বিল্ববৃক্ষ মাহাত্ম্যঃ
বেলগাছ হিন্দুধর্মে একটি পবিত্র বৃক্ষ। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম Aegle marmelos।
বিল্ববৃক্ষ শিবস্বরূপ। এর তিনটি পাতার মাঝেরটি শিবস্বরূপ, বামপত্র ব্রহ্মাস্বরূপ ও ডানপত্র বিষ্ণুস্বরূপ। বেলপাতার সামনের অংশকে অমুর্যাম বলে। বেলের তিনটি পাতা সৃষ্টি-স্থিতি-লয় বা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বা সত্ত্ব-রজ-তম কে নির্দেশ করে।
ঋগ্বেদের শ্রী সূক্তে বেলের উপকারীতার কথা বলা আছে। নেপালে বিয়ের আগে যে অনুষ্ঠান করে তাকে বেল-বিবাহ বলে। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে বেলগাছ লাগানো শুভ। এতে সম্পদ প্রাপ্তি হয়। দক্ষিনদিকে দূর্ঘটনা বা বাধামুক্তি, পশ্চিমে সন্তানভাগ্য, পূর্বে সম্পদ ও শান্তি আসে।
বেলফলের অপর নাম শ্রীফল। কথিত আছে মহালক্ষ্মীর স্তন হতে বেলের সৃষ্টি বলে এই ফলের নাম শ্রীফল।
বিল্ববৃক্ষের ধ্যানঃ
ওঁ চতুর্ভুজং বিল্ববৃক্ষং রজতাভং বৃষস্থিতম্।
নানালঙ্কার সংযুক্তং জটামণ্ডলধারিণম্।।
বরাভয়করং দেবং খড়্গখট্বাঙ্গ ধারিণম্।
ব্যাঘ্রচর্মাম্বরধরং শশিমৌলি ত্রিলোচনম্।।
ওঁ বিল্ববৃক্ষায় নমঃ
🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱
প্রণাম মন্ত্রঃ
ওঁ মহাদেবপ্রিয়করো বাসুদেব প্রিয়ঃ সদা।
উমাপ্রীতিকরো বৃক্ষো বিল্বরূপ নমোহস্তু তে।।
বিল্ববৃক্ষ যেখানে থাকে সেই স্থান বারাণসীপুরী। আর এই বৃক্ষ এতটাই পবিত্র যে এর ছায়া মাড়ালে আয়ু নাশ হয় ও পাদস্পর্শে শ্রী নাশ হয়।
বেলগাছের উপকারীতা :-
* বেলফল সরষের তেলের মিশ্রণে যদি কোনও ব্যথায় মালিশ করা হয় তবে খুব উপকার পাওয়া যায়।
* বেল ফলের গুঁড়ো দুধের সাঙ্গে পান করলে রক্তাল্পতার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* বেলফল চিনির সঙ্গে সেবন করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
* হাই ব্লাড সুগার রোগে নিয়মিত বেল ফল খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* বেলফল ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে মিছরি সহকারে পান করলে লিভারের সমস্যা দূর হয়।
* বেলের গুঁড়ো যদি ক্ষত স্থানে লাগানো হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি উপশম হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন