক্রে ||
দুঃখ ব্যথা |ব্যর্থ গ্রাসে | মাদ্যাসক্ত | বক্সে ||
----( মাদকাসক্তি - অন্তকীর্তি)
যেমন-
দেখে শেখা |শখে শেখা |শেখা বন্ধু | চক্রে ||
দুঃখ ব্যথা |ব্যর্থ গ্রাসে | মাদ্যাসক্ত | বক্সে ||
----( মাদকাসক্তি - অন্তকীর্তি)
আমরা আছি ∣ হাজার বছর ∣ ঘুমের ঘোরের ∣ গাঁয়ে ∣∣
আমরা ভেসে ∣ বেড়াই স্রোতের ∣ শেওলা ঘেরা ∣ নায়ে ∣∣ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
এখানে প্রতিটি পর্বের প্রথম অক্ষরই একটু ঝোঁক দিয়ে, জোর দিয়ে পড়তে হয়। এই অতিরিক্ত ঝোঁক বা জোরকেই শ্বাসাঘাত বলে। : বাক্য বা পদের এক হ্রস্ব যতি হতে আরেক হ্রস্ব যতি পর্যন্ত অংশকে পর্ব বলা হয়। যেমন-
একলা ছিলেম ∣ কুয়োর ধারে ∣ নিমের ছায়া ∣ তলে ∣∣
কলস নিয়ে ∣ সবাই তখন ∣ পাড়ায় গেছে ∣ চলে ∣∣ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
( ∣ - হ্রস্ব যতি ও ∣∣ - দীর্ঘ যতি)
এখানে একলা ছিলেম, কুয়োর ধারে, নিমের ছায়া, তলে- প্রতিটিই একেকটি পর্ব; মানে প্রতিটি চরণে ৪টি করে পর্ব।
পদ ও চরণঃ
পূৃর্ণ যতি বা দীর্ঘ যতি ছাড়াও এই দুই যতির মধ্যবর্তী বিরতির জন্য মধ্যযতির ব্যবহার হয়। দুই দীর্ঘ যতির মধ্যবর্তী অংশকে চরণ বলে। আর মধ্যযতি দ্বারা বিভক্ত চরণ গুলোকে বলে পদ। যেমন-
তরু তলে আছি/ একেলা পড়িয়া | দলিত পত্র/ শয়নে//
তোমাতে আমাতে/ রতছিনু যবে | কাননে কুসুম/ চয়নে// ---( রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর)
এখানে '|' চিহ্ন দ্বারা মধ্যযতি বোঝানো হয়েছে। পূৃর্ণ যতি দ্বারা আলাদা করা অংশ দুইটিকে চরণ বলে। '|' চিহ্নের উভয় অংশকে পদ বলে।
অনেক গুলো চরণ মিলে একটি স্তবক গঠিত হয়। সাধারনত একটি স্তবকে একটি ভাব প্রকাশিত হয়।
মিল বা অন্তমিলঃ
একাধিক পদ, পর্ব বা চরণের শেষে একই রকম ধ্বনীগুচ্ছের ব্যবহারকে মিল বলে। অলংকারের ভাষায় একে অনুপ্রাস'ও বলা হয়।
বাংলা পদ্য সাহিত্যে ছন্দ তিন প্রকার।
যথাঃ ১) অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
২) মাত্রাবৃত্ত ছন্দ এবং
৩) স্বরবৃত্ত ছন্দ
১) অক্ষর বৃত্ত ছন্দঃ
এখানে প্রতিটি বর্ণ বা অক্ষর এক একটি মাত্রা বহন করে। অর্থাৎ এখানে চোখের হিসাব নিকাশ। বিনয় মজুমদার একটা বেশ ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতানুসারে, যে বর্ণের উপর মাত্রা আছে, তাই তার মাত্রা। যেমন 'অ' অক্ষরের উপর মাত্রা আছে। তাই এটি এক মাত্রা বহন করে। আবার যুক্তবর্ণেও এক মাত্রা ধরা হয়। যেমন- ল্ল, জ্জ্ব, স্ক, ঙ্গ, ইদ্যাদি সব এক মাত্রা বহন করে। আবার 'ৎ' অক্ষরে কোনো মাত্রা নেই। তাই উৎছন্ন শব্দটি তিন মাত্রার।
কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম আছে। স্বরবর্ণ যেমন- 'এ' সর্বদাই এক মাত্রা বহন করে। 'ও' আবার মাঝখানে শুন্য মাত্রা এবং প্রথমে থাকলে এক মাত্রা হিসাব করতে হয়। যেমন- 'খাওয়া', 'দাওয়া' দুই মাত্রার শব্দ। 'ওদের' তিন মাত্রার শব্দ এবং 'ওর' দু'মাত্রার শব্দ।
ব্যঞ্জনবর্ণ - 'ঙ' এবং 'ৎ' শেষে বসলে এক মাত্রা। যেমন- 'রঙ' দুই মাত্রা এবং 'উচিৎ', হঠাৎ, অর্থাৎ, প্রভৃতি তিন মাত্রার। 'ঙ' যুক্তাক্ষরে এক মাত্রা বহন করে। যেমন- 'কঙ্কাল', অঙ্ক, 'অঙ্কন', ইত্যাদি। আবার 'ৎ' মাঝখানে বসলে শূন্যমাত্রা।যেমন- 'উৎস' দু'মাত্রার।
অক্ষর বৃত্ত ছন্দে প্রতি পর্বে চার মাত্রা এবং শেষে দু'মাত্রার অতিপর্ব থাকে। অর্থাৎ চার এর গুনিতক + ২।
যেমন-
৪*১+২= ৬
৪*২+২=১০
৪*৩+২=১৪
৪*৪+২=১৮
৪*৫+২=২২
২৬,৩০,৩৪, এভাবে চলতে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি মাত্রার লাইন কেবল জীবনানন্দ দাশ'ই লিখেছেন।
ছয় মাত্রার অক্ষর বৃত্ত ছন্দঃ
ছয়মাত্রার অক্ষর বৃত্তছন্দের উদাহরণ নিম্নে পর্যালোচনা করা যাক।
এসো এসো/ প্রিও//
তব প্রাণ/ জিও//
তব লাগি/ প্রাণ//
করে দিব/ দান//
যদি চাও/ তুমি//
দিয়েদিব/ আমি//
জনমের/ মত//
দেব আছে/ যত//
যতক্ষণ/ আছে//
প্রাণবায়ূ/ শ্বাসে//
দশমাত্রার অক্ষর বৃত্তছন্দঃ
চল দেখি বানানো যায় কিনা দশ মাত্রার অক্ষর বৃত্তছন্দ।
পাঠকের/ মনভরে/ না'ক//
দরবারে/ কবিদের/ ডাক//
বুঝিবার/ নাহি পারি/ কবি//
দাঁত ভাঙা/ শব্দগুচ্ছ/ একি//
বলদেখি/ কি করেছ/ কবি//
নরপতি/ বলে দিল/ সবি//
ছয় মাত্রা ভাঙার যদিও কোন নিয়ম নেই। কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে প্রতিটি লাইনকে দুইটি মহাপর্বে ভাগ করতে হয়। প্রথম পর্বে আট মাত্রা, পরের টিতে বাকিগুলো। যেমন-
১০ মাত্রা = ৮ + ২
১৪ মাত্রা = ৮ + ৬
১৮ মাত্রা = ৮ + ১০
২২ মাত্রা = ৮ + ১৪
বাকিগুলো এভাবেই চেষ্টা করতে হবে। ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এ ব্যাপারে বলেন,
" বিজোড়ে বিজোড়ে গাঁথো
জোড়ে গাঁথো জোড়।"
অর্থাৎ বিজোড় শব্দের সাথে বিজোড় শব্দ এবং জোড় শব্দের সাথে জোড় শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাহলে পাঠকের আর পড়তে ও শুনতে আর অস্থিরতা লাগবেনা।
২) স্বরবৃত্ত ছন্দঃ
এখানে কানে বিচার করতে হবে। অর্থাৎ শ্রবণ শক্তির উপর জোর দিতে হবে। কারন এখানে বদ্ধস্বর একমাত্রা এবং মুক্তস্বর একমাত্রা বহন করে। ছড়া এই ছন্দে লেখা হয়। মূল পর্ব সর্বদাই চার মাত্রার হয়। প্রতি পর্বের প্রথম অক্ষরে শ্বাসাঘাত হয়। দ্রুত লয় প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ কবিতা দ্রুত আবৃত্তি করতে হয়। যেমন-
(১) কাঠামোঃ ৪ + ৪ + ৪ + ১
মাত্রা বিন্যাসঃ
বাঁশ বাগানের/ মাথার উপর/ চাঁদ উঠেছে/ ওই//
মাগো আমার/ শোলক বালা/ কাজলা দিদি/ কই//
---( যতীন্দ্র মোহন বাগচী)
এখানে অক্ষের নিচে (_) চিহ্ন দ্বারা স্বাসাঘাত নির্দেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে একটু ঝোঁক দিয়ে পড়তে হয়। আর লাইনের শেষের অক্ষর গুলোতে মিল বা অনুপ্রাস পরিলক্ষিত হয়।
(২) কাঠামোঃ ৪ + ৪ + ৪ + ২
মাত্রা বিন্যাসঃ
যখন ওরা/ অপিসে যায়/ কিংবা চালায়/ তুমুল দোকান/ দারি//
তখন আমি/ ঢেউ সাজানো/ নদীর বুকে/ দিব্যি জমাই/ পাড়ি//
--- ( যখন ওরা - শামসুর রহমান)
এখানে চার মাত্রার চারটি পর্ব এবং দুই মাত্রার একটি অতিপর্ব দিয়ে পঙক্তি গঠিত হয়েছে।
(৩) কাঠামোঃ ৪ + ৪ + ৩
মাত্রা বিন্যাসঃ
মেঘনা নদীর/ শান্ত মেয়ে/ তিতাসে//
মেঘের মতো/ পাল উড়িয়ে/ কী ভাসে//
--- ( ভর দুপুর - আল মাহমুদ)
এখানে চার মাত্রার দুইটি পর্ব এবং তিন মাত্রার একটি অতিপর্ব রয়েছে।
এগুলো ছাড়াও ৪ + ৫, ৭ + ৪ মাত্রার স্বরবৃত্ত পরিলক্ষিত হয়।
যেমন-
বাবুদের তাল পুকুরে
হাবুদের ডাল কুকুরে
সেকি বাস করল তারা
বলি থাম একটু দাঁড়া।
--- ( লিচুচোর - কাজী নজরুল ইসলাম)
এখানে প্রতিটি লাইন সাত মাত্রার। একটি মাত্র পর্ব দিয়ে গঠিত।
আগুনের পরশ মনি/ ছোঁয়াও পানে,
এজীবন পূৃণ্য করো/ দহন দানে।
আমার এই দেহখানি/ তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের/ প্রদীপ করো
নিশিদিন আলোক শিখা/ জ্বলুক গানে।
--- ( পরশমনি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
এখানে লক্ষনীয় যে,প্রতিটি লাইনের প্রথমে সাত মাত্রার একটি পর্ব ও শেষে চার মাত্রার একটি অতিপর্ব আছে।
৩) মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ
এক্ষেত্রে বদ্ধস্বর দু'মাত্রা বহন করে এবং মুক্তস্বর এক মাত্রা বহন করে। কোনো অবস্থাতেই বদ্ধস্বর এক মাত্রা বহন করবে না। এখানে যুক্তাক্ষরকে আলাদা মাত্রা হিসাব করতে হবে। যেমন- কষ্ট = 'ক-ষ্-ট' তিন মাত্রার। ছন্দ = 'ছ-ন্-দ' তিন মাত্রার। তবে যুক্তবর্ণ শব্দের প্রথমে থাকলে ভাঙানো যায় না। এক্ষেত্রে মাত্রাবৃত্তেও এক মাত্রা ধরা হয়। মাত্রাবৃত্ত ছন্দের চাল বিভিন্ন মাত্রার হয়ে থাকে। যেমন- ৪,৫,৬,৭ মাত্রার চাল। অতিপর্ব চাইলে ১,২, বা ৩ মাত্রার রাখা যাবে। কিন্তু কখনো অতিপর্বের মাত্রা পর্বের চেয়ে বেশি হওয়া যাবে না।
যেমন- ছয় মাত্রার কাঠামো
৬ + ৬ + ৬ + ২
মাত্রা বিন্যাসঃ
এ জগতে হায়/ সেই বেশি চায়/ আছে যার ভূরি/ ভূরি
রাজার হস্ত/ করে সমস্ত/ কাঙালের ধন/ চুরি।
--- ( দুইবিঘে জমি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
পাঁচ মাত্রার পর্ব এবং দু'মাত্রার অতিপর্বঃ
কবিতা কাঠামোঃ ৫ + ৫ + ২
মাত্রা বিন্যাসঃ
এভূজ মাঝে/ হাজার রূপ/ বাতি
আচম্বিতে/ প্রসাদ হারা/ য়েছে;
আমার হাতে/ দেবীরা সুধা/ এনে,
গরল নিয়ে/ নরকে চলে/ গেছে।
--- ( নিরুক্তি - সুধীন্দ্রনাথ দত্ত)
এরূপ আর একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।
আসতে যেতে/ এখনো তুলি/ চোখ
রেলিঙে আর/ দেখিনা নীল/ শাড়ি।
কোথায় যেন/ জমেছে কিছু/ শোক,
ভেঙেছে খোলা/ সহসা দিয়ে/ আড়ি।
---( নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন