মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

গৌরাষ্টকম সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য কৃত


উজ্জ্বল বরণ গৌরবর দেহং

বিলসিত নিরবধি ভাব বিদেহম্

ত্রিভুবন পাবন কৃপায়াঃলেশং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্

 

গদ গদ অন্তরভাববিকারং

দুর্জন তর্জন নাদ বিলাসম্

ভব ভয় ভঞ্জন কারণ করুণং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্

 

অরুণাম্বর ধর চারু কপোলং

ইন্দু বিনিন্দিত নখচয় রুচিরম্

জল্পিত নিজগুন নাম বিনোদং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্

 

বিগলিত নয়ন কমল জলধারং

ভষূণ নবরস ভাববিকারম্

গতি অতি মন্থর নৃত্য বিলাসং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্

 

চঞ্চল চারু চরণ গতি রুচিরং

মঞ্জীর রঞ্জিতপদযুগ মধুরম্

চন্দ্র বিনিন্দিত শীতল বদনং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্

 

ধৃত কটি ডোর কমণ্ডলুদণ্ডং

দিব্য কলেবরমুণ্ডিত মুণ্ডং

দুর্জনকল্মষ খণ্ডন দণ্ডং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্


ভূষণভূরজ অলকাবলিতং

কম্পিত বিম্বাধরবর রুচিরম

মলয়জ বিরচিত উজ্জ্বল তিলকং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্

 

নিন্দিত অরুণ কমল দল লোচনং

আজানুলম্বিত শ্রীভুজযুগলম্

কলেবরকৈশোরনর্তকবেশং

তংপ্রণামামিচশ্রীশচীতনয়ম্



লেখক পরিচয় - 

বাসুদেব সার্বভৌম (  वासुदेव सार्वभौम  VASUDEVA SARBHAUMA ) ভট্টাচার্য্য ছিলেন ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকের একজন বিখ্যাত নৈয়ায়িক। তিনি নবদ্বীপের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মিথিলার বিখ্যাত পন্ডিত পক্ষধর মিশ্রের শিষ্য ছিলেন ইনি। মিথিলা হতে আসার সময় কোনও পুঁথি সঙ্গে আনার অনুমতি পাননি। একরাতের মধ্যে তত্ত্বচিন্তামণি ও ন্যায় কুসুমাঞ্জলী মুখস্ত করে নেন।

তিনিই বাংলায় নব্য ন্যায়ের প্রবর্তক। যা পরে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক বিকশিত হয়। রঘুনাথ শিরোমণি, বিখ্যাত কৌলাচার্য্য ও  তন্ত্রসার গ্রন্থের রচয়িতা কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ইনার শিষ্য। 

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫

পিতৃস্তোত্র ব্যাস উবাচ

                         পিতৃস্তোত্র


                         ব্যাস উবাচ

ওঁ নমঃপিত্রে জন্মদাত্রে সৰ্বদেবময়ায় চ।

সুখদায় সুপ্রসন্নায় সুপ্রীতায় মহাত্মনে।।

সর্বযজ্ঞস্বরূপায় স্বর্গায় পরমেষ্ঠিনে।

সর্বতীর্থাবলোকায় করুণাসাগরায় চ।।

নমঃ সদাশুতোষায় শিবরূপায় তে নমঃ।

সদাপরাধক্ষমিণে সুখায় সুখদায় চ৷৷

দুর্লভং মানুষামিদং যেন লব্ধং ময়া বপুঃ ।

সম্ভাবনীয়ং ধর্মার্থে তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ॥

তীর্থস্নাতপোহোমজপাদি যস্য দর্শনম্ ।

মহাগুরুোশ্চ গুরুবে তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ॥

যস্য প্রণামস্তবনাৎ কোটিশঃ পিতৃতর্পণম্ ।

অশ্বমেধশতৈস্তুল্যং তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ॥

(বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ, পূর্বখণ্ড,২. ২৩-২৮)

অর্থ - 

যিনি সর্বযজ্ঞস্বরূপ, যিনি স্বর্গ, যিনি পরমেষ্ঠী  অর্থাৎ সত্যলোকে স্থিত, যিনি সর্বতীর্থ দর্শনের ফলস্বরূপ, নিখিল সুখ প্রদান করেন, সেই সর্বদেবময় জন্মদাতা করুণাসাগর মহাত্মা পিতাকে নমস্কার।

যিনি সুপ্রীতি এবং প্রসন্ন হলে সতত অপরাধ ক্ষমাকারী, আশু সুখদাতা, সুখ ও শিবস্বরূপ পিতাকে নমস্কার। ধর্মকার্যের দুর্লভ দেহ আমি যার কৃপায় পেয়েছি, সেই পিতাকে নমস্কার।

যাকে দেখলেই তীর্থস্নান, তপস্যা, হোম এবং জপাদির ফল লাভ হয়, মহাগুরুর গুরু সেই পিতাকে বারবার নমস্কার। যাঁর প্রণাম স্তব কোটি কোটি পিতৃ তর্পণের তুল্য এবং বহুশত অশ্বমেধ যজ্ঞের তুল্য, সেই পিতাকে বারবার নমস্কার।